ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ ২০২৫
২৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ১২ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ ২০২৫
২৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ১২ রমজান ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক গণিত দিবস আজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আন্তর্জাতিক গণিত দিবস আজ
সংগৃহীত ছবি

আজ আন্তর্জাতিক গণিত দিবস। মার্চের ১৪ তারিখটি ইতিমধ্যে পাই দিবস হিসাবেও পরিচিত এবং বিশ্বের অনেক দেশে পালিত হয়। এটির নামকরণ করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা π (পাই)-এর নামানুসারে যার মান ৩.১৪-এর কাছাকাছি।

আমেরিকানদের তারিখ লেখার স্টাইল হচ্ছে আগে মাস আসবে এরপরে দিন।

আমরা আগে দিন তারপর মাস লিখে থাকি। আমেরিকান নিয়মে আজকের তারিখ ৩.১৪.২০২২ খ্রিষ্টাব্দ। গণিতের ইউক্লিডীয় জ্যামিতির নিয়মে কোনো একটি বৃত্তের পরিধি এবং এর ব্যাস এর মধ্যে অনুপাত সবসময় একটি ধ্রুবক সংখ্যা। আর এই ধ্রুব সংখ্যাটি হলো ‘পাই’।

আরো পড়ুন

বাঁচানো গেল না সেই শিশুটিকে

বাঁচানো গেল না সেই শিশুটিকে

 

১৯৮৮ সাল থেকে এই দিনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাই দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে। তবে ২০২০ সাল থেকে এই দিনে বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক গণিত দিবস পালন করা হচ্ছে।

এই দিবসটি গণিতবিদদের কাছে আরো একটি কারণে তাৎপর্যপূর্ণ। ১৮৭৯ সালের মার্চের ১৪ তারিখ বিশ্ববিখ্যাত নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

আবার ২০১৮ সালের ১৪ই মার্চ আরেক বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও গণিতবিদ স্টিফেন হকিং মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এতসব তাৎপর্য বিশ্লেষণ করে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন-ইউনেস্কো পাই দিবস হিসেবে পালিত ১৪ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণিত দিবসের স্বীকৃতি দিয়েছে। 

আরো পড়ুন

বিশেষ বিসিএসের প্রস্তাব জনপ্রশাসনে, পদসংখ্যা ২ হাজার

বিশেষ বিসিএসের প্রস্তাব জনপ্রশাসনে, পদসংখ্যা ২ হাজার

 

২০১৯ সালের নভেম্বরে ইউনেস্কোর সাধারণ সম্মেলনের ৪০ তম অধিবেশন দ্বারা সমগ্র বিশ্বের গণিতবিদদের জন্য ১৪ মার্চ তারিখটি আন্তর্জাতিক গণিত দিবস বা পাই দিবস হিসেবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। পরবর্তী বছর আন্তর্জাতিক গণিত দিবস -এর উদ্বোধনী উদযাপনটি ১৪ মার্চ, ২০২০-এ হয়েছিল এবং এর থিম ছিল ‘গণিত সর্বত্র’। 

আমরা আমাদের জীবনের প্রাত্যহিক কাজের প্রায় সব ক্ষেত্রেই গণিতের প্রয়োগ করে থাকি।

বর্তমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে গণিত ছাড়া চলা প্রায় অসম্ভব। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রায় সব ক্ষেত্রেই গণিতের ব্যবহার রয়েছে। আর বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস সংক্রমণে মহামারীর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের পাই দিবসের থিম ছিল ‘একটি উন্নত বিশ্বের জন্য গণিত’। 

আরো পড়ুন

সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল আরো ৬০ দিন

সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল আরো ৬০ দিন

 

গাণিতিক মডেল এবং পরিসংখ্যান বিষয় দুটি সাধারণত এপিডেমিক রোগের দ্রুত বিবর্তন সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করতে এবং প্রশমন কৌশলগুলিকে অপ্টিমাইজ করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিজ্ঞানীদের জন্য অপরিহার্য হাতিয়ার। একটি উন্নত বিশ্ব গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গণিত যে ভূমিকা পালন করে তা মহামারী প্রতিক্রিয়ার বাইরে ছিল না।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

জবিতে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা

জবি প্রতিনিধি
জবি প্রতিনিধি
শেয়ার
জবিতে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা
ছবি : কালের কণ্ঠ

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশু আছিয়ার গায়েবানা জানাজা আদায় করেছে জবি শিক্ষার্থীরা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের আয়োজনে এ জানাজা আদায় করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ইফতার শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে জানাজার নামাজ আদায় করা হয়।  

জানাজার নামাজ পড়ান শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. আসাদুল ইসলাম।

এছাড়া এ সময় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম আরিফসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 

আরো পড়ুন
আছিয়ার মৃত্যু : আসামিদের শাস্তির দাবিতে নারায়ণগঞ্জে কাফন মিছিল

আছিয়ার মৃত্যু : আসামিদের শাস্তির দাবিতে নারায়ণগঞ্জে কাফন মিছিল

 

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, ‘এগুলো সাধারণ ঘটনা নয়। এগুলো গত ১৫ বছর হাসিনা জারি রেখেছিল। এমন কর্মকাণ্ড যেন না করতে পারে, এ জন্য আমাদের শিক্ষার্থীদের সচেতন হতে হবে।

’ 

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ধর্ষণ প্রতিকারে মানুষের অন্তর নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ জন্য তাকওয়া অর্জন করতে হবে। আমাদের নৈতিক শিক্ষার আলোকে পাঠ্যক্রম তৈরি করতে হবে। তাই আসুন, আমরা মুসলিমরা ইসলাম এবং অন্যান্যরা তাদের ধর্ম চর্চা করতে হবে।

’ 

ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এমন চিত্র আর দেখতে চাই না। সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আর এমন জানাজার নামাজ পড়তে চাই না। সব ধর্ষণের বিচার ৯০ দিনের মধ্যে করতে হবে। সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে।

মন্তব্য

আটক রিকশাচালক নির্দোষ দাবিতে পরিবারের অবস্থান কর্মসূচি

জাবি প্রতিনিধি
জাবি প্রতিনিধি
শেয়ার
আটক রিকশাচালক নির্দোষ দাবিতে পরিবারের অবস্থান কর্মসূচি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী আফসানা রাঁচির মৃত্যুর ঘটনায় আটক রিকশাচালক আরজু মিয়াকে নির্দোষ দাবি করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন তার পরিবার। 

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। 

তার পরিবারের অভিযোগ, রাঁচির মৃত্যুর ঘটনায় রিকশাচালক আরজু মিয়া জড়িত ছিলেন না, তাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ফাঁসিয়েছে।

এসময় আরজু মিয়ার মেয়ে আরজিনা আক্তার বলেন, ‘আমার বাবা একজন টেইলারিং কাটিং মাস্টার।

পাশাপাশি তিনি পুরাতন অটোরিকশা কিনে সেটাকে রং এবং সংযোজন-বিয়োজন করে লাভে বিক্রি করেন। যেদিন জাবি শিক্ষার্থী রাচি রিকশার ধাক্কায় নিহত হন, সেদিন আমার বাবা সেখানে ছিলেন না। যখন দুর্ঘটনা হয়েছে তখন আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টা ৫০মিনিট, সে সময় আমার বাবা একটি দোকানে বসে ছিলেন। এটার সিসিটিভি ফুটেজ আমরা উপস্থাপন করেছি।

আটক রিকশাচালক আরজু মিয়ার স্ত্রী বলেন, ‘আমার স্বামীকে অন্যায়ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। আমরা প্রভাবশালী নই বলে আমাদের সঙ্গে যেভাবে ইচ্ছা ব্যবহার করা হচ্ছে। কয়েকবার ভিসি স্যারের দপ্তরে গিয়েছি। আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি।

একজনের কাছে গেলে আরেকজনের কাছে যেতে বলে। এভাবে গত তিনমাসে অনেক দপ্তর ঘুরেছি। আমার স্বামী খুবই অসুস্থ। আমি তার মুক্তি চাই। আমাদের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের বিচার চাই।
’ 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ. কে. এম  রাশিদুল আলম বলেন, ‘এ বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে, তাই মন্তব্য করতে পারছি না। তবে আমরা নিশ্চিত করবো নিরপরাধ কেউ যাতে শাস্তি না পায়।’

মন্তব্য

৯ মাসেও উদ্ভাবনী প্রকল্পের টাকা পাননি পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

পাবিপ্রবি প্রতিনিধি
পাবিপ্রবি প্রতিনিধি
শেয়ার
৯ মাসেও উদ্ভাবনী প্রকল্পের টাকা পাননি পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
সংগৃহীত ছবি

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) গত বছরের মে মাসে গবেষণা উদ্ভাবন প্রকল্পের তালিকা প্রকাশ করা হয়। ওই তালিকায় ৬টি বিভাগের ১০টি প্রকল্প স্থান পায়। প্রতিটি প্রকল্পের জন্য শিক্ষার্থীদের ২০ হাজার করে টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও সেই টাকা এখনো পাননি তারা। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছর বিশ্ববিদ্যালয় দিবসকে কেন্দ্র করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উৎসাহী করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গবেষণা আহ্বান ও মূল্যায়ন কমিটি’ এপ্রিল মাসে বিভাগগুলো থেকে ‘গবেষণা উদ্ভাবন প্রকল্প’ আহ্বান করেন। এরপর ‘গবেষণা আহ্বান ও মূল্যায়ন কমিটি’ ১২ মে নির্বাচিত ১০টি প্রকল্পের তালিকা প্রকাশ করেন। এই ১০টি প্রকল্পের সঙ্গে ১৩ জন শিক্ষার্থী এবং ৮ জন শিক্ষক যুক্ত আছেন। প্রকল্পের জন্য ২০ হাজার করে মোট ২ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল।

এ ১০টি প্রকল্প ৫ জুন ১৬তম বিশ্ববিদ্যালয়ে দিবসে প্রদর্শনীর কথা ছিল এবং ওই সময়েই শিক্ষার্থীদের বরাদ্দকৃত টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই টাকা এখনো দেওয়া হয়নি।

পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সাদ শাহরিয়ার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে প্রকল্প প্রদর্শন হবে বলে নিজের টাকা দিয়ে প্রকল্পের কাজ করে রাখি। কিন্তু প্রকল্প প্রদর্শনী না হওয়াতে ওই টাকা আমরা আর পাইনি।

যার কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেছি, তার টাকা এখনো দিতে পারিনি।’

 ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইসিই) বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর হোসেন বলেন, ‘আমরা নিজের টাকা খরচ করে প্রকল্পের কাজ শেষ করে রেখেছি। কিন্তু ৯ মাস হলো আমাদের গবেষণার টাকা আটকে আছে। এভাবে শিক্ষার্থীদের গবেষণার উৎসাহ দিয়ে টাকা না দিলে কেউ গবেষণায় আগ্রহী হবে না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গবেষণা আহ্বান ও মূল্যায়ন কমিটি’র সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৫ জুন বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে সমস্যার কারণে প্রকল্প প্রদর্শনী সম্ভব হয়নি।

পরে সুবিধাজনক সময়ে প্রদর্শনী করে শিক্ষার্থীদের টাকা দেওয়ার কথা ছিল। এরপর জুলাই মাসে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, সরকার পরিবর্তন এবং উপাচার্য চলে যাওয়ার কারণে এই প্রদর্শনী আর হয়নি। সেপ্টেম্বরে নতুন উপাচার্য আসার পর তিনি এটা নিয়ে সময় চেয়েছেন।

এ বিষয়ে ‘গবেষণা আহ্বান ও মূল্যায়ন কমিটি’র আহ্বায়ক এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার সুজা উদ্দিন বলেন, ‘এই টাকাটা মূলত সরকার পরিবর্তনের কারণে আটকে যায়। নতুন উপাচার্য আসার পর সব কাজ শেষ করে উপাচার্যের কাছে ফাইল পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আশা করি, শিক্ষার্থীরা দ্রুতই টাকা পেয়ে যাবেন।’

মন্তব্য

মাছ শিকারি 'জেলে'

    সপ্তম শ্রেণিতে বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ে তোমরা জেলে সম্পর্কে জেনেছ। জেলেরা মাছ শিকারের সঙ্গে জড়িত—
আল সানি
আল সানি
শেয়ার
মাছ শিকারি 'জেলে'
জেলেরা নদীতে মাছ ধরছেন। ছবি : লুৎফর রহমান

মাছ শিকার মানুষের বহু পুরনো পেশা। সিন্ধু সভ্যতা, বৈদিক ও মৌর্য যুগের অসংখ্য নিদর্শনে মানবসভ্যতার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে মাছ শিকারের বিভিন্ন চিত্র ফুটে ওঠে। মাছ শিকার যাঁদের পেশা, তাঁদের আমরা জেলে নামে চিনি। সাধারণত জেলেরা মাছ ধরার ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

এই দেশের নদী, হাওর-বাঁওড় আর উপকূলজুড়ে ছড়িয়ে আছেন লাখ লাখ জেলে। জীবিকার জন্য প্রতিদিন ঝড়-জল উপেক্ষা করে তাঁরা নেমে পড়েন নদী, সাগর বা খালের বুকে। জেলেদের বসবাসকৃত এলাকাকে বলা হয় ‘জেলেপল্লী’ বা ‘জেলেপাড়া’। সকাল হওয়ার আগেই জেলেপাড়া থেকে শুরু হয় জেলেদের দিন।

কঠিন এই জীবনে জেলেরা বর্ষায় নদীর স্রোত, জোয়ার-ভাটা সামলে টিকে থাকেন আবার শীতে মাছ কমে গেলে খেয়ে না খেয়ে দিন গুজরান করেন। তবে তাঁদের বড় বিপদ হয় প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়। প্রায়ই তাঁরা ঝড়, সাইক্লোন কিংবা প্রবল ঢেউয়ের মুখে থেকেও জীবন বাজি রেখে পাড়ি দেন উত্তাল সাগর বা নদীতে। জেলেদের প্রধান সমস্যা অর্থনৈতিক।

মাছ পাওয়া না গেলে দিনশেষে খালি হাতে ফিরতে হয়। তা ছাড়া দাদন বা ঋণের বোঝা তাঁদের দমিয়ে রাখে। মহাজনদের কাছ থেকে আগেভাগে টাকা নিয়ে জাল, নৌকা বা ইঞ্জিন কিনতে হয়। কিন্তু মাছ কম ধরা পড়লে ঋণ শোধ করা হয়ে পড়ে কঠিন। এদিকে সরকার নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে, যেন মাছের উৎপাদন বাড়ে।

তবে এই সময়টায় বিকল্প আয়ের সুযোগ না থাকায় অনেক জেলে পরিবার দুর্দশায় পতিত হয়। সরকারি সাহায্য এলেও তা সুষমভাবে সবার কাছে না পৌঁছানোর অভিযোগ আছে। সমুদ্র বা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে অনেক জেলে জলদস্যুদের কবলে পড়েন। উপকূলীয় অঞ্চলে জলদস্যুদের হাতে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি, এমনকি হত্যার ঘটনাও ঘটে।

দেশে ভোক্তাদের মাছের চাহিদার বড় অংশ মেটায় জেলেরা। বর্তমানে দেশে প্রায় ১৫ লাখ জেলে রয়েছেন। জেলেদের মাছ ধরার কাজে নতুন নতুন প্রযুক্তির সংযোজন হচ্ছে। আধুনিক নৌকা, ইকো সাউন্ডার, উন্নত মানের জাল ব্যবহারের ফলে মাছ ধরার সুযোগ বাড়ছে। তা ছাড়া কিছু জায়গায় জেলেদের নিয়ে সমবায় সমিতি গঠন করা হচ্ছে, যাতে তাঁরা আর্থিকভাবে আরো শক্তিশালী হতে পারেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ