<p>সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনো ব্যক্তিসংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায়নি তদন্ত কমিটি। প্রাথমিক অনুসন্ধানে বলা হয়েছে, বৈদ্যুতিক ত্রুটির কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।</p> <p>মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। পরে এসব তথ্য জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি। </p> <p> মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, তিন জায়গার নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং বিস্ফোরকের আলামত পাওয়া যায়নি। বৈদ্যুতিক ত্রুটির কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।</p> <p>নাসিমুল গনি বলেন, ‘সচিবালয়ে লুজ কানেকশন থেকে আগুনে সূত্রপাত। এতে কোনো ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।’</p> <p>গত বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। রাত ১টা ৫৪ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য আটটি ইউনিট কাজ করলেও পরে আরো ১০টি ইউনিট যুক্ত করা হয়।</p> <p>এ ঘটনা কোনো নথি পুড়ে যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন তদন্ত কমিটির প্রধান। তিনি বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের কারণে কোনো ভবন ভাঙতে হবে না। মেরামত করে এখানেই দাপ্তরিক কাজ করা সম্ভব।’</p> <p>তদন্ত কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব হাসান বলেন, ‘পুড়ে যাওয়া ফ্লোরগুলোতে কোনো ধরনের বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। ডগ স্কোয়াড দিয়ে সার্চ করিয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস থেকে যে নমুনা পাওয়া গেছে তাতেও কোনো ধরনের বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি।’</p> <p>ব্রিফিংয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, ‘করিডরে আগুন থাকায় নেভাতে দেরি হয়েছে, কলাপসিবল গেট থাকায় তা কেটে ভিতরে ঢুকতে হয়েছে। ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কারণে আগুন বেশি ছড়িয়েছে। পর্যাপ্ত পানি ছিল না।’</p>