নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার ২০ হাজার ৭৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যার উৎপাদন লক্ষ্য ধরা হয়েছে ১ লাখ মেট্রিক টন। সরকারি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ৪ হাজার ২০০ কৃষককে ২ কেজি করে হাইব্রিড ধানের বীজ বিতরণ করা হয়েছে, যা ফলন বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।
উপজেলায় বিআর-২৮, বিআর-২৯, হীরা, হাইব্রিড-৭৫, ৮১, ৯১, সবুজ সাথী, এসএলএইচ এবং জাগরণীসহ বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল ধানের চাষ করা হয়েছে।
যদিও কিছু এলাকায় বিআর-২৮ ও বিআর-২৯ ধানে ব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে, তবে কৃষি বিভাগের তৎপরতায় তা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কৃষকরা আশা করছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার বাম্পার ফলন হবে।
কৃষক মো. রেজাউল করিম বলেন, রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ৪ বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছি। সময়মতো বীজ, সার ও সেচের পানি পেয়েছি।
ধানের অবস্থা ভালো আছে, আশা করছি ভালো ফলন হবে।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে কৃষকরা উন্নত কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করায় শ্রমিক সংকট তেমন প্রভাব ফেলেনি। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ফলে সেচ কাজে কোনো সমস্যা হয়নি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন দিলদার বলেন, ফসলের অবস্থা বেশ ভালো।
সার ও বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে।
তিনি আরও জানান, হাওর এলাকার কিছু জমিতে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিলেও কৃষি অফিস সার্বক্ষণিক তদারকি করছে। কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে, যাতে ফসলের ক্ষতি না হয়।
সর্বোপরি, কেন্দুয়া উপজেলার কৃষকরা এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশায় বুক বাঁধছেন।
আবহাওয়া অনুকূল থাকলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী।