<p>চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের (চমেক) ৭৫ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কর্তৃপক্ষ এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ১৪ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক (শিক্ষানবিশ) রয়েছেন। এ ছাড়া ১১ জন শিক্ষার্থী ক্ষমা চেয়ে মুচলেখা দিয়েছেন। তাদের কর্তৃপক্ষ ক্ষমা করেছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান।</p> <p>কলেজ ছাত্রাবাসে অবৈধ প্রবেশ, কক্ষ দখল, মারধর ও নিষিদ্ধ থাকার পরও রাজনীতিতে যুক্ত থাকাসহ বিভিন্ন কারণে গতকাল রবিবার একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ৭৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ সোমবার বিজ্ঞপ্তি আকারে তা প্রকাশ করা হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে নিষিদ্ধের কোনো কথা রিটে নেই : সারজিস" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/28/1730114066-23ac4e81b8771fd8807f715748e6f6de.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে নিষিদ্ধের কোনো কথা রিটে নেই : সারজিস</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/28/1440087" target="_blank"> </a></div> </div> <p> </p> <p>জানতে চাইলে চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জসীম উদ্দিন সোমবার বিকেলে কালের কণ্ঠকে বলেন, গত জুলাই আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকালে ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় ৭৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে এমবিবিএস ও বিডিএসর বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থী রয়েছেন। বহিষ্কৃতদের মধ্যে ১৪ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক আছেন। ছয় মাস থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এ সময় শিক্ষার্থীরা কলেজে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেন না।  </p> <p>জানা যায়, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই সম্প্রতি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও সমর্থক। তারা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন এবং সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও মহানগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।</p>