ঢাকা, শনিবার ০৫ এপ্রিল ২০২৫
২২ চৈত্র ১৪৩১, ০৫ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, শনিবার ০৫ এপ্রিল ২০২৫
২২ চৈত্র ১৪৩১, ০৫ শাওয়াল ১৪৪৬

সালেক খোকনের নতুন গবেষণাগ্রন্থ ‘গৌরব ও বেদনার একাত্তর’

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সালেক খোকনের নতুন গবেষণাগ্রন্থ ‘গৌরব ও বেদনার একাত্তর’

কথাপ্রকাশ প্রকাশ করেছে লেখক ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষক সালেক খোকনের নতুন গবেষণাগ্রন্থ ‘গৌরব ও বেদনার একাত্তর’।

একাত্তরের গণহত্যায় প্রিয়জনের মৃত্যু দেখেছেন, লাশ টেনেছেন, শহীদদের রক্তে নিজের শরীর ভিজিয়েছিলেন এক প্রত্যক্ষদর্শী। তাকেও হত্যা করা হতো কিন্তু দৈবক্রমেই বেঁচে যান তিনি। আরেক শহীদের মাথার মগজটি মাটি থেকে তুলে কাফনে রেখেছিলেন তারই ছোটো ভাই।

কী ঘটেছিল রক্তাক্ত ওই দিনগুলোতে?

প্রত্যক্ষদর্শী ও শহীদ স্বজনদের ভাষ্যে হৃদয়ে দাগকাটা একাত্তরের এমন মর্মস্পর্শী গণহত্যার ইতিহাস উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নতুন এই বইটিতে। রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমির গণহত্যা, সিলেটের কাইয়ার গুদামের নির্যাতন ও হত্যা, সৈয়দপুর ও সিরাজগঞ্জের গণহত্যাসহ একাত্তরের ৮টি গণহত্যার ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে শহীদ স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যে, যা একাত্তরে পাকিস্তানি সেনা ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের জেনোসাইড বা গণহত্যার প্রামাণ্য হিসেবেই উঠে আসে। একাত্তরের গণহত্যা সম্পর্কে এটি আগামী প্রজন্মকেও একটি নির্মোহ ধারণা দেবে।

একেকজন মুক্তিযোদ্ধার জীবনের গদ্যই লেখকের কাছে মুক্তিযুদ্ধের একেকটি ইতিহাস।

তাই এক যুগেরও অধিক কাল ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে তিনি রেকর্ড করছেন মুক্তিযুদ্ধের নানা ঘটনা ও না-বলা কথাগুলো। পাকিস্তান এয়ারফোর্স থেকে পালিয়ে এসে এক বীর-উত্তমের মুক্তিযুদ্ধে যোগদান, মুজিবনগর সরকারে খন্দকার মোশতাকের ভূমিকা, শরণার্থী ক্যাম্পগুলোর অবস্থা, কাজী আরেফদের একাত্তর ও একজন বীর নারীসহ ১০ জন মুক্তিযোদ্ধার জীবনের গদ্য মুক্তিযোদ্ধার নিজ বর্ণনায়, বিভিন্ন দলিল, লেখাসংশ্লিষ্ট আলোকচিত্র সন্নিবেশিত করা হয়েছে নতুন এই গ্রন্থে। লেখাগুলোর শেষ দিকে প্রায় প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধাই অকাট্য আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পরবর্তী প্রজন্মের প্রতি। দেশ নিয়ে তারা তাদের স্বপ্নের কথাগুলোও বলেছেন আগামী প্রজন্মের উদ্দেশেই।
নিঃসন্দেহে যা বর্তমান ও আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে উৎসাহিত করবে। 

‘গৌরব ও বেদনার একাত্তর’ বইটি নিয়ে কথাপ্রকাশের কর্ণধার জসিম উদ্দিন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের বিস্মৃত ইতিহাস তুলে আনার প্রয়াসে লেখক ও গবেষক সালেক খোকন কাজ করছেন এক যুগেরও অধিক সময়। নিভৃতচারী লেখক নিরলস প্রচেষ্টায় মহান মুক্তিযুদ্ধের অনালোচিত মানুষের কথা ও ঘটনা শোনাতে ব্রতী হয়েছেন, যারা বা যা ছিল অন্তরালে।

‘গৌরব ও বেদনার একাত্তর’ বইটির লেখাগুলো পাঠককে চুম্বকের মতো নিয়ে যাবে ঐতিহাসিক একাত্তরের গহিনে। যা যেকোনো বয়সী পাঠকের মনে উন্মেষ ঘটাবে দেশ ও মানুষের প্রতি প্রদীপ্ত অঙ্গীকার।

একক প্রচেষ্টায় সালেক খোকন তৃণমূলে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণাকাজে যুক্ত রয়েছেন বহু বছর ধরে। তার রচিত ‘যুদ্ধদিনের গদ্য ও প্রামাণ্য’ গ্রন্থটি ২০১৫ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক মৌলিক গবেষণাগ্রন্থ হিসেবে ‘কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক’ পুরস্কার এবং ‘৭১-এর আকরগ্রন্থ’ গ্রন্থটি ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার-২০২১ অর্জন করে। তার প্রকাশিত মোট গবেষণাগ্রন্থের সংখ্যা ৩৫টি। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ ১৫টি।

‘গৌরব ও বেদনার একাত্তর’ বইটির প্রচ্ছদ করেছেন মোস্তাফিজ কারিগর।২৫৪ পৃষ্ঠার এ বইটির মুদ্রিত মূল্য ৫০০ টাকা। পাওয়া যাচ্ছে সারা দেশের বই বিপণিগুলোতে।

মন্তব্য

অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের অর্থ সহায়তা দিল মথুরাপাড়া বছিরকাজী হাই স্কুল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের অর্থ সহায়তা দিল মথুরাপাড়া বছিরকাজী হাই স্কুল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন
ছবি : কালের কণ্ঠ

বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার মথুরাপাড়া বছিরকাজী হাইস্কুল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কল্যাণ তহবিল থেকে গরীব, অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। গত বুধবার (২ এপ্রিল) মথুরাপাড়া বছিরকাজী হাই স্কুল মাঠে সংগঠনটি শিক্ষার্থীদের মাঝে এ আর্থিক সহায়তা তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কৃষিবিদ মো. মোজাফ্ফর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের অন্যতম সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক কাজী এরফানুর রহমান রেন্টু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী তোফায়েল আহমেদ এবং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সহিদুল ইসলাম। আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সহ সম্পাদক শিক্ষাবিদ মো. বেলাল হোসেন, বিদ্যালয়ের ১৯৭৯ ব্যাচের ছাত্র জিসকা ফার্মাসিটিকেলস সিনিয়র ম্যানেজার (রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) আবেদ মওলা বাহলুল টিপু, একই ব্যাচের যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র রিসার্চ সায়েন্টিস্ট ডা. মো. মোফাজ্জল হোসেন, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের  সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম ডিজু ও রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের পরিচালক শিল্পপতি বদিউজ্জামান ।

অনুষ্ঠানে কল্যাণমূলক কার্যক্রমের আওতায় দেশের বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ এবং বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়।  অনুষ্ঠানে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী এবং সুধীজনের উপস্থিতি নতুন মাত্রা যোগ করে। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল জিবলি আর্ট আসলে কী?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল জিবলি আর্ট আসলে কী?
সংগৃহীত ছবি

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় জিবলি আর্ট বেশ ট্রেন্ডিং হয়ে উঠেছে। যেখান এআই চ্যাট জিপিটি দিয়ে জিবলি স্টাইলে ছবি তৈরি হচ্ছে। কিন্তু অনেকেই জানেন না, জিবলি আসলে কী। 
জিবলি হচ্ছে জাপানের বিখ্যাত অ্যানিমেশন স্টুডিও।

এর নাম শুনে না এমন মানুষ খুবই কম। যারা জানেন না, তাদের জন্য এই প্রতিবেদনে থাকছে স্টুডিও জিবলির ইতিহাস ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

স্টুডিও জিবলির যাত্রা
১৯৮৫ সালে দুই কিংবদন্তি অ্যানিমেটর হায়াও মিয়াজাকি ও ইসাও তাকাহাতার হাত ধরে শুরু হয় স্টুডিও জিবলির যাত্রা। তাঁদের লক্ষ্য ছিল এমন একটি নতুন ধরনের অ্যানিমেশন তৈরি করা যেখানে জাপানের সংস্কৃতি, লোককথা, ইতিহাস ও আবেগ একসাথে প্রকাশ পাবে।

'জিবলি' নামটি এসেছে ইতালীয় শব্দ 'ঘিবলি' থেকে। যার অর্থ গরম মরুভূমির বাতাস। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল অ্যানিমেশন জগতে নতুন বিপ্লব সৃষ্টি করা।

মিয়াজাকির অমর সৃষ্টি
স্টুডিও জিবলির অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব হায়াও মিয়াজাকি।

তাঁর তৈরি অ্যানিমেশন সিনেমাগুলি শিশুদের জন্য একদিকে যেমন উপভোগ্য, তেমনি বড়দের জন্য এক বিশেষ অভিজ্ঞতা। 
My Neighbor Totoro, Spirited Away, Howl’s Moving Castle, Princess Mononoke—এই চলচ্চিত্রগুলো সবই আলাদা আলাদা গল্প হলেও, প্রতিটি গল্পে সৌন্দর্য ও গভীরতার মেলবন্ধন রয়েছে। ২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত Spirited Away অস্কার জিতেছিল। জাপানে মিয়াজাকিকে কিংবদন্তি হিসেবে স্মরণ করা হয়।

জিবলি আর্ট কেন এত জনপ্রিয়?
স্টুডিও জিবলির অ্যানিমেশন চিত্রশৈলী বাস্তব ও কল্পনার এক মিশ্রণ।

বিশদ ব্যাকগ্রাউন্ড, হাতে আঁকা প্রতিটি দৃশ্য, চরিত্রগুলোর অভিব্যক্তি— সবকিছুতেই এক গভীর অনুভূতি প্রতিফলিত হয়। প্রকৃতির সৌন্দর্য, রহস্যময় জগত, কল্পনা এবং নিখুঁত হাতে আঁকা অ্যানিমেশনই এই শিল্পকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে।

মিয়াজাকি ও এআই
২০১৬ সালে মিয়াজাকি এআই এর মাধ্যমে ছবি আঁকার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর মতে, এটি দ্বারা জিবলির অ্যানিমেশন স্টাইল অনুকরণ করা মূলত শিল্পীদের কাজের অপমান। তিনি বলেছিলেন, ‘যারা এআই দিয়ে ছবি আঁকছে, তারা জানে না কষ্ট কী। আমার মতে, এটা হওয়া উচিত নয়; এটি দুঃখজনক।‘

জিবলির অ্যানিমেশন ও এর স্রষ্টার চিন্তা-ভাবনা সম্পর্কে একবার ভাবুন, যখন আপনি এই ট্রেন্ডে গা ভাসাচ্ছেন।

সূত্র : আজতক বাংলা

মন্তব্য

বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
সংগৃহীত ছবি

আইনজ্ঞ, চিন্তাবিদ, নির্ভীক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ১৯৭৯ সালের ৩ এপ্রিল ইন্তেকাল করেন। ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দের ১১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। মাহবুব মোর্শেদ কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দে অর্থনীতিতে বিএ (অনার্স), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে এমএ এবং ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।

 

আরো পড়ুন
শুক্রবার থেকে টানা ৪ দিন বৃষ্টি ঝরবে যেসব এলাকায়

শুক্রবার থেকে টানা ৪ দিন বৃষ্টি ঝরবে যেসব এলাকায়

 

লন্ডনের লিংকন্স ইন থেকে ব্যারিস্টারি পাস করে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে আইনব্যবসা শুরু করেন। ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ঢাকা হাইকোর্ট বারে যোগ দেন। ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে মাহবুব মোর্শেদ হাইকোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন। ১৯৬২-৬৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ছিলেন।

১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ঢাকা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে অধিষ্ঠিত হন এবং ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ নভেম্বর পদত্যাগ করেন।

সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালনের পাশাপাশি ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে  যুক্তফ্রন্ট গঠনে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখেন। 

রবীন্দ্র শতবার্ষিকী উদযাপন প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি হিসেবে ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তিনি ঢাকায় রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী পালনে উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করেন। আইয়ুব খানের শাসনকালে গণতান্ত্রিক অধিকার যখন বাধাগ্রস্ত, তখন মানুষের মৌলিক অধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আদালতের আসন থেকেই তিনি সংগ্রাম করেছিলেন।

 

আরো পড়ুন
মান্নাত ছেড়েছেন, এবার ফ্ল্যাট বিক্রি করলেন গৌরী খান

মান্নাত ছেড়েছেন, এবার ফ্ল্যাট বিক্রি করলেন গৌরী খান

 

১৯৬৯-এর আইয়ুববিরোধী গণআন্দোলনে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। তিনি ছাত্র সমাজের ১১-দফার প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেন এবং শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তি ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারের জন্য সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন। ওই বছরই আইয়ুব খান আহূত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি পূর্ব বাংলার  ছয়দফা ভিত্তিক স্বায়ত্তশাসন ও সংসদীয় গণতন্ত্রের দাবি জানিয়ে বক্তব্য পেশ করেন। উপরোন্তু, প্রাদেশিক গভর্নর মোনায়েম খানের প্রশাসনের সঙ্গে তার সংঘাতের কথা তখন সুবিদিত ছিল। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের স্বাধীনতা সংগ্রামে পাকিস্তানি শাসকচক্রের জুলুম-নির্যাতনের প্রতিবাদ করে তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষাবলম্বন করেন।

আইনজীবী হিসেবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করলেও দক্ষ বিচারক হিসেবেই মাহবুব মোর্শেদের খ্যাতি সুদূর প্রসারিত। বিচারপতির মর্যাদা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য তিনি কঠোর প্রয়াস চালিয়েছেন।

‘মন্ত্রীর মামলা’, ‘কর্নেল ভট্টাচার্যের মামলা’ ও ‘পানের মামলা’-য় তার ঐতিহাসিক রায় একজন অকুতোভয় বিচারকের ন্যায়নিষ্ঠার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। 

মন্তব্য

পিরামিডের গাণিতিক রহস্য, প্রকৌশল না কি অলৌকিকতা?

শেয়ার
পিরামিডের গাণিতিক রহস্য, প্রকৌশল না কি অলৌকিকতা?
সংগৃহীত ছবি

প্রাচীন মিশরের স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন হওয়ার পাশাপাশি পিরামিড বিস্ময়কর গাণিতিক রহস্যও বহন করে। হাজার বছর আগে আধুনিক প্রযুক্তির অনুপস্থিতিতেও কীভাবে মিশরীয়রা এত নিখুঁত গাণিতিক হিসাবের মাধ্যমে পিরামিড নির্মাণ করেছিল, তা আজও গবেষকদের ভাবিয়ে তোলে। চলুন, জেনে নিই পিরামিডের কিছু চমকপ্রদ গাণিতিক রহস্য।

‘পাই’ ও ‘ফাই’এর উপস্থিতি
গ্রেট পিরামিডের উচ্চতা ও পরিধির অনুপাত প্রায় ৩.১৪১।

যা গাণিতিক ধ্রুবক ‘পাই’ (π)-এর সমান। এ ছাড়াও পিরামিডের ত্রিভুজাকৃতির গঠন ‘সোনালি অনুপাত’ (ফাই = ১.৬১৮)-এর সঙ্গে মিলে যায়। যা প্রকৃতির বিভিন্ন গঠনে পাওয়া যায়।

পৃথিবীর মাত্রা ও পিরামিড
গ্রেট পিরামিডের উচ্চতা ১৪৬.৬ মিটার।

এটির ভিত্তির পরিধি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল, যেন পিরামিডকে পৃথিবীর ব্যাসার্ধের একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ বলে মনে হয়। পিরামিডের চারটি বাহু পৃথিবীর চারটি দিকের (উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম) সঙ্গে চমৎকারভাবে মিলিয়ে তৈরি করা হয়েছিল।

সূর্য ও জ্যোতির্বিজ্ঞান
পিরামিডের নকশায় সূর্যের অবস্থান, নক্ষত্রের চলাচল ও ঋতুর পরিবর্তনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কিছু গবেষক দাবি করেন, এটি জ্যোতির্বিদ্যার জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছিল।

যেখানে নির্দিষ্ট তারা যেমন ওরিয়ন বেল্টের সঙ্গে পিরামিডের অবস্থান মিলে যায়।

গণিতের নিখুঁত ব্যবহার
গ্রেট পিরামিডের প্রতিটি পাথরের ওজন প্রায় ২.৫ টন। পুরো পিরামিডে প্রায় ২৩ লাখ পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। যদি প্রতিদিন ১০টি পাথর বসানো হতো, তাহলে পুরো পিরামিড তৈরি হতে ৬৩ বছর লাগত। এটি কীভাবে মাত্র ২০ বছরের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছিল, তা এক বিশাল প্রশ্ন।

জ্যামিতিক নিখুঁত গঠন
পিরামিডের প্রতিটি কোণ প্রায় ৫১.৮৪ ডিগ্রি। যা প্রকৌশলগতভাবে স্থিতিশীল একটি কাঠামো গঠনের জন্য আদর্শ। আশ্চর্যের বিষয় হলো, আজকের আধুনিক স্থাপত্যশাস্ত্রেও এই কোণটি ব্যবহৃত হয়।

পিরামিড শুধু রাজাদের সমাধি নয়, বরং এটি এক গাণিতিক বিস্ময়। প্রাচীন মিশরীয়রা কীভাবে এত নিখুঁত গণনা করতে পারত, তা এখনো রহস্য। এটি কি শুধুই গণিত ও প্রকৌশলের ফল, নাকি এর পেছনে আরো গভীর কোনো গোপন রহস্য লুকিয়ে আছে? গবেষকরা এখনো এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন।

সূত্র : ব্রিটানিকা

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ