ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৬

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ৫ বছর

বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
শেয়ার
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ৫ বছর

আগামীকাল ২৫ আগস্ট। মিয়ানমারের রাখাইনে ওই দেশের সেনাবাহিনীর হাতে গণহত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পাঁচ বছর পূর্ণ হলেও শুরু হয়নি প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া। কূটনৈতিক জটিলতায় আটকে আছে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন। ফলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে বাড়ছে নানা ধরনের অপরাধপ্রবণতা।

 

তবে রোহিঙ্গারা বলছে, তারা স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে চায় তাদের ফেলে আসা বাপ-দাদার ভিটায়।

উখিয়ার মধুরছড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকের কলিম উল্লাহর ভাষ্যমতে, ‘দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে অনেকটা বন্দি জীবন পার করছি। তবে বুক ভরা আশা নিয়ে স্বদেশে ফেরার প্রহর গুনছি। আন্তর্জাতিকভাবে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারলে প্রত্যাবাসন সহসাই হবে।

উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা মো. আলম মাঝি বলেন, ‘আজ পাঁচ বছর কেটে যাচ্ছে, আমাদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন দেখছি না। তবে আমরা বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বাংলাদেশে আমাদের জায়গা না দিলে আমরা কোথায় যেতাম?’

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তল্লাশিচৌকিতে হামলার অভিযোগ এনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর শুরু করে গণহত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ। তাদের বর্বর অত্যাচার-নির্যাতনের মুখে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে ১১ লাখ ১৮ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয়।

এ পরিস্থিতিতে গত পাঁচ বছরে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে আরো দেড় লাখের ওপরে। 

শুরু থেকে বাংলাদেশ সরকার এবং ‘ইউএনএইচসিআর’-এর তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এসব রোহিঙ্গাকে খাদ্য, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন অফিস ৩৪টি শরণার্থী শিবিরে প্রশাসনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রায় এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পর বাংলাদেশ সরকার প্রথমে মিয়ানমারের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু কূটনৈতিক নানা কারণে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সিংগাইরে বাবা-ছেলের ধর্ষণে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণী

সিংগাইর, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
সিংগাইর, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
শেয়ার
সিংগাইরে বাবা-ছেলের ধর্ষণে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণী
প্রতীকী ছবি

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বুধবার (৯ এপ্রিল) থানায় পৃথক দুটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী তরুণীর মা। মামলার আসামিরা হলেন- উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের বিন্নাডাঙ্গী গ্রামের তারা মিয়া (৫৮) ও তার ছেলে আলামিন (৩৫)।

মামলার এজাহার ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২৮ বছর বয়সী ভুক্তভোগী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণীকে নিয়ে তার মা উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের বিন্নাডাঙ্গী গ্রামে ভাড়া বাড়িতে থাকেন।

তাদের পৈতৃক বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। বাসার পাশে তারা মিয়ার মুদি দোকান। সেখান থেকে তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করতেন। গত বছরের ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণী তারা মিয়ার দোকানে কেনাকাটা করতে যান।
এসময় দোকানে ছিলেন তারা মিয়ার ছেলে আলামিন। তখন কেউ না থাকায় তরুণীকে দোকানের ভেতরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আলামীন। এর তিন দিন পর ২৮ অক্টোবর সকালে ওই দোকানে সদাই কিনতে গেলে তরুণীকে ফুসলিয়ে পাশেই ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে আলামীনের বাবা তারা মিয়া। এ ঘটনার কয়েক মাস পর ভুক্তভোগী তরুণী পেটে ব্যথা অনুভব করলে বিষয়টি তার মাকে জানান।
পরে স্থানীয় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে প্রেগনেন্সি টেস্ট করলে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি ধরা পড়ে।

এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত তারা মিয়া ও তার ছেলে আলামিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু না পাওয়ায় তাদের মতামত জানা যায়নি।

সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জেওএম তৌফিক আজম বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত তারা মিয়া ও ছেলে আলামীনকে আসামি করে থানায় পৃথক দুটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী তরুণীর মা। মামলা নথিভুক্ত হওয়ার পর ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য ভুক্তভোগী তরুণীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর ডিএনএ টেস্ট করে পিতৃ পরিচয় নিশ্চিত করা হবে। এ ছাড়া মামলা হওয়ার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য

বরিশালে বিএনপির কর্মিসভায় চেয়ারে বসা নিয়ে মারামারি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
শেয়ার
বরিশালে বিএনপির কর্মিসভায় চেয়ারে বসা নিয়ে মারামারি
ছবি: কালের কণ্ঠ

বরিশাল মহানগর বিএনপির কর্মিসভায় দুই পক্ষের ম‌ধ্যে মারামারির ঘটনা ঘ‌টে‌ছে। একইস‌ঙ্গে দুই প‌ক্ষের ম‌ধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘ‌টে‌ছে। ওই কর্মিসভায় চেয়ারে বসা নিয়ে এই মারামারিতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

বুধবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে নগরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের একটি রেস্তোরাঁয় মহানগর বিএনপি এই কর্মিসভার আয়োজন করে।

দলের জ্যেষ্ঠ নেতা ও অতিথিদের সামনে মারামারি ও হট্টগোলে সভার কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এ সময় কর্মিসভায় আসা নারীসহ অনেক কর্মী বেরিয়ে যান।

প্রত‌্যক্ষদশীরা বল‌ছেন, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ১০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলামের অনুসারীরা মিছিল নিয়ে সভাস্থলে প্রবেশ করে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় একটি পক্ষ তাদের বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়।

পরে বসার জায়গা না পেয়ে দুই পক্ষের হাতাহাতি শুরু হয়। পরব‌র্তীতে তা মারামারিতে রূপ নেয়।

তারা অতিথিদের উপস্থিতিতেই একে অপরকে কিল-ঘুষি মারেন এবং চেয়ার ছোড়াছুড়ি করেন। এতে সভা কার্যক্রম থমকে যায়।

ওয়ার্ড বিএনপির সদ্য সাবেক সদস্য সচিব দুলাল হোসেন বলেন, মিছিল নিয়ে এসে আমরা সভাস্থলে বসে অতিথিদের কথা শুনছিলাম। হঠাৎ চেয়ারে বসা নিয়ে কেডিসি ও ভাটার খাল এলাকার যুবকদের মধ্যে বিরোধ বাধে।

এ সময় মারামারিতে আমার সমর্থক মিজানসহ কয়েকজন আহত হন। মারামারির কারণে অনেকে সভাস্থল থেকে বেরিয়ে যান। বিশেষ করে, নারী কর্মীরা সভায় ছিলেন না।

অল্প কিছু লোকের মধ্যে সদস্য ফরম বিতরণ করে সভা শেষ করা হয়।

একই ওয়ার্ড বিএনপির সদ্যসাবেক আহ্বায়ক তোতা মিয়া বলেন, চেয়ারে বসা নিয়ে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঝামেলা হয়। কর্মীরা একে অপরকে কিল-ঘুষি দিতে থাকেন। কারা করেছেন, তা শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। তাদের এই কাণ্ডে আমাদের সারা দিনের কষ্ট ব্যর্থ হয়ে যায়।

বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন বলেন, কর্মিসভায় আসা একজনকে তাদের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দেয়। এ নিয়ে হট্টগোল বাধে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে সভা শেষ করেছি। এ ঘটনায় কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখে দায়ীদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মহানগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন বলেন, আমাদের টিমপ্রধান বলেছেন, ১১ এপ্রিল বসে ওয়ার্ড কমিটি গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তারপরও আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব সভা করে যাচ্ছেন। এতে বিভিন্ন স্থানে বিশৃঙ্খলা ঘটছে। হাতাহাতি ও মারামারি ঘটেই যাচ্ছে। তবুও তাঁরা পকেট কমিটি করতে চাচ্ছেন।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুকের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি তা ধরেননি।

মন্তব্য

সাভারে চাঁদা না দেওয়ায় গুলি ও মাঝিদের মারধর, দুই নৌকা লুট

সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
শেয়ার
সাভারে চাঁদা না দেওয়ায় গুলি ও মাঝিদের মারধর, দুই নৌকা লুট

সাভারে দাবিকৃত ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় প্রকাশ্যে গুলি করে দুটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা লুট করে নিয়ে গেছে একদল দুর্বৃত্ত। বুধবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে সাভারের কাতলাপুর বংশী নদীর মিলনঘাট এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

এ ঘটনায় ঘাটের ইজারাদার কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

প্রত‍্যক্ষদর্শী হেদায়েত উল্লাহ জানান, কয়েকদিন আগে একদল সন্ত্রাসী ঘাট ব‍্যবসায়ী কামরুল ইসলামের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

কিন্তু ঘাট কর্তৃপক্ষ চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় বুধবার বিকেলে সন্ত্রাসী অন্তরের নেতৃত্বে ৮-১০ জনের একদল দুর্বৃত্ত অস্ত্র নিয়ে কাতলাপুর এলাকার মিলনঘাটে এসে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। পরে তারা ঘাটে থাকা ২টি ট্রলার লুট করে অস্ত্র উচিয়ে চলে যায়।

লিখিত অভিযোগের বাদী ঘাট ব‍্যবসায়ী কামরুল ইসলাম জানান, বেশকিছুদিন ধরে পার্শ্ববর্তী ফুডনগর মোল্লাপাড়া এলাকায় অন্তর খান (২৬), মাহাবুল্লাহ খানের ছেলে মোর্শেদ খান (২৫), মোশারফ খান (২৮), হৃদয় (২৫) ও রনি খান (৪২) আমার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তাদের দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় বিকেলে আরো ১০-১২ জন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী পিস্তল, ধারাল চাপাতি, রামদা, ছোরা, চাকু, লোহার রড, লোহার পাইপ নিয়ে হামলা চালিয়ে কাতলাপুর কর্ণপাড়া মিলনঘাটে এসে আমাকে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে।

এসময় আমার ডাক-চিৎকারে ঘাটে উপস্থিত মাঝি খোকন (৬০) ও আরমান আলী (৩৪) এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকে মারধর করে ৮ লাখ টাকা মূল্যের দুটি ট্রলার লুট করে নিয়ে যায়। বিষয়টি জানিয়ে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা জানান, গুলি করে ট্রলার লুটের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সাভার মডেল থানা হতে লুট হওয়া ১২টি অস্ত্র এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

মন্তব্য

ঝিনাইদহে বিএনপিকর্মীকে কুপিয়ে হাত বিচ্ছিন্ন করল প্রতিপক্ষরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
শেয়ার
ঝিনাইদহে বিএনপিকর্মীকে কুপিয়ে হাত বিচ্ছিন্ন করল প্রতিপক্ষরা
ছবি: কালের কণ্ঠ

ঝিনাইদহ সদরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে রিপন মোল্লা নামের এক বিএনপিকর্মীকে কুপিয়ে হাত বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাতে উপজেলার রাজাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

আহত রিপন মোল্লা সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাক মোল্লার ছেলে।

এ ঘটনায় আহতের মা নূরজাহান বেগম বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

আহতের স্ত্রী ইসমতারা বলেন, গ্রামে বিএনপির গ্রুপ পরিবর্তন নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় রাজাপুর গ্রামের হুমায়ুন, আব্দুল করিম, মিঠুন ও বাড়িবাথান হারুন।

পরে সেখানে তাকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে যায় তারা।

এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন কালের কণ্ঠকে বলেন, এ ঘটনায় আহত রিপনের মা থানায় মামলা দায়ের করেছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ