<p>ডিফেন্ডারের কাজ হলো গোল প্রতিহত করা। ফলে গোলের খেলায় গোলটা তাদের কাছে ‘সোনার হরিণ’। চ্যালেঞ্জ কাপে আজ তেমন এক ‘সোনার হরিণ’ পেয়েছেন তপু বর্মণ। ৭৩ মিনিটে তার গোলেই শিরোপা জয়ের রসদ পায় বসুন্ধরা।</p> <p>তপু গোলটা পেয়েছেন দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর। প্রায় দেড় বছর পর গোল পেয়েছেন তিনি। কাঙ্ক্ষিত গোলটি তাই ছেলেকে উৎসর্গ করেছেন বাংলাদেশি ডিফেন্ডার। ছেলেকে ‘লেট বার্থডে গিফট’ দিয়েছেন তিনি। গত ১৫ নভেম্বর ছেলের জন্মদিন ছিল। গোলের বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘দেড় বছর পর আমি গোল পেলাম। এর আগে লিগে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে গোল পেয়েছিলাম। এখানে অনেক শোরগোল হচ্ছিল, আমারও কানে আসছিল, অনেক ধরনের শোরগোল আমি সেটা ব্যাখ্যা করতে চাচ্ছি না। আমার জন্যই এটাই প্রযোজ্য, তাই আমি এইভাবে (চুপ থাকার) উদযাপন করেছি। এটা আমার মৌসুমের প্রথম গোল। এই গোলটা আমার জন্য বিশেষ কিছু। আমার ছেলের জন্মদিন ছিল ১৫ নভেম্বর, গোলটা ছেলেকে উৎসর্গ করতে চাই।’</p> <p>প্রথমবারের মতো হওয়া চ্যালেঞ্জ কাপে মোহামেডানকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে ট্রফি জিতেছে বসুন্ধরা কিংস। তপুর গোলের বিপরীতে বাকি দুটি করেছেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও মিগেল দামাশেনো। জয়টা তাদের খুব প্রয়োজন ছিল বলে জানিয়েছেন তপু। ডিফেন্ডার বলেছেন, ‘এই ম্যাচটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কেননা, আমরা ভুটানে তিনটা ম্যাচে হেরেছিলাম, কোনো পয়েন্ট সেখানে আমরা অর্জন করতে পারিনি। এটা আমাদের জন্য চাপের ম্যাচ ছিল। মোহামেডান সবসময় ভালো খেলে থাকে। তারা শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। প্রথম গোলটা খাওয়ার পরে, প্রথমার্ধ শেষ করে আমরা চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। ওই পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নামার পরে আমার মনে হয়, আমরা ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণ করেছি। যে তিনটা গোল আমরা করেছি, আমার মনে হয় আমরা আরও গোল পেতে পারতাম, আমরা আরও কয়েকটা উন্মুক্ত সুযোগ তৈরি করেছিলাম। এই জয় আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আসছে প্রিমিয়ার লিগ ও ফেডারেশন কাপে এই জয় আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস দিবে। এই ম্যাচটা দিয়েই আমরা ফিডব্যাক দিলাম।’</p> <p>ফিফা প্রীতি ম্যাচে মালদ্বীপের কাছে তপুর ভুলে ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ। সেই ভুল নিয়ে আজ তিনি বলেছেন, ‘আমি আপনাদের প্রতিক্রিয়াও বুঝতে পেরেছি যে, আপনারা আমার পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নন। তবে এসব ফুটবলে হয়ে যায়। সামনের দিনগুলোতে যেন ওই ভুলগুলো না করি। ভুল থেকে শিখতে হয়। আমি সবসময় শেখার চেষ্টা করি। নিজেকে কিভাবে আরও ফিট রাখা যায়, ভালো করা যায়, সেই চিন্তা করি। দেখবেন রোনালদো, মেসি-ওরা কখনও অতীত নিয়ে চিন্তা করে না। ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করে। আমিও সেভাবেই চিন্তা করি। কিভাবে ফিট থাকতে পারি, দেশের জন্য আরও ভালো পারফরম করতে পারি, আমি সে চিন্তাই করি।’</p>