<p>এই বসুন্ধরা কিংস অচেনা। শীর্ষ ফুটবলে তাদের রাজত্ব শুরুর পর আবাহনী অনেক চেষ্টা করেছে পেছন টেনে ধরতে, পারেনি। গত মৌসুমে মোহামেডান হয়ে উঠেছিল চ্যালেঞ্জার। গোটাকয় ‘পাঞ্চ’ হজম করেও শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বীকে ঠিকই রিংয়ে শুইয়ে ফেলেছিল কিংস।</p> <p>কিন্তু এই মৌসুমে সেই কিংসকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘরের মাঠে ফর্টিসের কাছে হেরে গেছে। গত পরশু ব্রাদার্সও কোণঠাসা করেছে কিংসকে।</p> <p>এমন একটা দলের কাছে কিংস হেরে যাবে, এটা ছিল অভাবনীয়। তবে কুমিল্লায় সেই ধাক্কাটাই দিয়েছে আবাহনী। এ মৌসুমে কিংসের এই দুর্বিপাকে পড়া শুরু ১০ জনের মোহামেডানের কাছে হার দিয়ে। শীর্ষ ফুটবলে নাম লেখানোর পর কিংসকে এতটা ছন্নছাড়া দেখা যায়নি।</p> <p>নতুন কোচ ভ্যালেরিও তিতা হতাশ দরকারি খেলোয়াড় হাতে না পেয়ে। রবসন রোবিনহো ও দরিয়েলতন একযোগে দল ছাড়ার পর কিংস সেই শূন্যতা পূরণ করতে চেয়েছে এক জাহেদ খাসাকে দিয়ে। কিন্তু ফরাসি এই স্ট্রাইকার চোটে পড়ে গেলে নাম্বার নাইন খেলানোর মতো আর কাউকেই পাচ্ছেন না কিংসের রোমানিয়ান কোচ। পরশু ব্রাদার্সের বিপক্ষেও প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়ে সেই গোল আর শোধ দিতে পারছিল না কিংস ভালো ফিনিশিংয়ের অভাবে। রাকিব হোসেন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, মিগেল ফিগেইরা বারবার হতাশ হচ্ছিলেন।</p> <p>শেষ সময়ে আরেক মিডফিল্ডার মজিবুর রহমান মান বাঁচিয়েছেন কিংসের। ম্যাচটা মাঠে বসে থাকা কিংস সভাপতি ইমরুল হাসানও স্ট্রাইকার না থাকাটাকে দেখছেন বড় সংকট হিসেবে, ‘খাসার ইনজুরিতে আমরা বিপাকে পড়ে গেলাম। মাঝবিরতির আগে তো আর এটা নিয়ে কিছু করার নেই। এই সময়টায় যতটা কম পয়েন্ট হারানো যায়, যাতে আমরা দ্বিতীয় লেগে খেলোয়াড় বদলে হলেও সেটা পুষিয়ে নিতে পারি।’</p> <p>কিংস সভাপতির মুখে ‘কম পয়েন্ট হারানোর’ এই শব্দগুচ্ছ বড় বেমানান। কখনো এমন অবস্থায় পড়তেই হয়নি যে তাদের। এর আগে স্ট্রাইকার গোল না পেলেও রোবিনহো ঠিক পুষিয়ে দিতেন। এই দলে তেমন কেউই যে নেই। অভিজ্ঞ স্থানীয় স্ট্রাইকারেরও সংকট।</p>