<p style="text-align:justify">ময়মনসিংহের নান্দাইলের বিধবা অনুপা বেগম সরকারের ভিডিব্লিউবি (ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট-সাবেক ভিজিডি) দুবছর মেয়াদি কার্যক্রমের ২০২৩-২০২৪ তালিকাভুক্ত থাকার পরেও ‘নিরুদ্দেশ’ দেখিয়ে তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য নারীকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। এ নিয়ে গত রবিবার কালের কণ্ঠের অনলাইনে ‘বিধবার ভিজিডি কার্ড থাকলে নিরুদ্দেশ দেখিয়ে প্রতিস্থাপন’’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর আজ বুধবার ওই নারীর কার্ড ফেরত দিয়ে বরাদ্দ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান।</p> <p style="text-align:justify">জানা যায়, ওই বিধবা অনুপা হচ্ছেন ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের লংপুর গ্রামের মৃত আহাদুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি একজন দুস্থ নারী। স্বামীর ভিটা ছাড়া তার আর কোনো সম্পদ নেই। তার দুই ছেলে রয়েছে। তারা রাজমিস্ত্রীর সহকারীর কাজ করেন। সরকারি সহায়তা প্রকল্প থেকে নাম বাদ দেওয়ার পর খুবই কষ্টে দিন যাপন করেছেন। এ অবস্থায় সরকারের ভিডিব্লিউবি (ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট-সাবেক ভিজিডি) দুবছর মেয়াদি কার্যক্রমের ২০২৩-২০২৪ তালিকাভুক্ত উপকারভোগী ছিলেন।</p> <p style="text-align:justify">তালিকার ২৪ নম্বর ক্রমিকে তার নাম রয়েছে। ভিডিব্লিউবি কার্ড পাবার পর থেকে উপকারভোগী হিসেবে তিনি গত নয় মাসে ২৭০ কেজি (প্রতিমাসে ৩০ কেজি) চাল বরাদ্দ পেয়েছেন। এরপর হঠাৎ তার বরাদ্দ বন্ধ হয়ে যায়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়,বিধবা অনুপাকে নিরুদ্দেশ দেখিয়ে রেখা বেগম নামে অন্য নারীকে তালিকাভুক্ত করে বরাদ্দ দেওয়া শুরু করে। এমতাবস্থায় বিধবা ক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ধরনা দিয়েও কাজে আসেনি। পরে কালের কণ্ঠের অনলাইনে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে দৃষ্টি পড়ে কর্তৃপক্ষের।</p> <p style="text-align:justify">বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে অনুপা বেগম ইউনিয়ন পরিষদ থেকে খবর পেয়ে বরাদ্দ আনতে ইউনিয়ন পরিষদে যান। সেখানে চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন ভুইয়া জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের বরাদ্দ তুলে দেন। </p> <p style="text-align:justify">বরাদ্দ পেয়ে অনুপা বলেন,‘আমি কত জায়গায় গেলাম কিন্তু কেউ চাইল দেওয়ার আশ্বাস দেয়নি। অহন চাউল পাইছি। আর চাউল পাওনের লাইগ্যা যিনি আমার কথা পত্রিকায় লিখছেন তারে ধন্যবাদ জানাই। দোয়াও করি।’</p>