কুমিল্লায় পানিতে ডুবে গত দুই দিনে তিন শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গত রবিবার হোমনায় তিতাস নদীতে গোসল করতে নেমে দুজন ও আজ মঙ্গলবার দুপুরে একই নদীতে ডুবে আরেক শিশুর মৃত্যুর হয়েছে।
গত রবিবার তিতাস নদীতে পানিতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয় মাহবুব (৯) ও মারিয়া আক্তার (১১)। পরে বিকালে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরি দল।
আজ মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে হোমনার লঞ্চঘাট এলাকায় তিতাস নদীতে আব্দুল্লাহ (৯) নামে এক শিশু পানিতে তলিয়ে যায়। পরে চার ঘণ্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরি দল। নিহত আব্দুল্লাহ হোমনা পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা সৌদি আরব প্রবাসী মো.সবুজ মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুল্লাহ তার সমবয়সী জুবায়েরের সাথে দুপুরে লঞ্চ ঘাটে গোসল করতে এসে নদীতে নেমে বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ করছিল। পরে হঠাৎ আবদুল্লাহ ও জুবায়ের পানির নিচে চলে যায় তখন পাশে থাকা সাব্বির জুবায়েরকে আটকাতে পারলেও আবদুল্লাহকে খুঁজে পায়নি। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে হোমনা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। তারা ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করেন।
হোমনা ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার সোলাইমান বলেন, শিশু নিখোঁজের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আমরা ঘটনাস্থলে আসি এবং চাঁদপুর ডুবুরি দলকে খবর দেই। তারা জানায় অন্যত্র আছেন, পরে ঢাকা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই। ঢাকা থেকে ডুবুরি দল এসে বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে নিখোঁজ শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিখোঁজ আব্দুল্লাহর মা শিখা বলেন, আমাকে না জানিয়ে নদীতে গোসল করতে এসেছে আব্দুল্লাহ। কখন এসেছে আমি জানি না—এই কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
এ বিষয়ে হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি।
গত রবিবার তিতাস নদীতে গোসল করতে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু হয়। নিহতরা হলো নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ এলাকার আলী নেওয়াজের মেয়ে মারিয়া আক্তার (১১) এবং গাজীপুর টঙ্গীর এলাকার মো. বিল্লাল হোসেনের ছেলে মাহবুব হোসেন (৯)।