<p>জোড়াতালির কাজ করতে গিয়ে পিচের বদলে দেওয়া হয়েছে ইটের সলিং। সড়কজুড়ে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত। গাড়ি চলে হেলেদুলে। ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের বিষয়খালী এলাকার সড়কটির চিত্র এমন।</p> <p>একই অবস্থা কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনের অংশে। এই মহাসড়কের কয়েক কিলোমিটার খানাখন্দ আর ছোট বড় গর্তে ভরা। এসব সড়কে সৃষ্ট গর্তগুলো বন্ধ করা হয়েছে ইটের সলিং দিয়ে। বৃষ্টি হলেই ভেজা ইটের সলিং গাড়ির চাকায় লেগে গিয়ে ইটের আদলা ও খোয়া ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে পুরো সড়কে। খানাখন্দ ও ইটের আদলা, খোয়াভর্তি এসব সড়কে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যাত্রীরা। অন্যদিকে এসব সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনেরও যন্ত্রাংশের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। সড়কটিতে উন্নয়নকাজ করা হলেও দুর্ভোগের লাগাম টানতে পারেনি সড়ক বিভাগ।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="‘২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে আমি আওয়ামী লীগের হয়ে প্রচারণা করেছি’" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/28/1730123129-83f24537322d14498ec9d2e2353d0497.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>‘২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে আমি আওয়ামী লীগের হয়ে প্রচারণা করেছি’</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/entertainment/2024/10/28/1440132" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সংশ্লিষ্টরা জানায়, ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের কালীগঞ্জ পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এমন খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে মহাসড়কটিতে প্রকল্পের আওতায় ছয় লেনে উন্নতীকরণের কাজ চলছে।</p> <p>সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের তেঁতুলতলা, বিষয়খালী, ছালাভরা ও নিমতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পিচ আর পাথর উঠে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহনের পাশাপাশি পথচারী চলাচলেও ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।</p> <p>আব্দুর রহমান নামের বিষয়খালী বাজারের এক মুদি দোকানি বলেন, ‘দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে আমাদের এই মহাসড়কের বেহাল দশা। বড় বড় খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছিল। বিভিন্ন সময় খোয়া ঢালাই দিয়ে মেরামত করা হলেও তা টেকসই হয়নি। সর্বশেষ কিছুদিন আগে তেঁতুলতলা-বিষয়খালী অংশের সড়কে ইটের সলিং করে দেওয়া হয়েছে। এখন প্রতিনিয়ত এখানে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।’</p> <p>গোলাম মোস্তফা নামের এক প্রাইভেট কারচালক বলেন, মহাসড়কে খানাখন্দে যেমন দুর্ভোগ, তেমনি আরেক দুর্ভোগ হচ্ছে তাতে ইটের সলিং দেওয়া। এটা কোনো সমাধান না। এতে যাত্রীদেরও ভোগান্তি হয়। ইটের খোয়া আদলা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়া সড়কে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হয় মোটরসাইকেল ও তিন চাকার যানবাহনগুলো।</p> <p>আব্দুল হক নামের এক বাস চালক বলেন, ‘রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে পড়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছি না। রাস্তা খারাপের কারণে প্রতিনিয়ত আমাদের গাড়ি নষ্ট হচ্ছে।’</p> <p>সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান বলেন, এ বছর ভারি বৃষ্টিতে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কে ব্যাপক খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে মহাসড়কটি ছয় লেনে উন্নীতকরণের কাজ শুরু করেছে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তাই সড়কটির সংস্কারের কাজ ওই প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ফলে সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে নতুন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না।</p> <p>ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স গ্রুপের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী বিমান কুমার ধর জানান, ‘সড়ক বিভাগ দায়সারা কথা বলছে। তারা আমাদের কাছে কোনো কাজ হস্তান্তর করেনি। সড়কের সংস্কারকাজ আমাদের করার কথা ছিল না। তবু মানুষের ভোগান্তি দেখে আমাদের পক্ষ থেকে কয়েকটি এলাকা সংস্কার করে দেওয়া হচ্ছে।</p>