বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার তালোড়ার চালের মোকাম থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মোটা চাল সরবরাহ করা হয়। এ মোকামে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রতি বস্তায় দাম বেড়েছে ১০০-১৫০ টাকা। তবে ধানের দাম বাড়ার ফলে চালের দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মিল মালিকরা। পর্যাপ্ত পরিমাণ ধান ও চাল মজুদ থাকার পরও চালের দাম বাড়ার যৌক্তিক কোনো কারণ নেই বলে মনে করেন ভোক্তারা।
হঠাৎ দাম বেড়েছে মোটা চালের
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হঠাৎ করেই বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার তালোড়ায় মোটা চালের মোকামে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মনিটরিং না থাকায় বগুড়ার অন্যতম মোটা চালের এই মোকামে এ মুহূর্তে সব ধরনের চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী। মাত্র চার-পাঁচ দিন আগে মোকামে ৫০ কেজির কাটারি প্রতিবস্তা চালের দর ছিল ২১২০ টাকা। বর্তমানে বাজার দর ২২৫০ টাকা, ২২০০ টাকার মিনিকেট বর্তমানে ২৩০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
তালোড়ার মোটা চাল মোকামের ব্যবসায়ী আবু তাহের রানা বলেন, হঠাৎ দাম বাড়ার কারণে আগের থেকে সরবরাহ একটু কমেছে। তবে অল্প কয়েকদিনের মধ্যে চালের দাম কমে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।
দুপচাঁচিয়ার খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা কেএম গোলাম রাব্বানী বলেন, চাল সরবরাহের মৌসুম শেষের দিকে মজুদ কমে যায়।
সম্পর্কিত খবর

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহি বাস ধান ক্ষেতে, নারীর মৃত্যু
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরায় একটি যাত্রীবাহি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধান ক্ষেতে পড়ে যায়। এ সময় রহিমা খাতুন নামে একজন নারী পথচারী গুরুতর আহত হয়। বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাতক্ষীরার সিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারী মারা যান। এর আগে সকাল ৬টার দিকে চালতেতলা মোড়ের আজগার আলীর দোকানের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রহিমা খাতুন সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চালতেতলা গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের স্ত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শী আশিকুর রহমান শান্ত জানান, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে যশোরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল বাসটি। সকাল ৬টার দিকে চালতেতলা মোড়ের আজগার আলীর দোকানের সামনে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি পার্শ্ববর্তী ধান খেতে পড়ে যায়। এ সময় বাসের ধাক্কায় পথচারী রহিমা খাতুন মারাত্মক আহত হয়।
নিহতের স্বামী নজরুল ইসলাম জানান, ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি মিললে রাত সাড়ে ৮টার পর পারিবারিক কবরস্থানে রহিমার লাশ দাফন করা হবে।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বাস দুর্ঘটনায় রহিমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কুয়েটের সাবেক ভিসি আলমগীরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
খুলনা অফিস

উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই আরও একটি আলোচিত ঘটনা ঘটলো। একদিকে বর্তমান ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের দাবিতে যখন সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক দফার আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তেমনি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আওয়ামী লীগ আমলের ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় বিগত আট বছর আগের একটি নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরা হয়।
কুয়েটের লালন শাহ হলে ২০১৭ সালের পয়লা মে রাতে দুজন ছাত্রকে নির্যাতনের ফলে একজনের কিডনি নষ্ট হয় এবং অপরজনের চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
ওসি বলেন, কুয়েটের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন, প্রো-ভিসি ড. সোবহান মিয়া, কুয়েট ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ ঘোষিত) সাবেক সভাপতি সাফায়াত হোসেন নয়নসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। গত সোমবার (১৪ এপ্রিল) খানজাহান আলী থানায় মামলা দুটি নথিভুক্ত করা হয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মামলা দুটির বাদী কুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী লুৎফর রহমান ও মাহদী হাসান।
এ ঘটনার দীর্ঘ আট বছর পর চলতি বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগীরা খুলনা মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালত থানাকে মামলাটি গ্রহণের নির্দেশ দিলে সোমবার (১৪ এপ্রিল) মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়।
লুৎফর রহমানের মামলায় সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন, প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া, সাবেক রেজিস্ট্রার জি এম শহিদুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত হোসেন নয়ন, সাধারণ সম্পাদক আলী ইমতিয়াজ সোহান, ছাত্রলীগ কর্মী মো. আসাদুজ্জামান, লালন শাহ্ হলের তৎকালীন ছাত্রলীগ কর্মী ও পরবর্তী কুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্রনীল সিংহ শুভ, ছাত্রলীগ নেতা এইচ এম তানভীর রেজওয়ান সিদ্দিক, আল ইশমাম, রেশাদ রহমান, তারিকুল তিলক, পরিমল কুমার রায়, আলী ইবনুল সানি, তারিক আহমেদ শ্রাবন ও দৌলতপুর থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেনকে আসামি করা হয়।
এছাড়া মাহদী হাসানের মামলায়ও তৎকালীন ভিসি, প্রো-ভিসি, রেজিস্ট্রার, ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা আলী ইবনুল সানি, কুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান, বঙ্গবন্ধু হলের (বর্তমান নাম শহীদ স্মৃতি হল) ছাত্রলীগ কর্মী আবির স্বপ্নিল, তাশরিফ সালেহ রাহুল, ফয়সাল, মশারুর আলম কৌশিক, আসাদুজ্জামান রিয়ান, পরিমল কুমার রায়, তারিক আম্মেদ শ্রাবন, দৌলতপুর থানা শাখার সাবেক সভাপতি এস এম আনোয়ার হোসেনকে আসামি করা হয়।
মামলা দুটি রেকর্ড হওয়ার পর আদালতে কাগজপত্র পাঠানোর পর বিষয়টি প্রকাশ পায়। এখন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ওসি জানান।

জুয়ার আসর বন্ধ করায় এনসিপির ২ নেতার ওপর হামলা
অনলাইন ডেস্ক

কক্সবাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সাবেক নেতা এবং বর্তমান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সংগঠক খালিদ বিন সাঈদ ও সাঈদ স্বাধীন সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে শহরের কলাতলীর হোটেল-মোটেল জোন এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
খালিদ ও স্বাধীন জানান, মাস দেড়েক আগে তারা রামুর চেইন্দা বসুন্ধরা এলাকায় একটি বাণিজ্য মেলায় চলমান জুয়ার আসর বন্ধ করেন।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় লাইট হাউস এলাকার জামাল ও ফয়সাল নামে দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইলিয়াস খান বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

যুবলীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিতে থানা ঘেরাও, অতঃপর...
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে মারপিট ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া স্থানীয় যুবলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতিকে থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে তার সমর্থকরা।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে তার সমর্থকরা রাণীশংকৈল থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আরশেদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হোসেনগাঁও ইউনিয়নের উত্তরগাঁওয়ের বাসিন্দা মমতাজ আলী বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মামলার পরপরই অভিযান চালিয়ে বুধবার ভোররাতে প্রধান অভিযুক্ত মতিউর রহমান মতিকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাফিউল মাজলুবিন রহমান। তিনি মাইকে বিক্ষোভকারীদের শান্ত থাকার এবং অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানান।
ইউএনও শাফিউল মাজলুবিন রহমান বলেন, ‘থানা ঘেরাওয়ের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমি সেখানে যাই। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে তাদের বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করি। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে বাধ্য হয়।’
ওসি আরশেদুল হক জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মৃদু লাঠিচার্জ করা হয়েছে।