<p style="text-align:justify">কাঠের গুঁড়ার সঙ্গে গমের ভূষি, ধানের তুষ মিশিয়ে গো-খাদ্য তৈরি করে বাজারজাত করা হতো। খবর পেয়ে পুলিশ ঘরভর্তি কাঠের গুঁড়া ও বিভিন্ন কম্পানির নামখচিত ১০৮ বস্তা গো-খাদ্য জব্দ করে। এ সময় কারখানাটির মালিক পালিয়ে যান।</p> <p style="text-align:justify">আজ শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বাঁশহাটি ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।</p> <p style="text-align:justify">স্থানীয় সূত্র জানায়, নান্দাইল চৌরাস্তা ও কেন্দুয়া আঞ্চলিক সড়কের পাশে ওই স্থানে দীর্ঘদিন ধরে গো-খাদ্যের ব্যবসা করে আসছিলেন কামরুল ইসলাম। তিনি সেখানে একটি কারখানা তৈরি করেন। যেখান থেকে গো-খাদ্য বস্তাভর্তি করে পাশের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠাবাড়ি রায়ের বাজারের গুদামে রেখে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করতেন।</p> <p style="text-align:justify">স্থানীয়রা জানান, বেশ কয়েক মাস ধরে কামরুল ওই ঘরে স্থানীয় স-মিল থেকে কাঠের গুড়া এনে রাখেন। বিষয়টি অনেকের নজরে পড়লে আলোচনার সৃষ্টি হয়।</p> <p style="text-align:justify">এ অবস্থায় ঘটনাটি জানতে পারে নান্দাইল থানা পুলিশ। শনিবার বিকেলে নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ আহম্মেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকানটি বন্ধ পান।</p> <p style="text-align:justify">পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় দোকানের তালা ভেঙে দেখা যায়, ঘরের ভেতরের এক পাশে স্তুপ করে রাখা কাঠের গুঁড়া, ধানের তুষ ও কিছু গমের ভূষি। যা একসঙ্গে মিশিয়ে বিভিন্ন নামি-দামি কম্পানির নাম ব্যবহার করে বস্তায় ভরে বাজারজাত করা হতো।</p> <p style="text-align:justify">স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এর ফলে গো-খামারিরা প্রতারিত হওয়াসহ গবাদিপশু নানা রোগে আক্রান্ত হতো। অন্যদিকে, নামি-দামি কম্পানির দুর্নামও হতো।</p> <p style="text-align:justify">এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পশু চিকিৎসক মো. উজ্জল হোসাইন জানান, কাঠের গুঁড়া মিশ্রিত গো-খাদ্যে পশুর বিষক্রিয়া হতে পারে।</p> <p style="text-align:justify">নান্দাইল থানার ওসি ফরিদ আহম্মেদ জানান, জব্ধকৃত মালামাল থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।</p>