<p style="text-align:justify">বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গাজীপুর মহানগর এলাকায় রায়হান আলী (১৯) হত্যা মামলার আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পরিবারের ছত্রছায়া নেওয়া শাবাব বিন তৌহিদ আত্মগোপনে রয়েছে। ওই মামলার কয়েকজন আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও এখনো শাবাব গ্রেপ্তার হননি। </p> <p style="text-align:justify">সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, শাবাব ও এ মামলার আরো কয়েকজন আসামি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ খুঁজছেন। </p> <p style="text-align:justify">অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তার ছেলে সাফি মুদাসসের খান জ্যোতিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে শাবাব বিন তৌহিদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। ওই পরিবারের ছত্রছায়াতেই তিনি ব্যবসা পরিচালনা করতেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিল করেছেন। শাবাব গুলশানের স্পা সেন্টার ও কোডালিটি ইন হোটেলের মালিক। শাবাব সলিউশন এন্টারপ্রাইজ নামেও একটি ব্যবসা রয়েছে তার।</p> <p style="text-align:justify">গাজীপুরের গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী মোহাম্মেদ রশিদ বলেন, আন্দোলনে শহীদ হওয়া রায়হান আলীর পিতা মামুন সরদারের অভিযোগের ভিত্তিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৬৭ জনের নামে একটি হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। রায়হান আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। সেই মামলায় শাবাব বিন তৌহিদ ৪১ নম্বর আসামি। </p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, এ মামলায় ২-৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষ বাকীদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে।</p> <p style="text-align:justify">পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, শাবাব বিন তৌহিদ মামলা থেকে বাঁচতে আপাতত নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন। তার পরিবারের সদস্যদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও অন্য দেশের পাসপোর্ট রয়েছে। তাই আশঙ্কা আছে যে কোনো মুহূর্তে তারা অন্য দেশে পালিয়ে যেতে পারেন।</p> <p style="text-align:justify">মামলার বাদী শহীদ রায়হানের বাবা মামুন সরদার বলেন, আমার ছেলে হত্যায় যারা জড়িত তাদের সকলের শাস্তি চাই। যারা দেশে আত্মগোপনে আছে, তাদের যেন দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয় এই দাবি জানাই।</p>