<p>রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি, সম্পাদকসহ ১৫ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। এদের মধ্যে ছয়জনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে প্রশাসন।</p> <p>বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা উপকমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ ডিসেম্বর সিন্ডিকেটের ৫৩৫তম সভায় এ সিদ্ধান্তের অনুমোদন দেওয়া হয়। গতকাল শনিবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে শুধু বহিষ্কৃতদের সংখ্যা প্রকাশ করে প্রশাসন। আজ রবিবার তাদের নাম-পরিচয়সহ শাস্তির মেয়াদ প্রকাশ করা হয়েছে।</p> <p>সিট বাণিজ্য, র‌্যাগিং ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি হামলাসহ নানা সময়ে করা বিভিন্ন অপরাধের দায়ে মোট ১৮ জনকে শাস্তি প্রদান করা হয়। এদের মধ্যে ১৫ জনই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে আছেন বা কর্মী হিসেবে পরিচিত।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করল জাতীয় পার্টি" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/22/1734875584-423a5786a5d4a2cb455dccf2d54690bf.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করল জাতীয় পার্টি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/12/22/1460188" target="_blank"> </a></div> </div> <p>জনসংযোগ আফিস থেকে পাওয়া তালিকা অনুযায়ী, ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখার বর্তমান সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-আল-গালিব। এ ছাড়া সাবেক সভাপতি ও সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া ও ফয়সাল আহমেদ রুনুকেও স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। স্থায়ী বহিষ্কারের তালিকায় আরো নাম আছে মাদারবখশ হলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার রায় ও একই হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মো. মিশকাত হাসানের।</p> <p>এ ক্ষেত্রে কারো ছাত্রত্ব না থাকলে তাদের সনদ বাতিল করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ আছে।</p> <p>দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে। তারা হলেন নবাব আব্দুল লতিফ হল শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শামীম রেজা, বঙ্গবন্ধু হল শাখার সাবেক দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম, ছাত্রলীগ কর্মী মুজাহিদ আল হাসান ও মো. আব্দুল্লাহ আত তাসরীফ। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী। এই তালিকায় আরো আছেন আরবী বিভাগের ২০১৯-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম।</p> <p>তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে দল বিবেচনায় তাদের বহিষ্কার করা হয়নি। অপরাধের ধরণ দেখে শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি, আধাঘণ্টা পর বক্তব্য পাল্টালেন চিফ প্রসিকিউটর" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/22/1734869917-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি, আধাঘণ্টা পর বক্তব্য পাল্টালেন চিফ প্রসিকিউটর</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Court/2024/12/22/1460166" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এদিকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলফি শাহরিন আরিয়ানা, ছাত্রলীগকর্মী জারিফা আহনাফ ইলমা, মাদারবখশ হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কিশোর পাল ও  প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আহসানুল হককে (মিলন)।</p> <p>এ ছাড়া ছাত্রলীগকর্মী আনিকা আলম উষা, মরিয়ম আক্তার শান্তা পেয়েছেন ছয় মাস বহিষ্কারের সাজা। মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী অন্তর বিশ্বাসকে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই অভিযোগে মো. নাজমুল হোসেন নাবিলকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।</p> <p>এদিকে বিভিন্ন হল থেকে আবাসিকতা বাতিল করা হয়েছে ১৪ জনের।</p> <p>বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের। তবে তাদের রাজনৈতিক বিবেচনায় কোনো শাস্তি প্রদান করা হয়নি বরং সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। এ জায়গাটাতে একটি সুস্পষ্ট বার্তা থাকবে যে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধের সাথে কেউ যুক্ত থাকলে তাকে দল-মত-নির্বিশেষে শাস্তি পেতে হবে।’</p>