ছাতক সিমেন্ট কারখানায় এত মধু?

মাহবুব আলম, ছাতক প্রতিনিধি
মাহবুব আলম, ছাতক প্রতিনিধি
শেয়ার
ছাতক সিমেন্ট কারখানায় এত মধু?
ছাতক সিমেন্ট কারখানা। ছবি: কালের কণ্ঠ

বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) আলোচিত সেই কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বাদশা আবারও ছাতক সিমেন্ট কারখানার আধুনিকায়নে ব্যালান্সিং মর্ডানাইজেশন রেনোভেশন অ্যান্ড এক্সপেনশন (বিএমআরই) প্রকল্পের হর্তাকর্তা হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে বিসিআইসিসহ ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরি এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক  এফ এম বারী কাগজে-কলমে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে থাকলেও নতুন প্রকল্পের মূল কাজ পরিচালনা করছেন চিটাগাং রাঙ্গাদিয়া ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লি. থেকে ছাতক সিমেন্ট কারখানায় পে-রোলে আসা অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (রসায়ন) আব্দুর রহমান বাদশা। তবে পে-রোলে নিয়োগের মেয়াদ শেষ হলেও বহাল তবিয়তেই রয়েছেন তিনি।

এদিকে পে-রোলের মেয়াদ বর্ধিত করা হয়নি বলে কারখানার জিএম (প্রশাসন) গোলাম রাব্বানি জানালেও আব্দুর রহমান বাদশা জানান, তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। অথচ বিসিসিআইর ওয়েবসাইটের দপ্তরাদেশে সব প্রজ্ঞাপন থাকলেও এ ধরনের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (অ্যাব) কেন্দ্রীয় এ নেতার বিরুদ্ধে বিসিআইসির প্রতিষ্ঠান ছাতক সিমেন্ট কারখানা এবং কর্ণফুলী পেপার মিলে (কেপিএম) কর্মরত অবস্থায় ব্যাপক অনিয়ম- দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছিল। ছাতক সিমেন্ট কারখানা থেকে একাধিকবার তদন্ত ও বদলি হয়েও পুনরায় তার ঠাঁই হয়েছে ছাতক সিমেন্ট কারখানায়।

জানা যায়, ছাতক সিমেন্ট কারখানার উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৬ সালে ড্রাই প্রসেস প্রকল্প বাস্তবায়নে ৮৯২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। বর্তমানে চলমান রয়েছে কোটি কোটি টাকার নির্মাণকাজ। এসব কাজের হর্তাকর্তা হিসেবে কাজ করছেন সেই বিতর্কিত আব্দুর রহমান বাদশা। প্রকল্পের কাজ নামে-বেনামে বাগিয়ে নিতে এখানে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন তিনি।

এ সিন্ডিকেটের মাধ্যমেই ব্যাপক অনিয়মের মধ্য দিয়ে নতুন প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

একটি সূত্র জানায়, কারখানার বড় ধরনের সবগুলো দুর্নীতির সঙ্গে আব্দুর রহমান বাদশার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সম্পৃক্ততা ছিল।  ওই কর্মকর্তা ছাতক সিমেন্ট কারখানায় কর্মরত অবস্থায় বিনা টেন্ডারে মাত্র ৩৫ লাখ টাকায় কারখানার পুরনো পাওয়ার প্লান্ট বিক্রির পাঁয়তারা করেছিলেন। পরে স্থানীদের প্রতিবাদের মুখে বাধ্য হয়ে টেন্ডারের মাধ্যমে প্লান্টটি আড়াই কোটি টাকায় বিক্রি করা হয়।

এ ছাড়া নিজস্ব খনি প্রকল্প থেকে রজ্জুপথে আসা কারখানার চুনাপাথর সেনা কল্যাণ সংস্থার নাম ব্যবহার করে খোলাবাজারে প্রতি টন পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করে কারখানার কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও ছিল বাদশাসহ এ চক্রের বিরুদ্ধে।

যা নিয়ে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় একাধিক সংবাদসহ সম্পাদকীয় কলামও ছাপা হয়েছিল।

স্থানীয় নুরুল আমিন, আব্দুল খালিকসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, আব্দুর রহমান বাদশাই এখন কারখানার অঘোষিত প্রজেক্ট ডিরেক্টর (পিডি) হিসেবে কাজ করছেন। এক শ্রমিকনেতার যোগসাজশে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নামে-বেনামে বিভিন্ন ধরনের কাজ বণ্টন করা হচ্ছে। যার বেশির ভাগ ঠিকাদারের সঙ্গেবি ব্যবসায়িক পার্টনার হিসেবে আছেন আব্দুর রহমান বাদশা। এমনকি আগে কাজ করিয়ে পরবর্তী সময়ে নিয়ম রক্ষার জন্য কাগজে-কলমে টেন্ডার প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের অভিযোগ রয়েছে এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে বিএমআরই প্রজেক্ট সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে আব্দুর রহমান বাদশা জানান, তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। তিনি নিয়মাবলি মেনেই কাজ করছেন।

ছাতক সিমেন্ট কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফ এম বারীর মোবাইল ফোনে বারবার কল দিলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ইয়াবাসহ নারী ইউপি সদস্য ও তার ছেলে গ্রেপ্তার

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
শেয়ার
ইয়াবাসহ নারী ইউপি সদস্য ও তার ছেলে গ্রেপ্তার
সংগৃহীত ছবি

কুমিল্লায় সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য ও তার ছেলেকে মাদকসহ গ্রেপ্তার করেছে তিতাস থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাতে উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে তাদের কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

আটকরা হলেন, উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য মাছিমপুর গ্রামের বাসিন্দা চম্পা বেগম ও তার ছেলে জয় সরকার।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার আসামিদের নামে একাধিক মাদক ও ডাকাতির মামলা রয়েছে।

আরো পড়ুন
সরকারি জায়গায় যুবলীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

সরকারি জায়গায় যুবলীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

 

জানা যায়, মাদক বিরোধীর বিশেষ অভিযানে ৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও মাদক তৈরির সরঞ্জামসহ আসামিদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

এ বিষয়ে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শহিদ উল্লাহ বলেন, ইয়াবা ও মাদক তৈরির সরঞ্জামসহ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক ও ডাকাতির মামলা রয়েছে।

আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
 

মন্তব্য

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নতুন শেড নির্মাণ, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

তোফায়েল আহমদ, কক্সবাজার
তোফায়েল আহমদ, কক্সবাজার
শেয়ার
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নতুন শেড নির্মাণ, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী
ছবি: কালের কণ্ঠ

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নতুন করে শেড নির্মাণের কাজ চলায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আলোচনা চলাকালে এই নির্মাণকাজ তাদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।

পালংখালী ইউনিয়নের ১৪ নম্বর হাকিম পাড়া ক্যাম্পের লাগোয়া বনভূমিতে ‘সওয়াব’ নামের একটি এনজিও ১২২টি শেড নির্মাণ করছে। স্থানীয়রা জানান, সামাজিক বনায়নের জায়গা ও একটি জলাধার ভরাট করে এই কাজ চলছে।

এনজিওটির দাবি, পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে থাকা রোহিঙ্গাদের জন্য এই শেড তৈরি করা হচ্ছে। তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী অভিযোগ করেন, তাকে না জানিয়েই গাছ কেটে ও পাহাড় ভেঙে এই নির্মাণকাজ করা হচ্ছে।

রোহিঙ্গা শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) দপ্তর থেকে একাধিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। এক কর্মকর্তা বলেছেন, নতুন আসা রোহিঙ্গাদের জন্য এই শেড, অন্যজন দাবি করেছেন এটি আগের টেন্ডারের কাজ।

তবে স্থানীয়রা সন্দেহ করছেন, গত কয়েক মাসে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের জন্যই এই ব্যবস্থা।

বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক নেতারাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিএনপির কক্সবাজার জেলা সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে।

জামায়াতের মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী আশঙ্কা প্রকাশ করেন, নতুন শেড দেখে আরও রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসতে উৎসাহিত হতে পারেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নূরুল আবসার বলেন, জলাধার ভরাট করে শেড বানানো হচ্ছে, কিন্তু আমাদের অভিযোগের কোনো প্রতিকার হয়নি। এনজিওটির কো-অর্ডিনেটর আতাউল্লাহ দাবি করেন, সরকারি অনুমতি নিয়েই কাজ চলছে। তবে ‘আমিনা ভিলেজ’ নামে সাইনবোর্ড টানানোর যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, এটি একজন দাতার নামে করা হয়েছে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা জোরেশোরে চললেও ক্যাম্পে নতুন নির্মাণের এই ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে নতুন প্রশ্ন ও উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে।

মন্তব্য

সরকারি জায়গায় যুবলীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি
ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি
শেয়ার
সরকারি জায়গায় যুবলীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
ছবি: কালের কণ্ঠ

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় নিমগাছি ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ইবনে সাউদ ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে সরকারি জলাশয়ের জায়গা দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একই এলাকার ব্যবসায়ী ইব্রাহীম হোসেন ও শিহাব উদ্দিন বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।  

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খৃষ্টফার হিমেল রিছিল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পৃথক দু’টি অভিযোগ সরেজমিন তদন্তের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) খায়রুজ্জামানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো পড়ুন
বাইরের থেকে ভিতরেই ভালো আছি : শাজাহান খান

বাইরের থেকে ভিতরেই ভালো আছি : শাজাহান খান

 

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের নাংলু গ্রামে আইওর দিঘি নামে সাড়ে ৩ একর আয়তনের একটি সরকারি জলাশয় রয়েছে। জলাশয়টি উপজেলা পরিষদ থেকে বার্ষিক ইজারা বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। জলাশয়ের দক্ষিন-পশ্চিম কোনে পাড়ের প্রায় ৩৩ শতক জায়গা দখল নিয়েছে যুবলীগ নেতা ইবনে সাউদ ও তার পরিবারের লোকজন। তারা সেখানে প্রায় ১২ বছর ধরে আধাপাকা দোকান ঘর নির্মান করে ব্যবসা করছে।

অবৈধভাবে গড়ে তোলা ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জলাশয়ের ভাঙন থেকে রক্ষা করতে সরকারি অর্থায়নে প্যালাসাইটিং নির্মান করা হয়েছে।  এদিকে জলাশয়ের পাড় দখল করে দোকান ঘর নির্মান করায় মাছ চাষ ব্যহত হচ্ছে। ফলে জলাশয় ইজারাদারের অংশীদার নাংলু গ্রামের ইব্রাহীম হোসেন ও সিহাব উদ্দিন ৮ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। ওই অভিযোগে ইবনে সাউদ ও তার ভাই ইউপি সদস্য আব্দুল বাছেদ বাটুলসহ ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা ইবনে সাউদ বলেন, আমার নিজস্ব জায়গার সাথে জলাশয়ের পরিত্যক্ত জায়গার কিছু অংশে দোকান ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

মন্তব্য

দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের হা ডু ডু খেলায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়

কাজল আর্য, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
কাজল আর্য, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
শেয়ার
দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের হা ডু ডু খেলায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়
ছবি: কালের কণ্ঠ

টাঙ্গাইলের দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হা ডু ডু খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকালে সদর উপজেলার বাগবাড়ি চৌবাড়িয়া যুব সমাজের উদ্যোগে তোরাপগঞ্জ স্কুল মাঠে খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। 

এ সময় হাজার হাজার দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠে খেলার মাঠ। দীর্ঘদিন পর এমন আয়োজন হওয়ায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নানা বয়সী মানুষ এই খেলা উপভোগ করেন।

আয়োজকরা জানান, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হাডুডু খেলা প্রায় বিলুপ্তির পথে। তাই নববর্ষ উপলক্ষে পুরনো ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের নিয়ে এই ব্যতিক্রমী খেলার আয়োজন করা হয়েছে। দর্শকরা করতালির মাধ্যমে উৎসাহ দিয়েছেন। বড়দের পাশাপাশি শিশুও উপভোগ করেছে।

ভবিষ্যতে এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা চোখে কিছুই দেখতে পান না। তবুও শব্দের সাহায্যে প্রতিপক্ষকে পরাজয় করতে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন তারা। খেলায় দুই দলের ৭ জন করে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা অংশ গ্রহণ করেন।

খেলায় কাতুলী ইউনিয়ন বিএনপি’র সহ সভাপতি আব্দুল লতিফ মিয়া সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল।

দর্শনার্থীরা বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের হাডুডু খেলা দেখতে আমাদের ভালো লেগেছে। আমরা চাই এমন হাডুডু খেলার আয়োজন আগামীতেও হোক।’

অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল বলেন, ‘নববর্ষে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য এমন ব্যতিক্রমী খেলার আয়োজন করেছে। এমন আয়োজনে অনেকদিন পর গ্রামের মানুষ উপভোগ করতে পেরেছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ