<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচল উপশহরে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় বুয়েট শিক্ষার্থী মুহতাসিম মাসুদ (২২) নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল রবিবার নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূর মহসিনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক কাইয়ুম খান জানান, গত শুক্রবার বিকেলে তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আজ আদালতে জামিন আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রিমান্ডে নেওয়া তিন আসামি হলেন প্রাইভেট কারের চালক মুবিন আল মামুন (২০), তিনি রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকার বাসিন্দা একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের (অব.) ছেলে। গ্রেপ্তার অন্য দুজন হলেন ওই গাড়িতে থাকা মিরপুর পীরেরবাগ এলাকার মিরাজুল করিম (২২) ও উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের আসিফ চৌধুরী (১৯)। গ্রেপ্তার তিনজনই শিক্ষার্থী। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকসহ করা দুটি মামলার মধ্যে সড়ক পরিবহন আইনের মামলায় রিমান্ড শুনানি হয়েছে। আদালত এই মামলায় আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে ঘটনার ন্যায়বিচারের দাবিতে সকাল থেকেই জেলা আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন নিহত মুহতাসিম মাসুদের সহপাঠীরাসহ বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। শুনানি পর্যন্ত তাঁরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। পূর্বাচলের ঘটনা পরিকল্পিত হত্যা দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন নিহতের স্বজন ও সহপাঠীরা।  গাড়ি চালানোর সময় গ্রেপ্তার তিন আসামি মদ্যপ ছিলেন কি না, তা জানতে গত ২০ ডিসেম্বর দুপুরে নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে আসামিদের ডোপ টেস্ট করা হয়। এতে দুজনের ডোপ টেস্টে রিপোর্ট পজিটিভ আসে।  জেলা সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মশিউর রহমান জানান, প্রাইভেট কারের চালক মুবিন আল মামুনের গাঁজা ও অ্যালকোহল সেবনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। আর আরোহীদের মধ্যে মিরাজুল করিমের ক্ষেত্রে অ্যালকোহল পাওয়া গেছে। অপরজন আসিফ চৌধুরীর শরীরে অ্যালকোহলজাতীয় কোনো কিছুর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।</span></span></span></span></span></p>