ঈদে ৯ দিনের ছুটি ভোগ করতে পারবেন না যেসব কর্মকর্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ঈদে ৯ দিনের ছুটি ভোগ করতে পারবেন না যেসব কর্মকর্তারা
ফাইল ছবি

ঈদুল ফিতরের পর সাপ্তাহিক ছুটির আগে বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে এই ছুটি পাচ্ছে না সব সরকারি প্রতিষ্ঠান। জরুরিসেবার জন্য কিছু প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে ৩ এপ্রিল।

আজ রবিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করল।

ছুটিকালীন সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।

তবে জরুরি পরিষেবা যেমন- বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাকসেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটির আওতাবহির্ভূত থাকবেন।

হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এ সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা এই ছুটির আওতাবহির্ভূত থাকবেন। চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মীরা এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটির আওতাবহির্ভূত থাকবে।

জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিসসমূহ এই ছুটির আওতাবহির্ভূত থাকবে

গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৩ এপ্রিল ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এর ফলে এবার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

স্বাধীনতা দিবসে গুগল ডুডলে বাংলাদেশের পতাকা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
স্বাধীনতা দিবসে গুগল ডুডলে বাংলাদেশের পতাকা

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিশেষ ডুডল করেছে বিশ্বের অন্যতম প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগল। গুগলের হোমপেজে করা এই বিশেষ ডুডলে জায়গা করে নিয়েছে লাল-সবুজের ঢেউ খেলানো পতাকা। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকেই গুগলের হোমপেজে ডুডলটি দেখা যাচ্ছে। 

আরো পড়ুন
৭১ এবং ২৪ আলাদা কিছু নয় : নাহিদ ইসলাম

৭১ এবং ২৪ আলাদা কিছু নয় : নাহিদ ইসলাম

 

গুগলের হোমপেজে দেখা গেছে, এতে প্রবেশ করলেই শোভা পাচ্ছে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা সংবলিত একটি বিশেষ ডুডল।

নীল-সাদা আকাশে লাল-সবুজের পতাকা ঢেউ খেলে উড়তে দেখা গেছে। যার নিচেই ইংরেজিতে গুগল লেখা রয়েছে। এতে ক্লিক করলে আজকের ডুডলে পেজ খোলা হচ্ছে। যেখানে লেখা রয়েছে- স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা, বাংলাদেশ! আজকের স্বাধীনতা দিবসের ডুডলে বাতাসে উড়তে থাকা বাংলাদেশের পতাকা দেখানো হয়েছে।
এখন গুগলের হোমপেজে প্রবেশ করলেই শোভা পাচ্ছে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা সংবলিত বিশেষ ডুডলটি। এর নকশায় দেখা গেছে, নীল-সাদা আকাশে ঢেউ খেলে উড়ছে লাল-সবুজের পতাকা। তার নিচেই ইংরেজিতে লেখা রয়েছে গুগল। 

আরো পড়ুন
৭১ এবং ২৪ আলাদা কিছু নয় : নাহিদ ইসলাম

৭১ এবং ২৪ আলাদা কিছু নয় : নাহিদ ইসলাম

 প্রসঙ্গত, গুগল প্রায়ই বিভিন্ন দেশের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক উপলক্ষে বিশেষ ডুডল প্রকাশ করে।
সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের জাতীয় দিবস উপলক্ষে এই বিশেষ ডুডলটি প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগেও গুগলের ডুডলে ঠাঁই পেয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক মুহূর্ত।

 

মন্তব্য

ঐকমত্যে না পৌঁছানোর উপায় নেই : রিজওয়ানা হাসান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঐকমত্যে না পৌঁছানোর উপায় নেই : রিজওয়ানা হাসান
সংগৃহীত ছবি

জনগণকে আস্থায় যদি আনতে হয়, তাহলে যে সংস্কারগুলো জনগণের ক্ষেত্রে আসে, সেগুলোর ক্ষেত্রে ঐকমত্যে না পৌঁছানোর কোনো উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বুধবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘গতানুগতিক কিছু চ্যালেঞ্জ তো থাকেই। তবে এখন একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বিভিন্ন সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য গড়ার।

এটাকে চ্যালেঞ্জ বলেন আর না বলেন, এটা একটা প্রক্রিয়া তো বটেই। আরেকটা হচ্ছে নির্বাচনটা সুষ্ঠুভাবে করে দেওয়া, জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করা।’

আরো পড়ুন

বরিশালে 'ফরচুন সুজ'-এর গুদামে আগুন

বরিশালে ‘ফরচুন সুজ’-এর গুদামে আগুন

 

তিনি বলেন, ‘আরেকটা বড় বিষয় হচ্ছে, সব সময় আমরা বলি, এই যে জুলাই-আগস্টে যে হত্যাকাণ্ডটা হলো, যে বর্বরতাটা হলো, এটার একটা সুষ্ঠু বিচার। এখন আমাদের সীমিত সময়ে আমরা অবশ্যই চেষ্টা করব, মানুষকে এই বিচারের কিছু কিছু রায় যদি সামনে দিতে পারি, তাদের মধ্যে যেন ওই আস্থাটা আসে, সত্যিই এই বর্বরতার একটা বিচার হচ্ছে।

আরো পড়ুন

চব্বিশের অভ্যুত্থান একাত্তরের স্বাধীনতা রক্ষা করেছে : আসিফ মাহমুদ

চব্বিশের অভ্যুত্থান একাত্তরের স্বাধীনতা রক্ষা করেছে : আসিফ মাহমুদ

 

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘প্রত্যাশা হলো, জাতীয় স্বার্থে ব্যক্তিগত ও দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে আমরা ঐকমত্য করব। কিন্তু একেকজন মানুষ একেকটা বিষয় একেকভাবে দেখে। দৃষ্টিভঙ্গি একেকভাবে আনে। সেই দৃষ্টিভঙ্গির যে তফাতগুলো আছে, সেগুলো কমিয়ে একটা জায়গায় নিয়ে আসা, সেটা একটু সময় লাগবে।

মন্তব্য
কর্নেল মোহাম্মদ আবদুল হক (অব.)

মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী না থাকলে এই দেশটাই স্বাধীন হতো না

শেয়ার
মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী না থাকলে এই দেশটাই স্বাধীন হতো না

রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (রাওয়া) চেয়ারম্যান কর্নেল মোহাম্মদ আবদুল হক (অব.) বলেছেন, জাতির সমৃদ্ধি চাইলে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করে ভালো মানুষকে নেতৃত্বে নিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী না থাকলে এই দেশটাই স্বাধীন হতো না। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

কর্নেল মোহাম্মদ আবদুল হক (অব.) একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে সেনাবাহিনীর ভূমিকা প্রসঙ্গে বলেন, কোনো ব্যক্তির আঙুলের ইশারায় এই দেশ স্বাধীন হয়নি।

এই দেশটাই স্বাধীন হতো না যদি আমাদের সেনাবাহিনী নেতৃত্বে না থাকত। এই দেশ স্বাধীন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে এ দেশের আপামর জনসাধারণ। সেই সময় যদি সেনাবাহিনী না থাকত, জেনারেল ওসমানী, মেজর জিয়া, মেজর মোশাররফ, শফিউল্লাহ না থাকতেন, সেই ৩০/৪০ জন অফিসার, সেনাবাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৫টা ব্যাটালিয়ন না থাকত তাহলে এই দেশ কিয়ামত পর্যন্ত স্বাধীন হতো না। শুধু এক হাত থেকে আরেক হাত বদল হতো।
পাকিস্তান থেকে ভারতের হাতে চলে যেত। কিন্তু আল্লাহর বিশেষ রহমত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটা বিপুলসংখ্যক বাঙালি অফিসার সেই সময় এ দেশেই অবস্থান করছিলেন। সেটা ভারতের চিন্তার মধ্যেও ছিল না যে এই দেশে এমন সশস্ত্র বিদ্রোহ হতে পারে। এই দেশের স্বাধীনতার সূচনা করেছিলেন সেনাবাহিনী।
যুদ্ধের কমান্ডার ইন চিফ ছিলেন জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী।  তাঁর নেতৃত্বে ১১টা সেক্টরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যুদ্ধ হয়েছে। এটা কারও দয়ার দান নয়। সেনাবাহিনী বাংলাদেশের একটি অন্যতম স্টেকহোল্ডার। একটা দেশের সামরিক বাহিনী শক্তিশালী না থাকলে যে কেউ সেই দেশ দখল করে নিতে পারে।
দেশের শত্রুরাও মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হওয়াটাই স্বাভাবিক। যারা ষড়যন্ত্র করছে তারা দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে।

অবসরপ্রাপ্ত ১১ হাজারের বেশি সদস্যের সংগঠন রাওয়ার চেয়ারম্যান বলেন, সেই সময় সেনা সদস্যরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন। অথচ তারা শপথ নিয়েছিলেন পাকিস্তান রক্ষা করার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত। পাকিস্তান যদি সফল হতো তাহলে তাদের সবার ফাঁসি হতো। ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদন্ড হতে পারত। সামরিক বাহিনীর সদস্যরা দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করার শপথ নেন। অন্য কেউ জীবন উৎসর্গ করার শপথ নেন না। দেশের প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, সেক্রেটারি, পুলিশপ্রধান কেউ জীবন উৎসর্গের শপথ নেন না। সামরিক বাহিনী তাদের জীবন- যৌবন দিয়ে দেশের জন্য কাজ করে থাকে। একাত্তর সালে সেনাবাহিনী না থাকলে দেশটা স্বাধীন হতো না। আবার পঁচাত্তর সালে আর্মি না থাকলে দেশটা ইন্ডিয়ার হাতে চলে যেত। দেশের ঐক্যের প্রতীক হিসাবে সেই সময় বিদ্রোহ করেছিল সেনাবাহিনী। ’৭৭ সালেও আবার চেষ্টা হয়েছিল। গত বছর ৫ আগস্ট আর্মি যদি ঘুরে না দাঁড়াত, শেখ হাসিনার পদলেহন করত, তাহলে কী অবস্থা হতো? সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান যদি সব দলকে নিয়ে বৈঠক করে জাতির উদ্দেশে ভাষণ না দিতেন। একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে সহায়তা না করতেন তাহলে আমাদের কী অবস্থা হতো?

তিনি বলেন, আর্মি সবসময় দেশের জন্য, দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য কাজ করে থাকে। ভারত বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারছে না। বাংলাদেশকে তারা গ্রহণ করতে পারছে না। তারা এই দেশকে অস্থিতিশীল রাখতে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে দালাল তৈরি করেছে। এই দেশকে তারা দালালদের মাধ্যমে অরাজকতা সৃষ্টি করে সেনাবাহিনী ও জনগণের মধ্যে একটা গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়।

সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে কর্নেল মোহাম্মদ আবদুল হক (অব.) বলেন, রাজনীতি করা প্রতিটি মানুষের অধিকার। সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়ে যে কেউ রাজনীতি করতে পারেন। সেনাবাহিনীর ভালো, দেশপ্রেমিক মানুষরা রাজনীতিতে এলে দেশের উন্নয়ন হবে। তারা পার্লামেন্টে গেলে চুরি করবে না। দেশের জন্য কাজ করবেন। যারা ভালো দেশপ্রেমিক তারা যেন রাজনীতিতে আসে।

বিডিআর হত্যাকান্ড প্রসঙ্গে তাঁর পর্যবেক্ষণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিডিআর হত্যাকান্ড সরাসরি ইন্ডিয়া করিয়েছে সেনাবাহিনীতে দুর্বল করার জন্য এবং শেখ হাসিনার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য। তবে এখানে ভুল আছে। ভুলটা হলো কমান্ড ফেইলিউর। এতবড় ঘটনা ঘটল বিডিআর প্রধান জানলেন না। এটা বড় ব্যর্থতা। জেনারেল শাকিল থেকে শুরু করে সিনিয়র কর্মকর্তারা জানলেন না-এটা বড় ব্যর্থতা। এত বড় একটা ঘটনা হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে হয়নি। এটার বীজ অনেক আগে থেকেই বপন করা ছিল। দ্বিতীয়ত, যে অপকর্মগুলো তারা করছিল, হত্যাকান্ড ঘটিয়েয়েছিল, অফিসারদের মারছিল তখন যারা বাইরে আর্মি ছিল, সেনাপ্রধানের দায়িত্ব ছিল সঙ্গে সঙ্গে তার ফোর্স পাঠিয়ে এই হত্যাকান্ড বন্ধ করে দেওয়া। এটা মাত্র এক ঘণ্টার কাজ। আর্মির যে ফায়ার পাওয়ার আছে তা দিয়ে সহজেই দমন করা যেত। ৩টা গেট দিয়ে ৩টা এপিসি ঢুকিয়ে দিলে তারা কিছুই করতে পারত না। তৎকালীন সেনাবাহিনী প্রধান মইন ইউ আহমেদের মতো অপদার্থ অযোগ্য মানুষের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে অফিসারদের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি তার ভাইদের শঁপে দিয়েছেন শত্রুর হাতে। যারা মানুষ মারছে তাদের জন্য আবার প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করতে হবে কেন? আপনার ঘরে আগুন লাগছে আপনি আগুন না নিভিয়ে ফায়ার সার্ভিসে ফোন করতে থাকবেন। নিজে চেষ্টা করবেন না? আরেকটা ফেইলিউর হলো, সেই সরকারকে তখন সেনাবাহিনী উৎখাত করে নাই। যেই সরকার সেনাবাহিনীকে হত্যা করতে পারে, তাদের উৎখাত করা দরকার ছিল। জনগণের ফেইলিউর হলো, তারা কেন এই সরকারকে উৎখাত করতে রাস্তায় নেমে আসেনি। তাদের উচিত ছিল রাস্তায় নেমে আসা। কারণ, যেখানে সামরিক বাহিনীতে হত্যা করা হয় সেখানে এই দেশে কারও কোনো নিরাপত্তা নেই। পুরো দেশের মানুষ রাস্তায় নেমে আসা উচিত ছিল। তাহলে দেশের এই নির্মম অবস্থার সৃষ্টি হতো না।   

সেনা কর্মকর্তা নিয়ন্ত্রিত কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে রাওয়া চেয়ারম্যান কর্নেল মোহাম্মদ আবদুল হক (অব.) বলেন, তৎকালীন ডিজিএফআই ছিল সরাসরি ফ্যাসিস্ট হাসিনার আন্ডারে। আর্মির হেড কোয়ার্টারের আন্ডারে ছিল না। এনএসআই, র‌্যাব, এসএসএফ, ডিজিডিপি-এরা ছিল শেখ হাসিনার নিয়ন্ত্রণে। তাদের নিয়ন্ত্রণ আর্মি হেড কোয়ার্টারের আন্ডারে ছিল না। সব প্রধানমন্ত্রীর পকেটের জিনিস। চুরি সব তারাই করেছে। আর্মি অফিসারদের মধ্যে যারা অন্যায় করেছে তাদের বিচার অবশ্যই হবে। দোষী হলে প্রধানমন্ত্রী হবেন, তারিক সিদ্দিক হবেন। আসলে সবাই আর্মির কথা বলেন, আসল চুরি তো করেন আমলারা। দেশ বিক্রি করেন পলিটিশিয়ানরা। চুক্তি করেন আমলারা। ড্রাফট করেন আমলারা। বেগম পাড়ায় বাড়ি করেছেন কারা? সেখানে আর্মি অফিসারদের বাড়ি নেই। বাড়ি আছে পলিটিশিয়ানদের, আমলাদের। তাদের ধরতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের অবস্থান ও নীতির পরিবর্তন করতে হবে। তাদের দলে যেসব দুর্বৃত্ত, চোর, বাটপার, লুটেরা, হত্যাকারী আছে তাদের বের করে দিয়ে ভালো মানুষদের নেতৃত্বে নিয়ে আসতে হবে। যতদিন পর্যন্ত ভালো লোককে নির্বাচিত করতে না পারবে ততদিন আমাদের কোনো শান্তি আসবে না। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, আমরা মার্কাকে ভোট দেই। মানুষকে ভোট দেই না। চোর-ডাকাতকে ভোট দেই। মার্কা চিনি, ভালো মানুষ চিনি না। ৫০০ টাকায় ভোট বিক্রি করে দেই। আমাদের ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে নারী, বৃদ্ধ ও শিশু বাদ দিলে প্রায় ১০ কোটি ইয়াং-এনার্জিটিক তরুণ রয়েছেন। এই ১০ কোটি মানুষকে জনসম্পদে পরিণত করে তাদের কাজে লাগানো গেলে বাংলাদেশের পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। এই ১০ কোটি জনগোষ্ঠীকে মানবসম্পদে রূপান্তর করে সরকারিভাবে যদি বিদেশে পাঠাতে পারি, সুপারভাইজারের নিচে পাঠাব না- তাহলে আমাদের অগ্রগতি কেউ ঠেকাতে পারবে না। পৃথিবীতে মানুষের চেয়ে শক্তিশালী আর কিছু হতে পারে না।

তিনি বলেন, মানুষের চরিত্র নষ্ট করে দিয়েছে পলিটিক্যাল পার্টিগুলো। চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি এগুলোর সঙ্গে ম্যাক্সিমাম পলিটিক্যাল পার্টিগুলো জড়িত। সেই চরিত্র ঠিক করার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে। ইসলামী আদর্শ যোগ করতে হবে। তাহলেই এই দেশ হবে বিশ্বের অন্যতম একটি শান্তিপূর্ণ দেশ।

সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন। 

মন্তব্য

বাংলাদেশের জাতীয় দিবস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বাংলাদেশের জাতীয় দিবস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি
মার্কো রুবিও

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। গতকাল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ শুভেচ্ছা জানান তিনি।

বিবৃতিতে মার্কো রুবিও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আমি বাংলাদেশের মানুষকে ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাই। উদযাপনের এই মুহূর্ত এমন এক সময়ে এসেছে যখন অন্তর্বর্তী সরকার জাতিকে এমন একটি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করছে যা বাংলাদেশের মানুষকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ বেছে নেওয়ার সুযোগ দেবে।

 
তিনি বলেন, একটি উজ্জ্বল ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের দিকে যাত্রায় বাংলাদেশকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার উন্নয়নে আমাদের অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখতে সচেষ্ট।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের বিশেষ এই উপলক্ষে আমি উষ্ণ শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং উভয় জাতিকে নিরাপদ, শক্তিশালী এবং আরো সমৃদ্ধ করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ