ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৫ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৫ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

মাদরাসা হোস্টেলে ছাত্রীর লাশ, ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪ শিক্ষক

নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
শেয়ার
মাদরাসা হোস্টেলে ছাত্রীর লাশ, ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪ শিক্ষক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর সলিমগঞ্জে মাদরাসার এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে। মাদরাসার চিলেকোঠায় আমেনা খাতুন (১২) নামে ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ অভিযুক্ত মাদরাসাপ্রধানসহ ৪ শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্ত মাওলানা মোস্তফা (৪০) সলিমগঞ্জে অবস্থিত জান্নাতুল ফেরদাউস মহিলা মাদরাসার প্রধান শিক্ষক।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসায় প্রায় ২০০ ছাত্রী লেখাপড়া করছে।

তাদের মধ্যে ৫০ জন ছাত্রী মাদরাসার আবাসিক হোস্টেলে থেকে লেখাপড়া করে। ঘটনার শিকার ছাত্রী আমেনা খাতুন ষষ্ঠ শ্রেণির আবাসিক শিক্ষার্থী। নবীনগরের পার্শ্ববর্তী বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামে আমেনাদের বাড়ি। পিতা সৌদীপ্রবাসী মমিনুল ইসলাম।
একমাত্র কন্যা আমেনাকে মাদরাসায় শিক্ষা দিতে হোস্টেলে রেখেছিলেন তিনি।

মা সেলিনা খাতুন বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় সেলিম মেম্বার নামের ব্যক্তির আমার মেয়ের মৃত্যুর খবর দেন। দ্রুত ছুটে যাই সলিমগঞ্জের মাদরাসায়। সেখানে গিয়ে দেখি মাদরাসার চতুর্থ তলার চিলেকোঠায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় আমার মেয়ের লাশ ঝুলছে।

খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মোস্তফা মাওলানা বিকেলে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। মাদরাসার দ্বিতীয় তলায় থাকা তার অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করার সময় মেয়ের মৃত্যু হয়। পরে মাদরাসার একজন পরিচালক ও চারজন শিক্ষকের সহযোগিতায় মেয়ের লাশটিকে চিলিকোঠায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়।

এদিকে মাদরাসার হোস্টেলে ছাত্রীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে নবীনগর থানার ওসি রনোজিত রায় ও বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি সালাউদ্দিন চৌধুরী রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান। অভিযোগ শুনে ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে নবীনগর থানায় নেওয়া হয়।

এ ঘটনায় ছাত্রীর মা সেলিনা খাতুন বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাতেই মাদরাসার অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মাওলানা মোস্তফা (৪০), শিক্ষক মাওলানা আনোয়ার হোসেন (৩০), মাওলানা আল আমীন (২৮) ও হাফেজ মো. ইউনুছ মিয়াকে (৬০) গ্রেপ্তার করে। তারা সকলে এজাহারভূক্ত আসামি। গ্রেপ্তারকৃতদের মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

নবীনগর থানার ওসি রনোজিত রায় বলেন, ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

মন্তব্য

ফরিদপুরে সেই বাসের ফিটনেস সনদ মেয়াদোত্তীর্ণ, তদন্তে কমিটি

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
ফরিদপুরে সেই বাসের ফিটনেস সনদ মেয়াদোত্তীর্ণ, তদন্তে কমিটি
ছবি: কালের কণ্ঠ

ফরিদপুরে ফারাবী ডিলাক্স পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী লোকাল বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে বাবা-ছেলেসহ ৭ জন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছে অন্তত আরো ২৫ যাত্রী। এ ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। বাসটির ফিটনেস সনদ ও ট্যাক্স-টোকেন মেয়াদোত্তীর্ণ বলে জানা গেছে।

 

সড়কে খানাখন্দে ভরা লোকাল বাসটির বেপরোয়া গতির কারণেই সড়ক দুর্ঘটনা। ৭ জন নিহতের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা গেছে। দুর্ঘটনার পর গাড়ির চালক পালিয়ে যায়। 

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১টার দিকে ফরিদপুর সদরের জোয়াইড় এলাকার শরীফ জুটমিল সংলগ্ন ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদউজ্জামান জানান, এ দুর্ঘটনায় সর্বশেষ সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে তিনজন নারী ও চারজন পুরুষ রয়েছে।

এ ঘটনায় অতিরিক্ত একজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করবে।

পরে তাদের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্তা নেওয়া হবে। নিহত প্রত্যেককে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে।

দূর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার শেখরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা বাবা জোয়ার সরদার (৭০) তার ছেলে ইমান সরদার (৩৩), নগরকান্দার কাঠিয়া বড়গ্রামের বাসিন্দা রাজীব খানের স্ত্রী দীপা খান (৩৪), ফরিদপুর সদরের চর চাঁদপুর গ্রামের বলরাম সরকারের স্ত্রী ভারতি সরকার (৪২), চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীটেক গ্রামের বাসিন্দা খালেক চৌধুরীর ছেলে আলম চৌধুরী (৪২), ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট মহল্লার বাসিন্দা লতিফ ব্যাপারির স্ত্রী ফজিরন নেসা (৪০) এবং লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার পূর্ব ফকিরপাড়া গ্রামের জহিরউদ্দিনের ছেলে আজিবর উদ্দিন (৪৪)।

পুলিশ ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনাকবলিত ফরিদপুরগামী ফারাবি ডিলাক্স পরিবহনটি (ঢাকা মেট্রো-জ-১১-০০৬৬) গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে নগরকান্দা হয়ে ফরিদপুর আসছিল। আসার পথে সময় বাঁচাতে দ্রুতগতির গাড়িটি একটি পরিবহনকে ওভারটেক করতে গিয়ে ফরিদপুর সদরের জোয়াইড় এলাকার শরীফ জুট মিল সংলগ্ন ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে পাশে একটি বিদ্যুতের পিলারে ধাক্কা খেয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এ দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩টা পর্যন্ত ৭ যাত্রী নিহত ও ২৫ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। এ সময় বিদ্যুতের পিলারের মধ্যে বাসের একটি অংশ ঢুকে যায়। বাসের মধ্যে ৩৫ জন যাত্রী ছিল বলে ধারণা করছে উদ্ধারকারীরা।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে আহত ৩৫ যাত্রীকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক ভাবে ৫জনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ২টার দিকে আরো দুইজন মারা যায়। এ ঘটনায় আরো ১০-১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাঁধন সরকার (২৫) নামে দুর্ঘটনায় এক  আহত যাত্রী জানান, বাসটি তালমার মহিলা রোড থেকে ছাড়ার পর বেপরোয়া গতিতে চলতে শুরু করে। যাত্রীরা বার বার বলার পরেও বাসচালক কারো কথা শোনেননি।

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসের নিচে চাপা পড়ে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইশরাত জাহান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে বাসের গতি ৮০ কিলোমিটারের ঊর্ধ্বে ছিল। এ ব্যাপারে জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সঙ্গে সভা করা হবে। এভাবে অতিরিক্ত গতির কারণে এ দুর্ঘটনা, এ মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। চালকের বেপরোয়া গতির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে ফরিদপুর হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, গাড়িটি দ্রুতগতির ছিল একই সঙ্গে আরেকটি দ্রুত কোনো যানকে ওভারটেকিং করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ফরিদপুরের কার্যালয় সূত্র জানায়, দুর্ঘটনাকবলিত ফরিদপুরগামী হাই ডেক্স (ফরিদপুর-জ ১১-০০৬৬) ফারাবী পরিবহনের বাসটির মালিক ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ফায়জুর রহমান। তিনি ভাঙ্গা উপজেলা পৌর সদরের কোর্টপাড় এলাকার বাসিন্দা। বাসটির ফিটনেস সনদ ও ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। দুর্ঘটনার পর বাসচালক পালিয়ে যান। তবে তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ফরিদপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাসির উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির ফিটনেস সনদের মেয়াদ গত ৫ মার্চ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া ২০২৪ সালের ২৬ জুন বাসটির ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদও শেষ হয়েছে। ঘটনার পর বাসচালক পালিয়ে যান। তাকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, এ ঘটনায় অতিরিক্ত একজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করবে। পরে তাদের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, নিহত প্রত্যেককে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক ২৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে বিআরটিএ’র মাধ্যমে এককালীন টাকা দেওয়া হবে।

মন্তব্য

কুড়িগ্রামে মোটরসাইকেল-ট্রলির সংঘর্ষে ব্যবসায়ী নিহত

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
শেয়ার
কুড়িগ্রামে মোটরসাইকেল-ট্রলির সংঘর্ষে ব্যবসায়ী নিহত
সংগৃহীত ছবি

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় মোটরসাইকেল ও ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে জয়নাল আবেদীন (৬০) নামের এক স’মিল ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে কুড়িগ্রাম-নাগেশ্বরী সড়কের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের পাটেশ্বরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জয়নাল নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের নন্দনপুর গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, নিহত জয়নাল তার শ্যালক জুয়েলের সঙ্গে মোটরসাইকেল যোগে কুড়িগ্রাম থেকে ভিতরবন্দ যাওয়ার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রলির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে মোটরসাইকেল আরোহী জয়নাল ঘটনাস্থলে নিহত হয়। মোটরসাইকেল চালক জুয়েল গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয় স্থানীয়রা।

কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ জানান, খবর পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে।

মন্তব্য

গোপালগঞ্জে ভুয়া পুলিশ গ্রেপ্তার

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
গোপালগঞ্জে ভুয়া পুলিশ গ্রেপ্তার
ছবি: কালের কণ্ঠ

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকা থেকে পুলিশের ভুয়া এসআই পরিচয়দানকারী উৎপল মন্ডল ওরফে গৌতম মন্ডল (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত গৌতমের বাড়ি মুকসুদপুর উপজেলার দিস্তাইল গ্রামে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান জানান, মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় পুলিশের পরিচয় দিয়ে সুবিধা নিতে যায়  গৌতম। বিষয়টি জনগণের সন্দেহ হলে তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।

পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে সঠিক বিষয়টি স্বীকার করে।

পরে তাকে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। 

মন্তব্য

নেত্রকোনায় হাফেজকে কুপিয়ে হত্যা, একজনের মৃত্যুদণ্ড

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
শেয়ার
নেত্রকোনায় হাফেজকে কুপিয়ে হত্যা, একজনের মৃত্যুদণ্ড
সংগৃহীত ছবি

নেত্রকোনায় পূর্ব শত্রুতার জেরে কুপিয়ে হত্যার দায়ে রাজা মিয়া নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) নেত্রকোনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এই রায় দেন। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাজা মিয়া নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার বানিয়াজুড়া গ্রামের মো. ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় একই মামলার অপর তিনজন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

 

খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- ফয়েজ উদ্দিন, ইছব মিয়া ও সফিকুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খান।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে ২০০৯ সালের ১৯ জুন বিকালে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার বানিয়াজুড়া গ্রামের হাফেজ আনোয়ারুল ইসলামকে প্রকাশ্যে দিবালোকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়।

পরদিন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা ফজলুল করিম বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে মোহনগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত এই রায় দেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ