<p>গাজীপুরের কাপাসিয়ায় পোলট্রি খামারে মুরগি কিনতে যাওয়ার পথে এক তরুণকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে কাপাসিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। হত্যার পর তার মরদেহ পিকআপভ্যানের চালকের পাশের সিটে বসিয়ে রাখা হয়। </p> <p>স্বজনদের অভিযোগ, ওই তরুণের কাছে নগদ এক লাখ ২০ হাজার টাকা ছিল। তাকে হত্যার পর পিকআপ ভ্যানচালক ‘ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছেন’ বলে গল্প সাজিয়েছেন।</p> <p>নিহত তরুণের নাম জাকিরুল হোসেন (২০)। তিনি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের আবদুল  খালেকের ছেলে।  গাজীপুর নগরের জয়দেবপুর বাজারে তার ভগ্নিপতির মুরগির আড়তে কাজ করতেন তিনি।</p> <p>ঘটনার সঙ্গে জড়িত পিকআপ ভ্যানচালক হৃদয় মিয়াকে (৩২) পুলিশ আটক করেছে। হৃদয় মিয়া কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার মাধখোলা গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে। ঘটনায় জড়িত আরো দুই সহযোগীকে আটকের চেষ্টা চলছে।</p> <p>নিহতের স্বজনরা জানায়, জাকিরুলকে তার ভগ্নিপতি মাসুদ মুরগি কেনার জন্য নগদ এক লাখ ২০ হাজার টাকা দেন। ওই টাকা নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় প্রতিষ্ঠানটির পিকআপ ভ্যানযোগে জয়দেবপুর বাজার থেকে কাপাসিয়া উপজেলার চালাবাজার রওনা হন।</p> <p>জাকিরুলের ফুফাত ভাই আজিজুল হক জানান, রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত জাকিরুল পোলট্রি খামারে না পৌঁছায় মাসুদের সন্দেহ হয়। পরে পিকআপ ভ্যানচালক হৃদয়কে ফোন দিলে ‘পাঁচ মিনিটে পৌঁছে যাবেন’ বলে জানান। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। এর প্রায় আধা ঘণ্টা পর জাকিরুলের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের খবর পান তারা।</p> <p>কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান, কাপাসিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পিকআপভ্যান থামিয়ে চালক ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন বলে আশপাশের মানুষকে জানান। ওই সময় চালকের পাশের আসনে জাকিরুলের মরদেহ বসা অবস্থায় রাখা ছিল। খবর পেয়ে সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ছিনতাইয়ের গল্প শুনে সন্দেহ হলে চালক হৃদয় মিয়াকে আটক করে পুলিশ। তার কাছ থেকে নগদ ৪৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।</p> <p>কামাল আরো বলেন, পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় আরো দুইজন জড়িত রয়েছে বলে তথ্য রয়েছে। তাদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে। </p> <p>তিনি বলেন, এর আগেও ছিনতাইয়ের গল্প সাজিয়ে মুরগির ওই আড়তদার মাসুদের ৬০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে হৃদয় মিয়া।</p>