<p>মঞ্চটা প্রস্তুতই ছিল। যে দল জিতবে তারাই মৌসুমের প্রথম ট্রফি জিতবে। এমন সমীকরণে খেলতে নেমে বাজিমাত করেছে বসুন্ধরা কিংস। প্রথমবারের মতো হওয়ায় চ্যালেঞ্জ কাপে ৩-১ ব্যবধানে মোহামেডানকে হারিয়েছে বসুন্ধরা।</p> <p>বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক ম্যাচের এক টুর্নামেন্ট হয়েছে। টুর্নামেন্টের নামটি এসেছে ছাত্র-জনতা গণ-অভ্যুত্থানের আন্দোলন থেকে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জীবন উৎসর্গকরা শহীদদের উদ্দেশেই চ্যালেঞ্জ কাপের নাম ‘বাংলাদেশ ২.০’ রাখা হয়েছে। শহীদদের স্মরণে গতকাল বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনাকেও সাজানো হয়েছিল আবু সাঈদ ও মীর মুগ্ধদের গ্রাফিতিতে। সঙ্গে আন্দোলনের স্লোগানগুলোও জায়গা পেয়েছে ওপরের গ্যালারির ওয়ালে।</p> <div style="text-align:center"> <figure class="image" style="display:inline-block"><img alt="55" height="600" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/Bhanu/বসুন্ধরা (1).jpg" width="1000" /> <figcaption>ম্যাচে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বসুন্ধরার অধিনায়ক মিগেল দামাশেনো (জার্সির ভেতরে বল)। ছবি : কালের কণ্ঠ, বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা থেকে</figcaption> </figure> </div> <p>বসুন্ধরা অ্যারেনায় অবশ্য শুরুটা মোহামেডানই করেছিল। ৭ মিনিটে সুলেমান দিয়াবাতের গোলে এগিয়ে গিয়ে। ইমানুয়েল সানডের দারুণ ক্রসটিতে শুধু মাথাটাই লাগিয়েছেন মোহামেডানের অধিনায়ক দিয়াবাতে। তবে বিরতির পর দারুণভাবে ঘুঁরে দাঁড়ায় বসুন্ধরা।</p> <p>সমতায় ফিরতে ৫৮ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। কিন্তু বাঁ প্রান্ত থেকে যে শটটি তিনি নিলেন তা ডান পোস্টের বাইরে মারেন। এর কিছুক্ষণ পরেই গ্যালারি থেকে ফ্লেয়ার ছুঁড়ে মারেন দর্শকেরা। গোলাপি রংয়ের ধোঁয়া ও ঝাঁজের কারণে কিছুটা সময় ম্যাচ বন্ধ থাকে। ইউরোপীয় ফুটবলে এমন দৃশ্য সচরাচর দেখা গেলেও বাংলাদেশে দেখা যায় না। বিরতির এই সময়টায় যেন কোচ ভ্যালেরি তিতার সঙ্গে নিজেদের কৌশলটা আরেকটু ভালোভাবে সেরে নেয় বসুন্ধরার খেলোয়াড়রা।</p> <p>যার ফলও পায় ৭৩ মিনিটে। মিগেল দামাশেনোর কর্নার থেকে বসুন্ধরাকে সমতায় ফেরান তপু বর্মণ। একদম ফ্রি খেলোয়াড় হিসেবে কর্নার কিকের বলে শুধু পা লাগিয়ে দেন এই ডিফেন্ডার। সমতায় ফেরার পর উজ্জীবিত বসুন্ধরা এগিয়েও যায় ৮১ মিনিটে। ডান প্রান্ত থেকে বসুন্ধরার অধিনায়ক দামাশেনোর বাড়ানো ক্রসে অনেকটা উড়ে এসে ডান পায়ে বল জালে জড়িয়ে দিলেন ফাহিম। জয়সূচক গোলের পর তার উদযাপনও ছিল দেখার মতো। পাগলাটে এক দৌড়ে কোচ তিতার কাছে চলে যান তিনি।</p> <p>ম্যাচের যোগ করা সময়ে মোহামেডানের ফেরার পথ রুদ্ধ করে দেন দামাশেনো। সপ্তম মিনিটে দারুণ এক গোল করেন ম্যাচে দুই অ্যাসিস্ট করা ব্রাজিলিয়ান প্লে মেকার। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর যোগ করা ১৮ মিনিটেও আর কোনো গোল শোধ দিতে পারেনি মোহামেডান। এতে করে সর্বশেষ ফেডারেশন কাপ ও প্রিমিয়ার লিগের মতো চ্যালেঞ্জ কাপেও বসুন্ধরার কাছে আশাহত হতে হলো কোচ আলফাজ আহমেদের শিষ্যদের। </p>