শরীরে কোন বিষয়গুলো ঘটলে মানুষ হঠাৎ মারা যায়?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
শরীরে কোন বিষয়গুলো ঘটলে মানুষ হঠাৎ মারা যায়?
প্রতীকী ছবি

আমরা অনেক সময় মানুষকে বলতে শুনি, ‘লোকটা হঠাৎ করে মরে গেল!’ অনেক সময় আমরা শুনি যে কেউ হয়তো ঘুমের মাঝেই মারা গেছেন। কোনো পূর্বসংকেত না থাকায় এগুলোকে আমাদের কাছে ‘হঠাৎ করে মারা যাওয়া’ তথা অপ্রত্যাশিত মৃত্যু মনে হলেও চিকিৎসাবিজ্ঞান অনুযায়ী এর সুনির্দিষ্ট কিছু কারণ আছে।

মানুষ এভাবে মারা যায় মূলত কিছু শারীরবৃত্তীয় ব্যর্থতার কারণে। বিশেষজ্ঞদের মতে, হৃৎপিণ্ড, মস্তিষ্ক আর শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাগুলো হঠাৎ মৃত্যুর পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে।

এই প্রতিবেদনে এমন কিছু বিষয় সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়েছে, যা হঠাৎ মৃত্যুর কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও মেডিক্যাল জার্নালের তথ্য বিশ্লেষণ করে এর প্রতিকার নিয়েও বলা হয়েছে।

হৃদরোগ
মানুষের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় অঙ্গ হৃৎপিণ্ড। হার্টে রক্ত সরবরাহকারী রক্তনালি যদি বন্ধ হয়ে যায় এবং এর ফলে যদি রক্ত হার্টে পৌঁছতে না পারে, তাহলে হার্টের মাংসপেশিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছায় না।

আর তখনই হয় হার্ট অ্যাটাক।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মে‌ডি‌সিন বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘হয় কার্ডিয়াক ফেইলিউরে, অথবা রেস্পাইরেটরি ফেইলিউরে মারা যাবে।’ অর্থাৎ হঠাৎ মৃত্যুর পেছনে ওই দুটির যেকোনো একটি কারণ থাকবেই।

ডা. আজাদ বলছিলেন, হার্টের পেশিগুলো অকার্যকর হয়ে গেলে হঠাৎ মৃত্যু হতে পারে।

অথবা হৃদস্পন্দন কমে গেলে কিংবা ধমনি ব্লক হয়ে গেলেও মানুষ তৎক্ষণাৎ মারা যেতে পারে।

তিনি জানান, হার্ট অ্যাটাক বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার কয়েক মিনিটের মাঝে যদি রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া না হয়, তাহলে তা নিশ্চিত মৃত্যু ডেকে আনতে পারে।

তবে হার্ট অ্যাটাকের কিছু লক্ষণ রয়েছে, যেগুলো দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এসব লক্ষণ হচ্ছে– বুকের মাঝ বরাবর ব্যথা, কাশি ও শ্বাসকষ্ট এবং বমি বমি ভাব ও বমি।

ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, এটি চিহ্নিত করার কিছু পূর্ব লক্ষণ আছে।

যেমন– শ্বাসকষ্ট বা দ্রুত শ্বাস নেওয়া, ঠোঁট বা আঙুলের ডগা নীল হয়ে যাওয়া, ক্লান্তি, বিভ্রান্তি, অজ্ঞান হয়ে পড়া, অতিরিক্ত ঘাম, অস্থির বোধ করা, মাথা ব্যথা, দৃষ্টি আচ্ছন্ন হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক বলছে, যদি দ্রুত চিকিৎসা না হয়, তাহলে এটি প্রাণঘাতী হতে পারে। যারা এই সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়, তাদের প্রতি তিনজনের মাঝে একজন মৃত্যুবরণ করে।

পালমোনারি এম্বোলিজম
হঠাৎ মৃত্যুর আরেকটি বড় কারণ হলো পালমোনারি এম্বোলিজম বা ফুসফুসে রক্ত জমাট বাঁধা। উদাহরণ হিসেবে ডা. আজাদ বলেন, ‘অনেক সময় দেখবেন যে কেউ নামাজে সিজদা করতে গিয়ে পড়ে গেছেন এবং মারা গেছেন। এ রকম অবস্থাকে বলে পালমোনারি এম্বোলিজম।’ এর অর্থ, ‘ফুসফুসের রক্তনালি ব্লক হয়ে গেছে।’ 

ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, দ্রুত চিকিৎসা না করালে পালমোনারি এম্বোলিজমের কারণে হৃদযন্ত্র, ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ফলে মৃত্যুও হতে পারে। 

এই প্রতিষ্ঠানের তথ্য বলছে, প্রায় ৩৩ শতাংশ পালমোনারি এম্বোলিজমে আক্রান্ত মানুষ চিকিৎসা শুরু করার আগেই মারা যায়। শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই বছরে ৯ লাখ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়।

এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আগে শরীরে কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন– হঠাৎ করে শ্বাস নিতে সমস্যা হওয়া, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস চলা, প্রচুর ঘাম হওয়া, চিন্তিত বোধ করা, অজ্ঞান হওয়া ইত্যাদি। পাশাপাশি কারো কারো বুক, বাহু, পিঠ, কাঁধ, গলা অথবা চোয়ালে তীব্র ব্যথা হতে পারে। ব্যথার তীব্রতা এত বেশি যে প্রতিবার শ্বাস নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে।

যারা ডায়াবেটিস, ক্যান্সার বা অন্যান্য হার্টের ব্যাধিতে আক্রান্ত কিংবা যাদের পরিবারে রক্ত জমাট বাঁধাসহ এসব রোগের ইতিহাস আছে, তারা পালমোনারি এম্বোলিজমে আক্রান্তের ঝুঁকিতে থাকে। এ ছাড়া বয়স যদি ৬০ বছরের বেশি হয় বা কারো ওজন যদি অতিরিক্ত হয়, তাহলে তারাও ঝুঁকিতে থাকে।

স্ট্রোক
স্ট্রোকের সঙ্গে অনেকে হার্ট অ্যাটাককে গুলিয়ে ফেলেন। কিন্তু দুটি বিষয় সম্পূর্ণ আলাদা। স্ট্রোক মূলত মানুষের মস্তিষ্কে আঘাত হানে। ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মস্তিষ্কের কোনো অংশে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে মস্তিষ্কের কোষগুলো মরে গেলে স্ট্রোক হয়।

এই স্ট্রোক বিশেষত হেমোরেজিক স্ট্রোক, হঠাৎ মৃত্যুর আরেকটি প্রধান কারণ। সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য শরীরের প্রতিটি কোষে রক্ত সঞ্চালন প্রয়োজন। কারণ এই রক্তের মাধ্যমেই শরীরের কোষে কোষে অক্সিজেন পৌঁছায়। কোনো কারণে মস্তিষ্কের কোষে যদি রক্ত সঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হয়, রক্তনালি বন্ধ হয়ে যায় বা ছিঁড়ে যায়, তখনই স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা না গেলে রোগীর পঙ্গুত্বের পাশাপাশি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

স্ট্রোকের লক্ষণ একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম হয়। অনেকে স্ট্রোক হওয়ার কিছুক্ষণ পর স্বাভাবিক হয়ে যান। এ কারণে আর চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, কারো মধ্যে স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিন্দুমাত্র সময়ক্ষেপণ না করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

স্ট্রোকের লক্ষণগুলোর মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো– আচমকা শরীরের কোনো একটা দিক অবশ হয়ে যাওয়া, চোখে ঝাপসা/অন্ধকার দেখা, কথা বলতে অসুবিধা হওয়া বা কথা জড়িয়ে যাওয়া, হঠাৎ কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বাজ পড়ার মতো তীব্র মাথা ব্যথা, জিহ্বা অসাড় হয়ে মুখ বেঁকে যাওয়া, শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যাওয়া/জ্ঞান হারানো, বমি বমি ভাব, বমি, খিঁচুনি ইত্যাদি।

এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে বিছানায় বা মেঝেতে কাত করে শুইয়ে দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স ডাকতে হবে, দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী যত অসংক্রামক ব্যাধি আছে, সেগুলোর মধ্যে মৃত্যুর দিক থেকে হৃদরোগের পরেই স্ট্রোকের অবস্থান। উন্নত বিশ্বের তুলনায় নিম্ন আয়ের দেশে স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি বলে মত সংস্থাটির।

প্রতিরোধের উপায় কী?
হঠাৎ মৃত্যু অনেক কারণে হতে পারে এবং একেক কারণের জন্য সমাধানও একেক রকম। তবে সামগ্রিকভাবে বললে এর একমাত্র সমাধান সুশৃঙ্খল জীবন। 

ডা. আজাদ বলেন, ‘যেগুলোর কথা বলা হলো, এই অবস্থাগুলো একবার হলে বারবার হয়। তাই ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। তবে অনেক সময় সতর্ক থাকলেও মারা যেতে পারে।

তিনি বলেন, ‘নিয়ম সবার জন্য সমান। যার ডায়াবেটিস আছে, তার জন্যও যা নিয়ম, হার্টের রোগীর জন্যও একই নিয়ম। তা হলো– ডিসিপ্লিনড লাইফস্টাইল, ব্যালান্সড ডায়েট, এক্সারসাইজ। সেই সঙ্গে, ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করা। এ ছাড়া ইমোশনকেও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

আরো পড়ুন
আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে কলকাতার মুখোমুখি বেঙ্গালুরু

আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে কলকাতার মুখোমুখি বেঙ্গালুরু

 

তিনি যোগ করেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রোগী শেষ মুহূর্তে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। কিন্তু এর পরিবর্তে সমস্যা বড় হওয়ার আগেই, অর্থাৎ শুরুতেই চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করা দরকার।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

গোলাকার পিৎজার বাক্স চারকোনা কেন হয়?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গোলাকার পিৎজার বাক্স চারকোনা কেন হয়?
সংগৃহীত ছবি

বেশ কিছু বছর ধরে পিৎজা আমাদের দেশে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাজারে অনেক ধরনের পিৎজা পাওয়া যায়। কিন্তু আপনি কি জানেন কেন গোলাকার পিৎজা পাওয়া যায় চারকোনা বাক্সে? 

চলুন জেনে নেওয়া যাক।  

সাধারণত পিৎজার বাক্স তৈরি করতে পিচবোর্ড কেটে গোল আকৃতি দেওয়া তুলনামূলকভাবে বেশি খরচসাপেক্ষ।

এর বদলে বর্গাকার বা চারকোনা আকারের বাক্স তৈরি করা অনেক কম খরচে হয়। সময়ও কম লাগে। 

আরেকটি কারণ হলো, গোলাকার বাক্স হোম ডেলিভারির জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। পিৎজা ডেলিভারি করতে যেসব বাক্স বা ব্যাগ ব্যবহার করা হয়, তার মধ্যে চারকোনা বাক্স রাখা সুবিধাজনক।

অন্যদিকে দোকানে পিৎজার বাক্স সঠিকভাবে রাখতে চারকোনা বাক্স সুবিধাজনক। কারণ এটিকে সহজে রাখা যায় এবং জায়গা সাশ্রয় করে।

সূত্র : টিভি নাইন বাংলা

মন্তব্য

উচ্চ রক্তচাপ বাড়ায় যে খাবারগুলো

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
উচ্চ রক্তচাপ বাড়ায় যে খাবারগুলো
সংগৃহীত ছবি

খারাপ জীবনযাপন ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে আজকাল মানুষ নানা কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যার মধ্যে একটি হল উচ্চ রক্তচাপ। উচ্চ রক্তচাপের নানা কারণ থাকতে পারে। তবে অত্যধিক মানসিক চাপ ও কম শারীরিক পরিশ্রমই এর মূল কারণ।

উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের কারণ হতে পারে। যদিও উচ্চ রক্তচাপ নিরাময়ের জন্য কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, তবে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনে আপনি সহজেই এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। 

চলুন জেনে নেওয়া উচ্চ রক্তচাপে কোন খাবারগুলো আপনার এড়িয়ে যাওয়া উচিত। 

লবণ
রক্তচাপ বেশি হলে লবণ পরিহার করা উচিত বা কম পরিমাণে খাওয়া উচিত।

বিশেষ করে কাঁচা লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকা ভালো। কারণ এটি রক্তচাপ বাড়াতে পারে। ডাল, সবজি, স্যুপ ইত্যাদিতে অতিরিক্ত লবণ না ব্যবহার করাই ভাল। এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
 

কফি
যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাদের কফি পানের পরিমাণ কমানো উচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত কফি পান রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। কফি বেশি খেলে, রক্তচাপ আরো বেড়ে যেতে পারে। তাই এটি সীমিত পরিমাণে পান করা উচিত।

ফাস্টফুড
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় যারা ভুগছেন, তাদের ফাস্ট ফুড পরিহার করা উচিত।

এই ধরনের খাবার দীর্ঘমেয়াদে রক্তচাপ বাড়াতে পারে। ফাস্টফুড হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। বাড়িতে রান্না করা হালকা খাবার খান যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

অ্যালকোহল
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য অ্যালকোহল খুবই ক্ষতিকর। অ্যালকোহলে প্রচুর ক্যালোরি থাকে যা রক্তচাপ বাড়াতে সহায়ক। তাই অ্যালকোহল পরিহার করা উচিত।

সূত্র : আজতাক বাংলা

মন্তব্য

কম তেল ও মসলায় মুরগির সহজ রেসিপি

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
কম তেল ও মসলায় মুরগির সহজ রেসিপি
সংগৃহীত ছবি

গরম বাড়ছে। এই সময় কম তেল ও মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। পেটের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে হলে কম মসলা দিয়ে খাবার তৈরি করা উচিত। 

অনেকেই ঝাল ঝাল করে মুরগি খেতে ভালোবাসেন।

তবে কম মসলাতেও মুরগি রান্না সুস্বাদু হতে পারে। যদি সঠিক উপকরণ ও রান্নার পদ্ধতি জানা থাকে। চলুন রেসিপিটি জেনে নেওয়া যাক।

উপকরণ :

৫০০ গ্রাম চিকেন,                                                                                                                                   

অর্ধেক পেঁয়াজ (কাটা) ও ১ চা চামচ পেঁয়াজ বাটা,                                                                                                 

১ চা চামচ আদা-রসুন বাটা,

১টি টমেটো (কুচি)                                                                                                   

হাফ কাপ টক দই,

৪-৫টি গোটা গোলমরিচ,

১ চা চামচ তেল,

পরিমাণমতো লবণ ও

পরিমাণমতো ধনেপাতা কুচি।

যেভাবে প্রস্তুত করবেন :

১। প্রথমে চিকেন ভালোভাবে ধুয়ে নিন। চিকেন যদি ম্যারিনেট করা থাকে, তবে তা দ্রুত রান্না হবে এবং স্বাদও ভালো হবে। অর্ধেক পেঁয়াজ কুচি, ১ চামচ পেঁয়াজ বাটা, আদা-রসুন বাটা ও টক দই দিয়ে মাংস ম্যারিনেট করে রাখুন।

৪০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা ম্যারিনেট করে রাখলে রান্না ভালো হবে।

২। এরপর কড়াইয়ে অল্প তেল গরম করে এতে গোলমরিচের ফোড়ন দিন। এরপর এতে ম্যারিনেট করা চিকেন ঢেলে দিন এবং ভালোভাবে কশাতে থাকুন। টমেটো কুচি মিশিয়ে দিন।

৩। চুলার আঁচ মাঝারি রেখে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। ৫ মিনিট পরে পানি দিয়ে মাংস কশাতে থাকুন। মাংস সিদ্ধ হয়ে গেলে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিন।

৪। চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। আপনার কম মসলা দিয়ে মুরগি রান্না প্রস্তুত। এটি ভাত বা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করতে পারবেন।

সূত্র : এই সময়

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

জেনে নিন ডিমের খোসার অজানা উপকারিতা

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
জেনে নিন ডিমের খোসার অজানা উপকারিতা
সংগৃহীত ছবি

অনেকেই ডিমের খোসা ফেলে দেন। তবে এটি এমন একটি জিনিস যা নানা কাজে ব্যবহৃত হতে পারে। গাছের সার তৈরির পাশাপাশি আরো অনেক কাজে 
আপনি ডিমের খোসা ব্যবহার করতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক ডিমের খোসার উপকারিতা।

      

থালাবাসনের পোড়া দাগ তোলার জন্য
ডিমের খোসা আপনার বাসার থালাবাসনের পোড়া দাগ তুলতে কার্যকরী। বিশেষ করে কড়াইয়ের পোড়া দাগ পরিষ্কার করতে ডিমের খোসা দারুণভাবে কাজ করে।

পোকামাকড় থেকে রক্ষা পেতে
ডিমের খোসা তেলাপোকা ও টিকটিকির বিরুদ্ধে কার্যকরী। ডিমের খোসা ভালোভাবে গুঁড়ো করে ঘরের কোণে রেখে দিন।

দেখবেন পোকামাকড় আর আসবে না।

ব্যথা কমাতে
একটি পাত্রে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার নিন। তার সঙ্গে ডিমের খোসার গুঁড়ো মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার এটি ব্যথার জায়গায় লাগিয়ে দেখুন।

দ্রুত ব্যথা কমে যাবে।

সূত্র : টিভি নাইন বাংলা

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ