যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোর একটি বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের পর আমেরিকান এয়ারলাইনসের একটি জেটে আগুন ধরে যায়। ওই বিমানের যাত্রী ও ক্রুদের ডানার সাহায্যে নিরাপদে বের করে আনা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় ১২ জন আহত হয়েছে। তাদের পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোর একটি বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের পর আমেরিকান এয়ারলাইনসের একটি জেটে আগুন ধরে যায়। ওই বিমানের যাত্রী ও ক্রুদের ডানার সাহায্যে নিরাপদে বের করে আনা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় ১২ জন আহত হয়েছে। তাদের পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (এফএএ) জানিয়েছে, ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জ্বলতে থাকা বিমানটির যাত্রীদের ডানা থেকে ফুলানো স্লাইডের সাহায্যে মাটিতে নামিয়ে নিয়ে আসা হয়।
বোয়িংয়ের এই বিমানটি ১৭২ জন যাত্রী ও ছয়জন ক্রু নিয়ে ডেনভারের কাছেই কলোরাডো স্প্রিং থেকে উড়েছিল। এটির গন্তব্য ছিল টেক্সাসের ডালাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ক্রুরা ‘ইঞ্জিনে কম্পনের’ খবর দেওয়ার পর বিমানটি স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ডেনভারের দিকে ঘুরিয়ে ফেলা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অনেকেই ওই ঘটনার ভিডিও পোস্ট করেছে। সেসব ভিডিওতে বিমানটির যাত্রীদের বিমানের ডানায় হাঁটতে দেখা গেছে, পাশেই কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠছিল। বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড ক্রুদের দেখা গেছে দৌড়ে ডানার কাছে মই নিয়ে আসতে।
এর আগে জানুয়ারিতে ওয়াশিংটন ডিসির আকাশে আমেরিকান এয়ারলাইনসের একটি জেটের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর একটি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষে ৬৭ জন নিহত হয়েছিল। সূত্র : বিবিসি
সম্পর্কিত খবর
নাইজারে জিহাদি গোষ্ঠীর সঙ্গে দুটি পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় দেশটির ১৩ সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। গত বুধবার দেশটির সেনাবাহিনী এই কথা জানিয়েছে। নাইজারের সেনাবাহিনী বলেছে, ১৫ মার্চ দেশটির পশ্চিম তিলাবেরি অঞ্চলের একটি সোনার খনির স্থানে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সহযোগীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ৯ সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। এতে সাতজন সেনা আহত হন।
চীন সম্প্রতি মাদক চোরাচালানের দায়ে চারজন কানাডিয়ান নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অটোয়া। গত বুধবার কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি বলেছেন, সম্প্রতি চারজন কানাডীয়র মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে চীন। কানাডা এ ব্যাপারে নমনীয় হওয়ার আবেদন করা সত্ত্বেও চীন তা উপেক্ষা করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।
ভারতের পাঞ্জাবে আন্দোলনরত কৃষকদের হটাতে তাঁদের তাঁবু বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। ফসলের ভালো দাম চেয়ে হরিয়ানাসংলগ্ন সীমান্তে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে পুলিশ আন্দোলনরত কয়েক শ কৃষককে আটকও করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ফসলের ক্ষেত্রে আরো বেশি রাষ্ট্রীয় সহায়তার আইন-সমর্থিত নিশ্চয়তার জন্য চাপ দিতে গত বছরের শুরুর দিকে নয়াদিল্লি অভিমুখে মিছিল ডাক দেন কৃষকরা।
বুধবার রাতের অভিযান নিয়ে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে পাঞ্জাব পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নানক সিং বলেন, ‘আমাদের কোনো ধরনের বল প্রয়োগ করতে হয়নি, কারণ তারা কোনো ধরনের প্রতিরোধই গড়েননি। কৃষকরা ভালোভাবেই সহযোগিতা করেছেন, তাঁরা নিজেরাই বাসে উঠে বসেন।’
কৃষকদের আগেই অভিযান চালানোর ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।
টেলিভিশনের ছবিতে পুলিশকে বুলডোজার চালিয়ে কৃষক শিবিরের মঞ্চ ও তাঁবু গুঁড়িয়ে দিতে ও ব্যক্তিগত জিনিসপত্রসহ কৃষকদের গাড়ির দিকে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
গণমাধ্যমে আসা কোনো কোনো ছবিতে আটক ব্যক্তিদের টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চিত্রও দেখা যাচ্ছে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে কৃষক নেতা সারওয়ার সিং পান্ধের ও জগজিৎ সিং দাল্লেওয়ালও আছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। দাল্লেওয়াল দীর্ঘদিন অনশন করেছিলেন, তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।
আনন্দবাজার জানিয়েছে, বুধবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করে ফেরার পথে মোহালি থেকে পাঞ্জাব পুলিশের হাতে আটক হন কৃষক নেতা জগজিৎ সিংহ দাল্লেওয়াল ও তাঁর সঙ্গীরা। এরপর রাতেই অবস্থানস্থল থেকে কৃষকদের হটানো শুরু করে পুলিশ। সূত্র : রয়টার্স, আনন্দবাজার পত্রিকা