<p>হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অলিপুর এলাকার মা হোমিও হল অ্যান্ড লাইব্রেরির স্বত্বাধিকারী এস এম সফিকুল ইসলাম টনু নামের এক ব্যক্তিকে ভুয়া পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পরোয়ানাটি জাল প্রমাণ হওয়ার পর জামিনে বের হয়ে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আমল আদালত-১-এ মামলা করেন টনু। </p> <p>এই মামলার সঙ্গে জড়িত ব্রাক্ষণ গ্রামের মৃত কুকু মিয়ার ছেলে জসিম উদ্দিন আহমেদ, কেশবপুরের মৃত আবু আলী চৌধুরীর ওরফে মধু মাস্টারের ছেলে জামাল চৌধুরী ও সুরাবই গ্রামের ছমির আলীর ছেলে সৈয়দ ফোরকান আলীর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল কর হয়। বুধবার (২ অক্টোবর) হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলাম ওই তিনজনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন।  </p> <p>আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দায়রা ৫১৭/২১ নম্বরের একটি মামলার পরোয়ানায় টনুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে হবিগঞ্জের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার পক্ষে জামিন চাইলে ভারপ্রাপ্ত বিচারক জাকির হোসাইন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ওই নম্বরে কোনো মামলাই নেই।</p> <p>পেশকার খালেদ আহমেদ জানান, হবিগঞ্জের সাবেক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালতে মামলা করলে হবিগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমানকে তদন্তের আদেশ দেন বিচারক। খলিলুর রহমান বরগুনা আদালত থেকে তথ্য যাছাই ও বিস্তারিত অনুসন্ধান শেষে জসিম, ফোরকান ও জামালের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে বুধবার তিনজনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক।</p> <p>মামলার বাদী টনু বলেন, আসামিরা বিভিন্ন মাঠ পর্চা নকল ও ভুয়া নামজারী তৈরি করে জাল দলিল দিয়ে দিয়ে প্রতারণা করছে। অলিপুর এলাকার অনেক নিরিহ লোকজনকে হয়রানি ও সর্বশান্ত করছে তারা। এই অপরাধ চক্রের প্রধান হোতা জসিম। তার নেতৃত্বে একটি চক্র সেখানে কাজ করছে। সে নিরিহ লোকজনের জমি নিজের নামে অথবা অন্য কারো নামে রেজিস্ট্রি করে প্রতারণা করছে তারা।</p> <p>বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ ফখরুজ্জামান জানান, এক সময় ভুয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়ে অনেক নিরিহ লোকজনকে হয়রানি করা হতো। কিন্তু এখন অনেক আধুনিকায়নের পরও এ ধরনের হয়রানি দুঃখজনক। প্রতারক জসিম, ফোরকান ও জামালের বিরুদ্ধে মামলা করায় টনুকে রাস্তায় কুপিয়ে জখমও করে তারা।</p> <p>হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অলিপুর শিল্প এলাকায় জালিয়াতি এবং ভুয়া দলিল তৈরি করে নিরিহ লোকজনের সম্পদ দখল ও হয়রানি করছে এই চক্রটি। এমনকি আদালতের সিল ও স্বাক্ষর জাল দিয়ে ভুয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তৈরি করেও হয়রানি করে তারা।</p>