<p>চার দিনের টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় খোয়াই নদীর পানি গত ২২ আগস্ট (বুধবার) বিকেলে খোয়াই নদীর পানি ১৭০ সেন্টিমিটার এবং উজানে চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা সীমান্ত পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।</p> <p>খোয়াই নদীর ডাইক উপচে নানা স্থান দিয়ে পানি ঢুকে উপজেলার কমপক্ষে ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। শায়েস্তাগঞ্জ শহরের নিচু এলাকার বাসাবাড়ি, দোকানপাট, রাস্তা ও গ্রামের পাড়া মহল্লায় পানি উঠেছে। ডুবে গেছে ফসলি জমি ও মৌসুমি সবজি। এ ছাড়া সুতাং নদীর পানি বাঁধ উপচে কয়েক শ হেক্টর ধানের ফসলি জমি আউশ ফসল তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলেও নতুন করে আরো কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হতে পারে। জানা যায়, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টির কারণে উজানের ঢলে পানি নামছে খোয়াই নদী দিয়ে। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় খোয়াই নদীর বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আতঙ্ক দেখা দিয়েছে শায়েস্তাগঞ্জ  পৌরসভার আলাপুর, পূর্ব লেঞ্জাপাড়া, পুরান বাজার, কুটির গাঁওসহ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের মাঝে। সময়মতো বাঁধ মেরামত না করায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি স্থান। প্রতিটি এলাকার লোকজন দিন-রাত খোয়াই নদীর বাঁধ পাহারা দিচ্ছেন। সেনাবাহিনীর সদস্য ও স্থানীয়রা বাঁধে বালুর বস্তা ফেলে পানি প্রবেশ ঠেকাতে চেষ্টা করছেন।</p> <p>পৌর শহরে ও শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নের আলাপুর আংশিক, চরহামুয়া, হামুয়া এলাকা রয়েছে খুব ঝুঁকির মধ্যে। অপর দিকে সুতাং নদীর পানি বাঁধ উপচে শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নের মড়রা, ডাকিজাংগাল, নিশাপট, ফরিদপুর, কাজিরগাঁও, খরখরহাটি, লাদিয়া, কদমতলীসহ কয়েকটি গ্রাম এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে রাস্তা, বাড়ি ঘরে উঠানে পানি জমেছে এবং সব সবজি, ধানের ফসল নষ্ট হয়েছে। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।</p> <p>নুরপুর ও ব্রামণডোরা ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা আক্তার মিতা বলেন, ‘প্রশাসন সতর্ক রয়েছে, বিপদগ্রস্ত মানুষের সহযোগিতার সম্ভাব্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’</p>