<p>বিষে বিষ ক্ষয় হয়—এই সামাজিক আপ্ত বাক্যটির বাস্তব প্রমাণ পেলেন বিজ্ঞানীরা। তারা ম্যালেরিয়ার এমন একটি ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করেছেন, যা মানবদেহে ছড়িয়ে পড়বে মশার মাধ্যমে। অর্থাৎ ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিনবাহী এই মশা যাকে কামড়াবে, তার দেহেই ম্যালেরিয়ার জীবাণুর পরিবর্তে ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিন পয়দা হবে এবং সঠিকভাবে কাজও করবে। বিজ্ঞানীরা অভয় বাণী শুনিয়েছেন এভাবে : ‘ম্যালেরিয়াকে ভয় পাওয়ার আর কারণ নেই।কারণ মশার মাধ্যমেই আমরা ম্যালেরিয়ার কার্যকর ভ্যাকসিন মানবদেহে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সক্ষম হয়েছি। এটা শতভাগ নিরাপদ। কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।’</p> <p>জিন প্রকৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা এই ধরনের মশা উদ্ভাবনে সক্ষম হন। যে কারণে মশা ম্যালেরিয়ার জীবাণু মানবদেহে ছড়িয়ে দিতে পারে, সেই পদ্ধতির উল্টো প্রয়োগের মাধ্যমে এই মশা যার দেহে কামড়াবে, তার দেহে ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিন বেড়ে উঠবে স্বয়ংক্রিয় পন্থায়।</p> <p>বিজ্ঞানীরা বলেন, ‘আমাদের জানা মতে, বিশ্বে প্রতিবছর ২৫ কোটি মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন। আমরা জিন প্রযুক্তির মশার পরীক্ষণ চালিয়ে প্রাথমিক সফলতা পেয়েছি, যা বেশ আশাব্যঞ্জক।’ লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের ইমিউনোলজিস্ট জুলিয়াস হাফাল্লা বলেন, ‘আমাদের হাতে গবেষণার যে ফল উঠে এসেছে, তা ম্যালেরিয়ার উন্নত ও কার্যকর প্রতিষেধক উদ্ভাবনের পথেই আমাদের এগিয়ে নেবে।</p> <p>এই গ্রহবাসী যে বর্ধিত হারে ম্যালেরিয়ার চাপ বইছে, তা কমিয়ে আনার একটি সাবলীল অনুপ্রেরণা আমরা অনুভব করছি। আমরা মনে করি, পৃথিবীটাকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ম্যালেরিয়ামুক্ত করার সময় এসে গেছে।’ সূত্র : নেচার</p>