<p>কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পদচারণ পড়েছিল ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠাবাড়ী জমিদার বাড়িতে। সেখানে নিজেই উদ্বোধন করেছিলেন কাছারিবাড়ি। কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠিবাড়ি বা সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি আলোচিত থাকলেও এই স্থানটি তেমন আলোচনায় না এলেও তার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে লোকজন আসতেন একনজর দেখতে। কিন্তু গত ৫ আগস্টের পর বদলে গেছে ওই স্থানটি। মুছে ফেলা হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত কাছারিবাড়ির সামনে লেখা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামটি।</p> <p>এই স্থানটিতে রয়েছে কবিগুরুর অনেক স্মৃতি। কিন্তু এখন কাছারিবাড়িটি দাঁড়িয়ে থাকলেও সামনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চকচকে নামটি মুছে ফেলা হয়েছে। এতে সাধারণ জনগণ ও সংস্কৃতি মনা লোকজনের মনে এক ধরনের ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হলেও কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। ফলে এখন আর এই স্থানটি দেখতে কেউ আসে না।</p> <p>জানা যায়, ছাত্র জমিদার প্রমোদ চন্দ্র রায় চৌধুরীর আমন্ত্রণে তার কাছারিবাড়ি উদ্বোধন করতে আঠারবাড়ী এসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তিনি ১৯২৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি কবির আগমনের সেই স্মৃতি বহন করে জমিদারবাড়িটি আজও দাঁড়িয়ে আছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ, লক্ষাধিক নেতাকর্মী জড়ো হচ্ছেন বিমানবন্দরে" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/28/1735364737-794cdb9c73f8c687c66ee249c67e263a.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ, লক্ষাধিক নেতাকর্মী জড়ো হচ্ছেন বিমানবন্দরে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/12/28/1462236" target="_blank"> </a></div> </div> <p>প্রতিবছর কবির জন্মদিন ও মৃত্যুবার্ষিকীতে বহু মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে আঠারবাড়ী জমিদারবাড়িতে আসতেন। ঈশ্বরগঞ্জ সদর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার পূর্বে গেলেই চোখে পড়বে জমিদারবাড়ির কারুকার্যমণ্ডিত ভাঙাচোরা অট্টালিকা। রবীন্দ্রনাথের উদ্বোধন করা সেই কাছারিবাড়ি ভবনেই ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আঠারবাড়ী ডিগ্রি কলেজ। আর কলেজের ভেতরেই রয়েছে কবিগুরুর নিজের হাতে উদ্বোধন করা কাছারিবাড়িটি।</p> <p>সম্প্রতি স্মৃতিবিজড়িত কাছারিবাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে সুনসান নীরবতা। দীর্ঘদিন ধরে ভবনটি ময়লা-আবর্জনায় ভরা থাকলেও বছরখানেক আগে এর কিছু অংশে সংস্কার করা হয়। তখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সামনের নামটি আরো সুন্দরভাবে লেখা হলেও এখন আর নেই।</p> <p>১৯২৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি কবি ময়মনসিংহ রেলস্টেশনে পৌঁছন। এ সময় মুক্তাগাছার জমিদার শশীকান্ত আচার্য চৌধুরী কবিকে দেন বরণমালা। কবির সঙ্গে ছিলেন ছেলে রথীন্দ্রনাথ, পুত্রবধূ প্রতিমা দেবী, দীনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, অধ্যক্ষ জোসেফ তুচি ও অধ্যাপক কারলো জারমিকি, কবির ব্যক্তিগত সচিব হিরজি ভাই মরিচ, অধ্যাপক নেপাল চন্দ্র রায়, কালীমোহন ঘোষ প্রমুখ। সারা দিন কবি সংবর্ধিত হয়ে রাত যাপন করেন শশী লজে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে যা বললেন মিজানুর রহমান আজহারী" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/28/1735362583-7151184986aed9f8f418938930271d37.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে যা বললেন মিজানুর রহমান আজহারী</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/12/28/1462230" target="_blank"> </a></div> </div> <p>রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামটি মুছে ফেলা সম্পর্কে এলাকার অনেকের সাথে কথা বললে তারা এক ধরনের ভয়ে মুখ খোলেন না। তাদের মধ্যে অনেকের কথা, যা হয়েছে তা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এটা এক ধরনের আত্মঘাতী।</p> <p>আঠারবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শহীদুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে কথা না বলাই ভালো। এটা এখন সেনসেটিভ ব্যাপার।’</p>