ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৬

বিয়ের আলোচনায় বাগবিতণ্ডা, মেয়ের দুলাভাইয়ের হাতে পাত্র খুন!

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
বিয়ের আলোচনায় বাগবিতণ্ডা, মেয়ের দুলাভাইয়ের হাতে পাত্র খুন!
প্রতীকী ছবি।

হবিগঞ্জে বিয়ের আলোচনা নিয়ে বাগবিতণ্ডার সময় সজিব মিয়া (২৫) এক যুবক ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন। এঘটনায় কাদির আহমেদ উজ্জল নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৮ মে) রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার শৈলজুরা গ্রামে এঘটনা ঘটে। 

নিহত সজিব মিয়া ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার বড়ইকান্দি গ্রামের কাজীবুর রহমানের ছেলে।

আটককৃত উজ্জ্বল হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে।

পুলিশ জানায়, কিছুদিন আগে শৈলজুরা গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান সজিব মিয়া। এসময় ওই গ্রামের মানিক মিয়ার মেয়েকে তার পছন্দ হয়। একপর্যায়ে পরিবারের মাধ্যমে মানিক মিয়ার কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠান তিনি।

বিয়েতে মানিক মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন রাজি হলেও রাজি হননি তার বড় মেয়ের জামাই উজ্জল।

মঙ্গলবার বিকেলে সজিব আবারো শৈলজুরা গ্রামে বেড়াতে যান। এসময় উজ্জল মিয়ার সঙ্গে তার কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উজ্জল মিয়া ছুরি দিয়ে সজিব মিয়ার পেটে ও বুকে উপর্যুপরি আঘাত করেন।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থেকে উজ্জল মিয়াকে আটক করে।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দোস্ত মোহাম্মদ বলেন, 'পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে পাঠিয়েছে। এঘটনায় উজ্জলকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে'।

মন্তব্য
একে অপরকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ

‘আওয়ামী লীগ’ ট্যাগ লাগিয়ে দুই নেতার জিডি, সংবাদ সম্মেলন

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
শেয়ার
‘আওয়ামী লীগ’ ট্যাগ লাগিয়ে দুই নেতার জিডি, সংবাদ সম্মেলন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের ‘চিত্রি’ গ্রামে আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তার নিয়ে দুটি বিবদমান গ্রুপের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একে অপরকে ‘প্রাণ নাশের হুমকি’ দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ওই গ্রামটিতে কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন মহলে আলোচনার ঝড় বইছে। 

এ অবস্থায় বিবদমান দুই গ্রুপের দুই শীর্ষ নেতা একে অপরকে ‘আওয়ামী লীগ’-এর ট্যাগ লাগিয়ে নবীনগর থানায় দুটি জিডি করেছেন। 

এদিকে দুই পক্ষের ওই দুই আলোচিত নেতা গতকাল সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে নবীনগর প্রেসক্লাব ও রিপোর্টার্স ক্লাবে দুটি পৃথক সংবাদ সম্মেলনও করেছেন।

নবীনগর থানায় অভিযোগ করা ওই দুটি জিডির সূত্র ও সংশ্লিষ্ট দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চিত্রি গ্রামের হাবিবুর রহমান ও জালাল সরকার দুজনেই চিত্রি উত্তর পাড়ার বাসিন্দা ও প্রতিবেশী। 

এদের মধ্যে হাবিবুর রহমান ঢাকার মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ‘স্টোর অফিসার’ এবং জালাল সরকার সুদীর্ঘ ১৮ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় প্রবাসী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বলে জানান এলাকাবাসী। তবে গ্রামটিতে আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তার নিয়ে এই দুই নেতার রয়েছে গ্রামে বেশ অনুসারী।

এলাকার লোকজন জানান, গ্রাম্য মাতব্বরির আধিপত্য স্ব স্ব কব্জায় রাখা নিয়ে এই দুই নেতার গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ চলছিল।

এরই জের ধরে গত ৬ এপ্রিল একে অপরের বিরুদ্ধে ‘প্রাণনাশের হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগ এনে নবীনগর থানায় দুটি পৃথক জিডি করেন।

পাশাপাশি নবীনগর সদরে এসে দুটি সাংবাদিক ক্লাবে ঘটা করে একে অপরের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেন।

এদিকে থানায় জমা দেওয়া দুটো জিডির একটিতে জালাল সরকার বাদী হয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন, গত ৪ এপ্রিল বিকেল ৫টায় চিত্রি গ্রামের কবরস্থানের পাশে প্রতিপক্ষ হাবিবুর রহমান ও তার লোকজন তাকে (জালাল) অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে একপর্যায়ে ‘প্রাণ নাশের হুমকি’ প্রদান করে।

অপর জিডিতে হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন একই দিনে (৪ এপ্রিল) বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে প্রতিপক্ষ জালাল সরকার ও তার লোকজন চিত্রি গ্রামের নদীর পাড়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে একপর্যায়ে তাকেও (হাবিব) ‘প্রাণ নাশের হুমকি’ প্রদান করে।

এ অবস্থায় এই দুই আলোচিত নেতা সোমবার রাতে (৭ এপ্রিল) নবীনগর উপজেলা সদরে এসে একে অপরকে ‘আওয়ামী লীগ’-এর ট্যাগ দিয়ে হাবিবুর রহমান গং নবীনগর প্রেস ক্লাবে এবং জালাল সরকার গং রিপোর্টার্স ক্লাবে দুটি পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেন।

এ বিষয়ে জালাল সরকার মঙ্গলবার দুপুরে এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘হাবিবুর রহমান একজন চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ সরকারি চাকরিজীবী। ইতিমধ্যে সে একাধিকবার হসপিটালের চাকরি থেকে ‘বরখাস্ত’ হয়েছেন। সে ও তার স্ত্রী আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ দোসর। আওয়ামী লীগের আমলে নানা সুযোগ সুবিধা নিয়ে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন।

ফলে তার বিরুদ্ধে দুদকে মামলাও আছে। এই হাবিবই মূলত গ্রামে দলাদলি সৃষ্টি করে রাখে। আমি এর প্রতিবাদ করায় আমাকে সে ও তার লোকজন প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। এমনকি বিদেশেও আমাকে লোক পাঠিয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিল।’

তবে ‘স্টোর অফিসার’ হাবিবুর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মঙ্গলবার দুপুরে এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমি নই। মূলত জালাল গংই চিত্রি গ্রামে দলাদলি সৃষ্টি করে রেখেছে। সে হলো খাস আওয়ামী লীগ। চিত্রি ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগেরও সদস্য। তাই সে এতদিন প্রভাব বিস্তার করে নানা অপকর্ম করেছে। আর আমি তার প্রতিবাদ করায় গত ৪ এপ্রিল সে ও তার লোকজনের হামলায় আমি নদীতে ঝাপ দিয়ে প্রাণে বেঁচেছি। 

এ বিষয়ে  মঙ্গলবার দুপুরে নবীনগর থানার ওসির সরকারি ফোন নম্বরে কল দিলে, থানার এস আই আবদুল মোন্নাফ কল রিসিভ করে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ওসি স্যার ছুটিতে।’

এসময় থানায় দুটি জিডির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

মন্তব্য

ফরিদপুরে সেই বাসের ফিটনেস সনদ মেয়াদোত্তীর্ণ, তদন্তে কমিটি

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
ফরিদপুরে সেই বাসের ফিটনেস সনদ মেয়াদোত্তীর্ণ, তদন্তে কমিটি
ছবি: কালের কণ্ঠ

ফরিদপুরে ফারাবী ডিলাক্স পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী লোকাল বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে বাবা-ছেলেসহ ৭ জন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছে অন্তত আরো ২৫ যাত্রী। এ ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। বাসটির ফিটনেস সনদ ও ট্যাক্স-টোকেন মেয়াদোত্তীর্ণ বলে জানা গেছে।

 

সড়কে খানাখন্দে ভরা লোকাল বাসটির বেপরোয়া গতির কারণেই সড়ক দুর্ঘটনা। ৭ জন নিহতের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা গেছে। দুর্ঘটনার পর গাড়ির চালক পালিয়ে যায়। 

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১টার দিকে ফরিদপুর সদরের জোয়াইড় এলাকার শরীফ জুটমিল সংলগ্ন ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদউজ্জামান জানান, এ দুর্ঘটনায় সর্বশেষ সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে তিনজন নারী ও চারজন পুরুষ রয়েছে।

এ ঘটনায় অতিরিক্ত একজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করবে।

পরে তাদের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্তা নেওয়া হবে। নিহত প্রত্যেককে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে।

দূর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার শেখরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা বাবা জোয়ার সরদার (৭০) তার ছেলে ইমান সরদার (৩৩), নগরকান্দার কাঠিয়া বড়গ্রামের বাসিন্দা রাজীব খানের স্ত্রী দীপা খান (৩৪), ফরিদপুর সদরের চর চাঁদপুর গ্রামের বলরাম সরকারের স্ত্রী ভারতি সরকার (৪২), চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীটেক গ্রামের বাসিন্দা খালেক চৌধুরীর ছেলে আলম চৌধুরী (৪২), ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট মহল্লার বাসিন্দা লতিফ ব্যাপারির স্ত্রী ফজিরন নেসা (৪০) এবং লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার পূর্ব ফকিরপাড়া গ্রামের জহিরউদ্দিনের ছেলে আজিবর উদ্দিন (৪৪)।

পুলিশ ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনাকবলিত ফরিদপুরগামী ফারাবি ডিলাক্স পরিবহনটি (ঢাকা মেট্রো-জ-১১-০০৬৬) গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে নগরকান্দা হয়ে ফরিদপুর আসছিল। আসার পথে সময় বাঁচাতে দ্রুতগতির গাড়িটি একটি পরিবহনকে ওভারটেক করতে গিয়ে ফরিদপুর সদরের জোয়াইড় এলাকার শরীফ জুট মিল সংলগ্ন ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে পাশে একটি বিদ্যুতের পিলারে ধাক্কা খেয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এ দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩টা পর্যন্ত ৭ যাত্রী নিহত ও ২৫ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। এ সময় বিদ্যুতের পিলারের মধ্যে বাসের একটি অংশ ঢুকে যায়। বাসের মধ্যে ৩৫ জন যাত্রী ছিল বলে ধারণা করছে উদ্ধারকারীরা।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে আহত ৩৫ যাত্রীকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক ভাবে ৫জনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ২টার দিকে আরো দুইজন মারা যায়। এ ঘটনায় আরো ১০-১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাঁধন সরকার (২৫) নামে দুর্ঘটনায় এক  আহত যাত্রী জানান, বাসটি তালমার মহিলা রোড থেকে ছাড়ার পর বেপরোয়া গতিতে চলতে শুরু করে। যাত্রীরা বার বার বলার পরেও বাসচালক কারো কথা শোনেননি।

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসের নিচে চাপা পড়ে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইশরাত জাহান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে বাসের গতি ৮০ কিলোমিটারের ঊর্ধ্বে ছিল। এ ব্যাপারে জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সঙ্গে সভা করা হবে। এভাবে অতিরিক্ত গতির কারণে এ দুর্ঘটনা, এ মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। চালকের বেপরোয়া গতির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে ফরিদপুর হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, গাড়িটি দ্রুতগতির ছিল একই সঙ্গে আরেকটি দ্রুত কোনো যানকে ওভারটেকিং করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ফরিদপুরের কার্যালয় সূত্র জানায়, দুর্ঘটনাকবলিত ফরিদপুরগামী হাই ডেক্স (ফরিদপুর-জ ১১-০০৬৬) ফারাবী পরিবহনের বাসটির মালিক ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ফায়জুর রহমান। তিনি ভাঙ্গা উপজেলা পৌর সদরের কোর্টপাড় এলাকার বাসিন্দা। বাসটির ফিটনেস সনদ ও ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। দুর্ঘটনার পর বাসচালক পালিয়ে যান। তবে তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ফরিদপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাসির উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির ফিটনেস সনদের মেয়াদ গত ৫ মার্চ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া ২০২৪ সালের ২৬ জুন বাসটির ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদও শেষ হয়েছে। ঘটনার পর বাসচালক পালিয়ে যান। তাকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, এ ঘটনায় অতিরিক্ত একজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করবে। পরে তাদের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, নিহত প্রত্যেককে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক ২৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে বিআরটিএ’র মাধ্যমে এককালীন টাকা দেওয়া হবে।

মন্তব্য

কুড়িগ্রামে মোটরসাইকেল-ট্রলির সংঘর্ষে ব্যবসায়ী নিহত

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
শেয়ার
কুড়িগ্রামে মোটরসাইকেল-ট্রলির সংঘর্ষে ব্যবসায়ী নিহত
সংগৃহীত ছবি

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় মোটরসাইকেল ও ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে জয়নাল আবেদীন (৬০) নামের এক স’মিল ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে কুড়িগ্রাম-নাগেশ্বরী সড়কের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের পাটেশ্বরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জয়নাল নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের নন্দনপুর গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, নিহত জয়নাল তার শ্যালক জুয়েলের সঙ্গে মোটরসাইকেল যোগে কুড়িগ্রাম থেকে ভিতরবন্দ যাওয়ার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রলির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে মোটরসাইকেল আরোহী জয়নাল ঘটনাস্থলে নিহত হয়। মোটরসাইকেল চালক জুয়েল গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয় স্থানীয়রা।

কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ জানান, খবর পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে।

মন্তব্য

গোপালগঞ্জে ভুয়া পুলিশ গ্রেপ্তার

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
গোপালগঞ্জে ভুয়া পুলিশ গ্রেপ্তার
ছবি: কালের কণ্ঠ

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকা থেকে পুলিশের ভুয়া এসআই পরিচয়দানকারী উৎপল মন্ডল ওরফে গৌতম মন্ডল (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত গৌতমের বাড়ি মুকসুদপুর উপজেলার দিস্তাইল গ্রামে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান জানান, মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় পুলিশের পরিচয় দিয়ে সুবিধা নিতে যায়  গৌতম। বিষয়টি জনগণের সন্দেহ হলে তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।

পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে সঠিক বিষয়টি স্বীকার করে।

পরে তাকে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ