<p>ঝিনাইদহের মহেশপুরে রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম এন এন্টারপ্রাইজ উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ভৈরবা বাজার থেকে মমিনতলা মোড় পর্যন্ত ১৯৫০ মিটার রাস্তা ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করছে, যেখানে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে।</p> <p>নিম্নমানের কাজ হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে, তবে ভয়ে কেউ সরাসরি প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না।</p> <p>সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা নির্মাণে বেশিরভাগই ২ নম্বর ও ৩ নম্বর ইট ব্যবহার করা হয়েছে, যা প্রকাশ্যেই ঘটছে। স্থানীয়রা একাধিকবার বাধা দিলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের কথা আমলে নেয়নি। এমনকি সাংবাদিকরা বিষয়টি তুলে ধরার পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের ইট সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু কিছুদিন পর দেখা যায়, সেই ইট খোয়া করে রাস্তায় ব্যবহার করা হয়েছে এবং রুলার চালিয়ে সমান করা হয়েছে।</p> <p>স্থানীয় ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বলেন, একেবারেই নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। যার উপর রুলারের চাকা বা মোটরসাইকেলের চাকা উঠলেই খোয়া গুঁড়ো হয়ে যাচ্ছে।</p> <p>স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল খালেক, লিয়াকতসহ অনেকে জানান, তারা বারবার নিম্নমানের ইট ব্যবহারে বাধা দিয়েছেন। কিন্তু তাদের কথা কেউ শোনেনি। তারা বলেন, এ পথে ট্রাক বা অন্য ভারী যানবাহন চলাচল করলে কয়েক দিনের মধ্যেই রাস্তাটি ধ্বংস হয়ে যাবে।</p> <p>ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম এন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শিমুল স্বীকার করেছেন যে, নতুন ইট না পাওয়ার কারণে কিছু নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে।</p> <p>এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ শাহরিয়ার আকাশ বলেন, রাস্তায় যদি নিম্নমানের ইট বা খোয়া ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তাহলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p> <p>এভাবে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ এলাকায় জনমনে হতাশা সৃষ্টি করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন এলাকাবাসী।</p>