<p style="text-align:justify">কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জেরে আরসা ও আরএসও সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এতে আরো ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বুধবার (২ অক্টোবর) বিকালে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের হাকিম পাড়া ১৪ নম্বর এবং জামতলী ১৫ নম্বর ক্যাম্পের মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।</p> <p style="text-align:justify">রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি ) মো. আমির জাফর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহত যুবকের নাম আব্দুর রহমান (১৯)। তিনি উখিয়া উপজেলার হাকিম পাড়া ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-২ ব্লকের মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর ছেলে।</p> <p style="text-align:justify">আহতরা হলেন, হাকিম পাড়া ক্যাম্পের ই-২ ব্লকের সিদ্দিক আহমেদের ছেলে নুর মোহাম্মদ (৩২), সুলতান আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ জোবায়ের (৩৭), রশিদ উল্লাহর ছেলে মো. শাফায়েত (২৩) ও দিল মোহাম্মদের ছেলে নুর আলম এবং জামতলী ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের লাল মিয়ার স্ত্রী নেসারা (৫৫)। অপর ২ জনের নাম জানা যায়নি।</p> <p style="text-align:justify">এপিবিএন কর্মকর্তা আমির জাফর জানান, বুধবার বিকালে উখিয়ার হাকিম পাড়া ১৪ নম্বর এবং জামতলী ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝামাঝি এলাকায় মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা এবং আরএসও সন্ত্রাসীরা অতর্কিত সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে ২০/২৫ রাউন্ড গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে ৬ জন রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হন। খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।</p> <p style="text-align:justify">পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে জামতলী এলাকাস্থ এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আহত অন্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কুতুপালং এলাকাস্থ এমএসএফ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। </p> <p style="text-align:justify">এপিবিএন অধিনায়ক জানান, প্রাথমিকভাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারপরও ঘটনার কারণ জানতে পুলিশ খোঁজ খবর নিচ্ছে। </p>