<p>খুলনায় দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। অনেক চেষ্টা করেও হাসপাতালে ভর্তি হতে পারছে না রোগীরা। রাত ২টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত চেষ্টা করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ পান সেতু নামের এক প্রবীণ আইনজীবীর সন্তান। ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার পর তাকে বাসায় রেখেই বিশেষজ্ঞের পরামর্শে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। কিন্তু শুক্রবার দিবাগত রাতে অবস্থার অবনতি হলেই চেষ্টা চলে হাসপাতালে ভর্তির।</p> <p>খুলনার বেশ কয়েকটি হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুলনার সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালটিতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। ধারণক্ষমতার তিন গুণেরও বেশি রোগী ভর্তি সেখানে। সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে জেনারেল হাসপাতালে বেড ফাঁকা থাকলেও সেখানের চিকিৎসার ওপর আস্থা নেই ওই রোগীদের। এ জন্য নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চেষ্টার পর শেষ পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে সুযোগ হলো অন্য এক রোগীর ছাড়ের পর। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ডেঙ্গুতে আক্রান্ত বেশি কক্সবাজারে, মৃত্যু বরিশালে" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/26/1729920625-9ca7a3d574f10be437e37fe334768d9d.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ডেঙ্গুতে আক্রান্ত বেশি কক্সবাজারে, মৃত্যু বরিশালে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/26/1439302" target="_blank"> </a></div> </div> <p>জানা যায়, খুমেক হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগের একাধিক ওয়ার্ড থাকলেও ডেঙ্গু রোগীদের জন্য নেই পৃথক ওয়ার্ড। মেডিসিন ওয়ার্ডগুলোতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হয় ডেঙ্গু রোগীদের। এতে অন্য রোগীদেরও ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু ৫০০ বেডের খুমেক হাসপাতালে শনিবার ভর্তি ছিল ১ হাজার ৬১০ জন রোগী। এর মধ্যে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৬৩ জন। ধারণক্ষমতার তিন গুণেরও বেশি রোগী অবস্থান করায় পৃথক ডেঙ্গু ওয়ার্ড করারও কোনো জায়গা নেই বলে জানালেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মহসীন আলী ফরাজী। </p> <p>খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ও ডেঙ্গুর ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, চলতি বছর শুধু এ হাসপাতালেই ৫৬৫জন ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। এর মধ্যে শুধু গত চার দিনেই চারজন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেশি উপকূলের ১০ জেলায়" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/26/1729911557-1b8181b25f054a2009c41d120ea90ef8.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেশি উপকূলের ১০ জেলায়</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/26/1439272" target="_blank"> </a></div> </div> <p>নগরীর দুটি সরকারি হাসপাতালের মধ্যে একটির অবস্থা এমন হলেও অন্যটির চিত্র পুরোটাই ভিন্ন। অর্থাৎ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট খুলনা জেনারেল হাসপাতালে রোগীর চাপ একেবারেই কম। নতুন ভবন হস্তান্তর না হওয়ায় সেখানে শনিবার ১২০জন রোগী ভর্তি ছিল বলে হাসপাতালের হিসাবরক্ষক মো. তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন। </p> <p>খুমেক হাসপাতালের পাশাপাশি বিভাগের ১০ জেলার হাসপাতালগুলোতেও শনিবার সকাল পর্যন্ত ২৭৮ জন ডেঙ্গু ভর্তি ছিল বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তরের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে এদিন সকাল পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয় ১০৫ জন। বিভাগে এ পর্যন্ত চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের।</p> <p>সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি খুলনার বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও রোগীর চাপ প্রচুর। শুধু বিলাসবহুল সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ছাড়া নগরীর অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতালেই বেড ফাঁকা নেই। এ জন্যই এক ক্লিনিক থেকে অন্য ক্লিনিকে ধর্ণা দেওয়ার আট ঘণ্টা পর ভর্তির সুযোগ মেলে সেতু নামের ওই রোগীর। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ডেঙ্গুর মৌসুমে টাইফয়েডেও ঝুঁকি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/26/1729910814-e06d061a77a7bde916b8a91163029d41.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ডেঙ্গুর মৌসুমে টাইফয়েডেও ঝুঁকি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/prescription/2024/10/26/1439270" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শনিবার সিটি মেডিক্যালে ২৫৭ জন ভর্তি রোগীর মধ্যে ডেঙ্গু রোগী ছিল ৩৫ জন, গাজী মেডিক্যালে ৩১০ জনের মধ্যে ডেঙ্গু রোগী ছিল ২৩ জন, আদদ্বীন আকিজ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৪১৪ জনের মধ্যে ১৭ জন ছিল ডেঙ্গু রোগী এবং ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ৭০ জনের মধ্যে ১৩ জনই ডেঙ্গু রোগী ছিল।</p> <p>এদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লেও খুলনা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে মাইকিং ছাড়া তেমন কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। যদিও গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এক সভা থেকে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ফকার মেশিন দিয়ে মশা নিধন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="খুলনা বিভাগের ১৫ লাখ মানুষ দেড় মাস পানিবন্দি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/20/1729434205-1d75d1e80b164085d74cb1b545ba63c4.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>খুলনা বিভাগের ১৫ লাখ মানুষ দেড় মাস পানিবন্দি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/20/1437226" target="_blank"> </a></div> </div> <p>কেসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. স্বপন কুমার দাস বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে মাইকিং, লিফলেট, বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করা, বিলবোর্ড স্থাপনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চলছে। এ ছাড়া কঞ্জারভেন্সি বিভাগ থেকেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান এবং ফগার মেশিন দিয়ে মশা নিধনের কর্মসূচি চলমান রয়েছে।</p>