<p>আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আলেমসমাজকে সবচেয়ে বেশি রক্ত দিতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা বলেন, হেফাজতের নেতাকর্মীরা নাকি ‘সুবহানাল্লা ‘ বলতে বলতে পালিয়েছে। কিন্তু আজ সেই আওয়ামী লীগ সরকার নিজেই পালিয়ে গেছে। বাংলাদেশের কোথাও হারিকেন দিয়ে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।</p> <p>বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে ভোলার বোরহানউদ্দিন হাই স্কুল মাঠে হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।</p> <p>মামুনুল হক বলেন, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে হেফাজতের নেতাকর্মীদের ওপর লাইট বন্ধ করে নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার। এমনকি শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রীরা হেফাজতের নেতাকর্মীদের নিয়ে সেদিন উপহাস করেছে। কিন্তু আজ তাদের পালিয়ে যেতে হয়েছে।</p> <p>তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পরিষ্কার ভাষায় বলে দিতে চাই, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ তৎকালীন আওয়ামী মন্ত্রিসভার সব সদস্য, পুলিশের তৎকালীন কমিশনার বেনজির আহমেদ ও যারা যারা রাতের বেলা লাইট বন্ধ করে নবীপ্রেমী তাওহিদি জনতাকে খুন করেছিল, সেই খুনিদেরে ধরে এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করে জনতার আদালতে মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।</p> <p>আল্লামা মামুনুল হক বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা প্রতিটি বিরোধী মত এবং পথের লোকদের হত্যা করেছে। গুম, খুন ও জুলুমের শিকার হয়েছে। রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষকে দমন করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় প্রতিটি বাহিনীকে শেখ হাসিনা তার দলীয় গুণ্ডা  বাহিনীতে পরিণত করেছিল। </p> <p>তিনি বলেন, শেখ হাসিনা হেফাজতের বিরুদ্ধে, আলেমসমাজের বিরুদ্ধে সুযোগ পেলেই কটূক্তি ও উপহাস করেছে। আমার ভাইয়ের শাহাদাতের রক্ত নিয়ে নির্মম হাসি-তামাশা করেছে এই শেখ হাসিনা। মুসলমানদের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত সংসদে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা বলেছে, ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতের নেতাকর্মীরা নাকি গায়ে রং মেখে শুয়ে ছিল। আমার ভাই বুকের তাজা রক্ত দিয়ে শাপলা চত্বরকে রক্তে রঞ্জিত করেছে। আমাদের ভাইদের লাশ সে ময়লাবাহী গাড়িতে করে গুম করেছে। </p> <p>ভোলা জেলা হেফাজতের সভাপতি মাওলানা আনাছের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের সিনিয়র সহসভাপতি মধুপুরের পীর সাহেব মাওলানা আব্দুল হামিদ।</p> <p>অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, অর্থ সম্পাদক মাওলানা মুনির হুসাইন কাসেমী, দাওয়া সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসাসহ হেফাজজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।</p>