তেঁতুল ফলটি মিষ্টি ও টক স্বাদের কারণে সবার পছন্দের একটি ফল। তেঁতুলের স্বাদ ছাড়াও এর উপকারিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তেঁতুলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।
এটি বদহজম, হার্ট, লিভার ও কিডনির সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
তেঁতুল ফলটি মিষ্টি ও টক স্বাদের কারণে সবার পছন্দের একটি ফল। তেঁতুলের স্বাদ ছাড়াও এর উপকারিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তেঁতুলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।
এটি বদহজম, হার্ট, লিভার ও কিডনির সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
হার্টের জন্য উপকারী :
তেঁতুল হার্টের জন্য খুবই উপকারী। এটি কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
হজমে সাহায্য :
হজমের সমস্যা দূর করতে তেঁতুল খুবই কার্যকর।
পুষ্টিতে ভরপুর :
তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি। ১০০ গ্রাম তেঁতুল খেলে আপনি পাবেন ৩৬% থায়ামিন, ৩৫% আয়রন, ২৩% ম্যাগনেসিয়াম এবং ১৬% ফসফরাস। এ ছাড়া এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, কপার, পাইরিডক্সিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
ওজন কমাতে সাহায্য :
তেঁতুলে থাকা হাইড্রক্সি সাইট্রিক অ্যাসিড শরীরে চর্বি জমা হতে বাধা দেয় ও ক্ষুধা কমায়। যা ওজন কমানোর জন্য উপকারী।
স্নায়ুর জন্য উপকারী :
তেঁতুলে থাকা ভিটামিন বি ও থায়ামিন থাকে। যা স্নায়ু ও পেশীর সঠিক কার্যকারিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
প্রদাহ কমায় :
তেঁতুলে থাকা টারটারিক অ্যাসিড প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা অগ্ন্যাশয়ের টিউমারের বৃদ্ধি রোধ করতে সহায়তা করতে পারে। এ ছাড়াও তেঁতুল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারী।
সূত্র : টিভি নাইন বাংলা
সম্পর্কিত খবর
রান্নায় আলাদা মাত্রা যোগ করে মসলা। কিন্তু অনেক সময়ে খেয়াল করে দেখবেন, পর্যাপ্ত মসলা দেওয়ার পরও রান্নায় তেমন স্বাদ আসে না। যার নেপথ্যে থাকতে পারে ভেজাল মশলার কারসাজি। তা ছাড়া রান্নায় ব্যবহৃত মসলা শুধু স্বাদই বাড়ায় না, অনেক ভেষজ গুণও রয়েছে।
হলুদ গুঁড়া
হলুদে ভেজাল হিসেবে প্রায়ই রঙিন কৃত্রিম পদার্থ মেশানো হয়। পরীক্ষার জন্য সামান্য ভেজা হাতে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো নিয়ে ঘষতে থাকুন।
মরিচের গুঁড়া
আজকাল মরিচের গুঁড়ায় ইটের গুঁড়া বা লাল রং মেশাতে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে পরীক্ষা করতে এক গ্লাস পানিতে মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে নাড়তে থাকুন।
ধনে গুঁড়া
অনেক সময়ে ধনে গুঁড়াতে কাঠের গুঁড়া, রং কিংবা বিভিন্ন ধরনের ভেজাল জিনিস মেশাতে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে সামান্য পরিমাণ ধনে গুঁড়া নিয়ে হাতে ঘষতে থাকুন। যদি অদ্ভুত গন্ধ পান কিংবা রং পরিবর্তন হতে থাকে তাহলে সেটি ভেজাল হতে পারে।
জিরা গুঁড়া
জিরার গুঁড়াতে কৃত্রিম চক পাউডার মেশানো হয়। যা চিহ্নিত করতে এক গ্লাস পানিতে খানিকটা জিরা ফেলুন। যদি কিছু অংশ পানিতে ভেসে থাকে বা পানির রং পরিবর্তন হয়, তবে বুঝবেন এতে ভেজাল আছে।
গোলমরিচ
গোলমরিচের মধ্যে অনেক সময়ে শুকনো পেঁপের বীজ মেশানো হয়। কেনার আগে এক টুকরো গোলমরিচ চেপে দেখে নেবেন। যদি সহজেই ভেঙে যায়, তবে তা ভেজালযুক্ত হতে পারে। এ ছাড়া এক গ্লাস পানিতে সামান্য গোলমরিচ দিন। গোলমরিচ খাঁটি হলে তা পানির নিচে ডুবে থাকবে। আর ভেজাল গোলমরিচ ওপরে ভেসে উঠবে।
সূত্র : আজকাল
ইফতারে খেজুর খাওয়ার রীতি অনেক পুরোনো। কখনো কি ভেবে দেখেছেন কেন রোজা ভাঙার জন্য ইফতারে সবার আগে কেন খেজুরই খাওয়া হয়? মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রিয় খাবারের একটি ছিল খেজুর। তিনি নিজেও ইফতার করতেন খেজুর দিয়েই। এর পিছনে বৈজ্ঞানিক কারণও আছে।
রোজায় দীর্ঘসময় আমরা খাবার ও পানীয় থেকে বিরত থাকি। এতে পুষ্টির অভাবে আমাদের শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই শরীরে দ্রুত শক্তি ফিরে পেতে অনেকেই ইফতারে খেজুর খান। সারা দিন না খেয়ে থাকার ফলে আমাদের এমন কিছু খাবারের প্রয়োজন হয়, যা শরীরে পুষ্টি জোগাবে।
নানা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খেজুরে আছে ক্যালরি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়ামসহ নানা প্রাকৃতিক উপাদান। এ ছাড়া আর কী উপকারে আসে এই খেজুর।
হৃদরোগের ঝুঁকি
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া হৃৎপিণ্ডের সবচেয়ে নিরাপদ ওষুধ খেজুর।
ক্যান্সার প্রতিরোধ
পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ও প্রাকৃতিক আঁশে পূর্ণ খেজুর ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। তাই যারা নিয়মিত খেজুর খান, তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকিটাও অনেক কম থাকে।
উচ্চ রক্তচাপ
খেজুরে থাকা আয়রন ও ফাইবার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
এনার্জি
খেজুরের পুষ্টিগুণ প্রচুর। সুগারের পরিমাণ এত বেশি থাকে খেজুরে যে এক কামড়েই অনেকটা এনার্জি পাওয়া যায়। এর মধ্যে আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, গ্লুকোজ, ম্যাগনেশিয়াম ও সুক্রোজ থাকে। যে কারণে খেজুর খাওয়ার মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে শরীরে এনার্জি বেড়ে যায়।
এসিডিটি
দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলে সাধারণত এসিডিটি হয়। যার থেকে অস্বস্তি হতে থাকে। খেজুর শরীরে এসিডের মাত্রা বশে রেখে অস্বস্তি কমায়।
বেশি খাওয়া
সারা দিন না খেয়ে থাকলে খাওয়ার সময় বেশি খেয়ে ফেলার প্রবণতা তৈরি হয়। তাই খেজুর খেয়ে রোজা ভাঙলে এর মধ্যে থাকা জটিল কার্বোহাইড্রেট হজম হতে বেশি সময় নেয়। ফাইবার থাকার কারণে পেট ভরা লাগে। তাই বেশি খাওয়ার আগেই পেট ভরে যায়।
হজম
অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে তা পৌষ্টিকতন্ত্রের কার্যকারিতায় ব্যাঘাত ঘটায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও হতে পারে। খেজুর শরীরে উৎসেচক ক্ষরণে সাহায্য করে। ফলে হজম ভালো হয়।
খেজুর হলো রোজা ভাঙার সর্বোত্তম উপায়। তবে ইফতারে যদি খেজুর না পাওয়া যায়, তাহলে পানি পান করা উচিত। কারণ উভয়ই বিশুদ্ধ ও নিরাময়কারী।
সকাল বা বিকেলের নাশতায় অনেকে অনেক কিছু খেয়ে থাকেন। তবে কেউ কেউ দুধের সঙ্গে বিভিন্ন জিনিস মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। স্বাস্থ্যসচেতন মানুষজন এখন ওট্স, চিয়া সিড, কিনোয়াসহ বিভিন্ন খাবারে ভরসা রাখেন।
ব্যস্ত জীবনে রকমারি খাবারের ঝক্কি এড়াতে ওট্স, ফল, দুধ মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিলেই তৈরি হয়ে যায় স্মুদি।
কিন্তু বানানো সহজ হলেও এই যে সব রকম খাবার একসঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ার প্রবণতা, তা কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো? ওট্সে ফাইবার থাকে, চিয়া সিডও ফাইবার সমৃদ্ধ, আবার আপেলসহ ফলেও থাকে ডায়েটরি ফাইবার। এত ফাইবার একসঙ্গে খাওয়া কি ভালো? চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
পুষ্টিবিদদের মতে, ফাইবারের অনুপাত ঠিক রেখে ওট্স ও চিয়া সিড খাওয়া যেতেই পারে।
পুষ্টিবিদরা আরো বলছেন, প্রোটিন, ফাইবার কিংবা ভিটামিন— সবটাই খেতে হবে প্রয়োজনমতো, শরীর বুঝে। যেমন চিয়া সিড। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ছাড়াও এতে রয়েছে ফ্যাটি এসিড, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ। তবে ভালো মানেই যত ইচ্ছা খাওয়া চলে না। কিংবা ফাইবার সকলের স্বাস্থ্যের পক্ষে সমান লাভজনক না-ও হতে পারে।
ওট্স-চিয়ার স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উপযোগিতা
ওট্সে থাকে বিটা গ্লুকান, যা রক্তে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। স্থূলতাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে ওট্স। অন্যদিকে চিয়া সিড ওজন কমানোর জন্য অনেকেই খান। ফলে দুধ বা দইয়ের সঙ্গে ওট্স, পরিমিত চিয়া সিড, বাদাম মিলিয়ে খেলে পেট ভরা খাবার হতে পারে।
দুধের সঙ্গে কি চিয়া বীজ খাওয়া ভালো?
দুধে অনেকেই চিয়া সিড ভিজিয়ে খান। পানি বা দুধে বীজ ভিজিয়ে নিলে সেটি নরম হয়ে যায়। চিবাতেও সুবিধা হয়। একই সঙ্গে দুধে থাকা প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, ডি-সহ নানা রকম পুষ্টিগুণ চিয়া সিডের সঙ্গে যুক্ত হয়।
তবে পুষ্টিবিদদের মতে, দুধের সঙ্গে চিয়া সিড ভিজিয়ে খেলে যেমন উপকার আছে, তেমন কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। চিয়া সিডের ডায়েটরি ফাইবার দুধের পুষ্টিগুণ শোষণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। শুধু দুধের ভিটামিন, খনিজ পেতে হলে তার সঙ্গে ফাইবার জাতীয় খাবার যোগ না করাই ভালো।
যাদের দুধ হজমে সমস্যা হয়, তারা পানিতে ভিজিয়ে চিয়া সিড খেতে পারেন।
সূত্র : আনন্দবাজার
বাজারে এখন মিষ্টি ও তাজা আঙুর পাওয়া যায়। এই তাজা আঙুর দিয়ে আপনি চাইলে সহজেই ঘরে কিশমিশ তৈরি করতে পারেন। ঘরে তৈরি কিশমিশ খেতে খুবই সুস্বাদু। সামনে আসছে ঈদুল ফিতর।
কালো বা সবুজ যেকোনো আঙুর থেকে কিশমিশ তৈরি করতে পারেন। ঘরে তৈরি কিশমিশ দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়।
বাড়িতে আঙুর থেকে কিশমিশ তৈরির পদ্ধতি
প্রথম ধাপ : আঙুর থেকে কিশমিশ তৈরি করতে প্রথমে তাজা, রসালো ও মিষ্টি আঙুর বেছে নেওয়া উচিত। প্রথমে আঙুরগুলো পরিষ্কার পানি দিয়ে ২-৩ বার ভালো করে ধুয়ে নিন।
দ্বিতীয় ধাপ : এবার একটি পাত্রে কিছু পরিমাণ পানি ঢেলে গ্যাসে গরম করার জন্য রাখুন। পাত্রে যতটা সম্ভব আঙুর দিন। এবার ছাঁচটি কুকারে সেট করুন এবং আঙুরগুলোকে হালকা হলুদ ও নরম না হওয়া পর্যন্ত ভাপে রাখুন। এটি করতে আপনার ৫ মিনিট সময় লাগবে।
তৃতীয় ধাপ : এবার একটি পাত্রে সমস্ত আঙুর রাখুন। তারপর একটি পরিষ্কার কাপড় রোদে বিছিয়ে দিন। চাইলে কাপড়ের নিচে খবরের কাগজও রাখতে পারেন। এবার সব আঙুর একটু ফাঁক ফাঁক করে রোদে শুকাতে দিন।
চতুর্থ ধাপ : আঙুর শুকাতে সময় নেয়। আঙুর কিশমিশে পরিণত হতে প্রায় ২-৩ দিন সময় লাগে। প্রতিদিন উজ্জ্বল রোদে শুকাতে হবে। তিন দিনের মধ্যে একেবারে তাজা ও হলুদ কিশমিশ প্রস্তুত হয়ে যাবে। আপনি এই কিশমিশ এমনি খেতে পারেন বা যেকোনো খাবারে ব্যবহার করতে পারেন।
এভাবে সহজে বাড়িতেই আঙুর থেকে কিশমিশ তৈরি করতে পারেন। কম দামে ভাঙা আঙুর কিনুন, আর সেগুলোই তাজা কিশমিশ তৈরিতে ব্যবহার করুন। প্রস্তুত কিশমিশগুলো একটি কাচের জারে সংরক্ষণ করুন। এই কিশমিশগুলো বেশিদিন নষ্ট হবে না।
সূত্র : আজতক বাংলা