দুই যুগ আগেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ কেনার চিন্তা ছিল কল্পনার বাইরে। সেই পরিস্থিতি বদলেছে। নগর থেকে গ্রাম– সর্বত্র পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। বেড়েছে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা।
ফ্রিজের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে
অনলাইন ডেস্ক

বর্তমানে ফ্রিজের চাহিদা বাজারে কেমন?
সোহেল কিবরিয়া: বর্তমানে দেশের বাজারে ফ্রিজের চাহিদা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি, যা বিক্রয়ের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। গত বছরের তুলনায় এবার আমাদের বিক্রি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আসন্ন ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে এই প্রবৃদ্ধি আরও বাড়বে বলে আমরা আশাবাদী। ঈদ উপলক্ষে ঘরে নতুন ফ্রিজ কেনার প্রবণতা বেড়ে যায়, ইতোমধ্যে আমরা বাজারে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি এবং বিক্রির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে।
বর্তমান এই প্রতিযোগিতার বাজারে আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
সোহেল কিবরিয়া : বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও বাজারের ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতাকে সামনে রেখে ভবিষ্যতের জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এসব পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হলো প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি, বাজার সম্প্রসারণ এবং গ্রাহকদের আরও উন্নত সেবা প্রদান করা।
বর্তমানে ফ্রিজের বাজারের আকার কেমন?
সোহেল কিবরিয়া : পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশে ফ্রিজের বাজার এখন প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি যার বার্ষিক চাহিদা ৩০ লক্ষ ইউনিটেরও বেশি। আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশের ফ্রিজের বাজারের বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ২ শতাংশ হারে। গত কয়েক বছরে মিনিস্টারের মার্কেটও বেড়েছে। রেফ্রিজারেটরের চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশই বর্তমানে পূরণ হয় দেশীয় কোম্পানির রেফ্রিজারেটর দ্বারা। বাকি ২০ শতাংশ আমদানির উপর নির্ভর করে।
ফ্রিজ রপ্তানির কোন পরিকল্পনা আছে কিনা?
সোহেল কিবরিয়া : আমরা এখনো ফ্রিজের রপ্তানি শুরু করিনি। খুব শীঘ্রই মিনিস্টার ব্র্যান্ড আন্তর্জাতিক বাজারে পা রাখতে যাচ্ছে। পৃথিবীব্যাপী ফ্রিজের চাহিদা বাড়ছে সে অনুযায়ী ফ্রিজের বাজার এর আকৃতিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে কারণে আমরা উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সংবলিত বিশ্বমানের ফ্রিজ উৎপাদান করছি। আশা করছি, দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করে অচিরেই দেশের বাইরে ফ্রিজ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে সক্ষম হবো।
গত এক দশকে দেশে ইলেকট্রনিকস পণ্যের বাজারের আকার বেশ বড় হয়েছে। বর্তমানে এ বাজারের কী অবস্থা?
সোহেল কিবরিয়া : বাংলাদেশের ফ্রিজের বাজার এখন বেশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। বাজারে দেশীয় ব্র্যান্ডগুলো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। একসময় ফ্রিজের বাজারটি পুরোপুরি আমদানি নির্ভর ছিল। স্থানীয় কোম্পানিগুলোর উদ্ভাবন ও মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে বাজারটি এখন দেশীয়দের নিয়ন্ত্রণে। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত, সকল স্তরের মানুষের কাছে ফ্রিজ একটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে গণ্য হচ্ছে। বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে পরিবর্তনের সাথে সাথে ফ্রিজের ব্যবহার বেড়েছে। বিদ্যুতের স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি এবং মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন গ্রামীণ বাজারে ফ্রিজের চাহিদা বাড়িয়েছে। এই থেকে বোঝা যায়, বাংলাদেশের ফ্রিজের বাজার দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে এবং দেশীয় কোম্পানিগুলো এই বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ঈদ উপলক্ষে আপনাদের গ্রাহকের জন্য কি কি অফার থাকছে?
সোহেল কিবরিয়া : মিনিস্টার গ্রাহকদের কথা চিন্তা করে পুরো বছরজুড়েই নানা আকষর্ণীয় অফার দিয়ে থাকে। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মিনিস্টার নিয়ে এসেছে “কোটিপতি হোন” অফার। এই অফারে মিনিস্টার ফ্রিজ, এসি, টিভি,ওভেন , ওয়াশিং মেশিন ক্রয় করলে সাথে পাচ্ছেন স্ক্র্যাচ কার্ড আর কার্ড ঘষে ক্রেতাদের কোটিপতি কিংবা লাখপতি হবার সুযোগ। এছাড়াও রয়েছে একটির সাথে আর একটি ফ্রি, বিশাল ডিসকাউন্ট সহ নিশ্চিত উপহার।
সম্পর্কিত খবর

কালীগঞ্জে এসএসসি ৯৫ ব্যাচের ৩০ বছর পূর্তি উৎসব
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী তুষভান্ডার আর, এম, এম,পি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ-৯৫ শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত বুধবার (২ এপ্রিল) ‘কালীগঞ্জ ফ্রেন্ডস ৯৫’ যেখানে প্রাণের স্পন্দন সেখানে’ শ্লোগানে দিনব্যাপী শুরু হয় এই মিলনমেলা। সারা দিন নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মেতে ছিলেন ১৯৯৫ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি শিক্ষার্থীরা।
এদিন সকালে বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে তুষভান্ডার বাজার এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ছিলেন এ,এস,এম রিয়াজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক- আব্দুর রশীদ এবং অন্যতম সদস্য -পলাশ, আঙুর, রাসেল, হুমায়ুন কবির, সুজন, তপন, পঙ্কজ, কল্লোল, সাবুসহ এসএসসি ৯৫ ব্যাচের বন্ধুরা।

রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিমের সভা অনুষ্ঠিত
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

রূপালী ব্যাংক পিএলসির সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিম (এসএমটি) এর ২৫তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দিলকুশাস্থ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিমের চেয়ারম্যান এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম।
সভায় উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পারসুমা আলম, হাসান তানভীর ও মো. হারুনুর রশীদ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়, স্থানীয় কার্যালয়, আরবিটিএ, রূপালী ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, রূপালী ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড, ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ বিভাগীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক এবং প্রধান কার্যালয়ের বিভাগসমূহের উপ-মহাব্যবস্থাপকসহ এসএমটি কমিটির অন্যান্য সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

মার্চ মাসে সর্বোচ্চ লেনদেনের রেকর্ড নগদের
নিজস্ব প্রতিবেদক

সদ্যঃসমাপ্ত মার্চ মাসে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন সেবা নগদ এক মাসে সর্বোচ্চ লেনদেনের রেকর্ড করেছে। শেষ হওয়া এই মাসে প্রতিষ্ঠানটি ৩৪ হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন করেছে। এই অসামান্য অর্জন উপলক্ষে কয়েক কোটি নিবন্ধিত গ্রাহকের বিশাল পরিবারের সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে নগদ কর্তৃপক্ষ।
যাত্রা শুরুর ছয় বছরের মধ্যে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ মোবাইল আর্থিক সেবা হিসেবে বাজারে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে নগদ।
রেকর্ড গড়া এই লেনদেনের অধিকাংশই ছিল ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, সেন্ড মানি, পেমেন্ট এবং মোবাইল রিচার্জ।
নতুন এই মাইলফলক অর্জন উপলক্ষে সব গ্রাহক, কর্মী, উদ্যোক্তাসহ সম্পৃক্ত সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নগদের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহ।
মো. মোতাছিম বিল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন প্রতিষ্ঠান হিসেবে বর্তমানে নগদ আরো উন্নত সেবার মাধ্যমে গ্রাহকের অর্থের অধিকতর নিশ্চয়তা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে নতুন নতুন গ্রাহক নগদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন এবং তারাও স্বাচ্ছন্দ্যে আগের চেয়ে বেশি লেনদেন করছেন।
সর্বোচ্চ লেনদেনের এই মাসে একদিনে সর্বোচ্চ লেনদেন হয় ২০ মার্চ। এদিন নগদের গ্রাহকেরা দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন করেন। এর আগে চলতি বছরটিও চমক দিয়ে শুরু করেছিল নগদ। গত ৯ জানুয়ারি একদিনে সর্বোচ্চ দুই হাজার কোটি টাকা লেনদেনের ল্যান্ডমার্ক অতিক্রম করে প্রতিষ্ঠানটি। ওইদিন নগদে লেনদেন হয়েছিল প্রায় ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশের সামগ্রিক ডিজিটাল লেনদেন নতুন উচ্চতায় উঠে যাওয়ায় অনন্য ভূমিকা রাখছে নগদ।
বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল সেবা হিসেবে যাত্রা শুরু করার পর থেকে একের পর এক উদ্ভাবন ও গ্রাহকবান্ধব সেবার কারণে নগদের গ্রাহক সংখ্যা দ্রুততার সঙ্গে বাড়তে থাকে। এখনো নগদের অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিদিন এই সেবাটিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গ্রাহক যুক্ত হচ্ছেন।

ব্যাংকিং সেবার আধুনিকায়নে বাংলাদেশ ও দ. কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানের চুক্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের জনগণের জন্য আধুনিক ও সহজলভ্য ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার দুটি প্রতিষ্ঠান সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। এর মধ্য দিয়ে অটোমেটেড টেলার মেশিন (এটিএম) ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রাহকদের জন্য সাশ্রয়ী ও বিশ্বমানের ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করা হবে। দেশের আইটি পণ্য পরিবেশক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসি এবং বৈশ্বিক ব্যাংকিং প্রযুক্তি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হায়োসাং টিএনএসের মধ্যে এই এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে।
গতকাল সোমবার (৭ এপ্রিল) ঢাকার একটি রেস্টুরেন্টে গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসির চেয়ারম্যান আবদুল ফাত্তাহ এবং হায়োসাং টিএনএসের দক্ষিণ এশিয়ার এটিএম ব্যবসার প্রধান পরিচালক সাং কন লিম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এমওইউতে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই সমঝোতার মূল উদ্দেশ্য সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে এটিএম ও ব্যাংকিং কিয়স্ক স্থাপন এবং সামগ্রিক ব্যবস্থার উন্নয়ন। গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসির বিস্তৃত ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক, স্থানীয় বাজার বিষয়ক অভিজ্ঞতা এবং হায়োসাং টিএনএসের অভিনব ব্যাংকিং প্রযুক্তির সমন্বয় গ্রাহকদের জন্য উন্নত ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে। সারা দেশে ব্যাংকিং সেবাকে আরো ত্বরান্বিত করবে।
গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসির চেয়ারম্যান আবদুল ফাত্তাহ বলেন, ‘বাংলাদেশে সর্বাধুনিক ব্যাংকিং প্রযুক্তি পৌঁছে দিতে আমরা হায়োসাং টিএনএস-এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছি।
হায়োসাং টিএনএসের পরিচালক সাং কন লিম বলেন, ‘গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসিকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশে আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সম্প্রসারণের সূচনা হয়েছে। যা নতুন প্রজন্মের এটিএম ও ব্যাংকিং কিয়স্ক দেশের বাজারে সরবরাহ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আনোয়ার, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন খোন্দকার। গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ প্রযুক্তি পণ্য পরিবেশক প্রতিষ্ঠান, যারা ৮০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করে। প্রতিষ্ঠানটি তার বিস্তৃত ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক, মানসম্পন্ন আইটি পণ্য ও এন্টারপ্রাইজ সলিউশনের জন্য সুপরিচিত। অপরদিকে, ১৯৭৯ সাল থেকে হায়োসাং টিএনএস বিশ্বজুড়ে ব্যাংকিং প্রযুক্তি খাতে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে এবং বর্তমানে বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।