ইয়েমেনে হামলা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান রাশিয়ার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ইয়েমেনে হামলা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান রাশিয়ার
ফাইল ছবি

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইয়েমেনে হুতিদের ওপর মার্কিন বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত নারী, শিশুসহ ৩১ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। এই হামলা বন্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। খবর আলজাজিরার। 

খবরে বলা হয়, ইয়েমেনের হুতিদের বিরুদ্ধে বৃহৎ পরিসরে সামরিক হামলার পর রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাকে সংলাপে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মার্কো রুবিওর যুক্তির জবাবে সের্গেই ল্যাভরভ অবিলম্বে হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানান। তিনি আরো রক্তপাত বন্ধের জন্য সব পক্ষের সঙ্গে রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে সমাধান খুঁজে বের করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

এর আগে শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে হুতিদের সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে বলেন, তোমাদের সময় শেষ, আজ থেকে অবশ্যই হামলা বন্ধ করতে হবে। যদি তোমরা এটা না করো তাহলে তোমাদের ওপর নরকের বৃষ্টি নেমে আসবে।

যা আগে কখনো দেখোনি।

এরপরই হামলা শুরু করে মার্কিন বাহিনী। ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর হুতিদের ওপর চালানো যুক্তরাষ্ট্রের এটাই সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান। 

রোববার হুতি পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনিস আল-আসবাহি বলেন, মার্কিন হামলায় কমপক্ষে ৩১ জন নিহত এবং ১০১ জন আহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

 

আরো পড়ুন
যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ নেতানিয়াহুর

যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ নেতানিয়াহুর

 

হুতিদের রাজনৈতিক ব্যুরো এই হামলাগুলোকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমাদের ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী মার্কিন এই হামলার প্রতিক্রিয়া জানাতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আমিরাতে ২৫ ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আমিরাতে ২৫ ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড
সংগৃহীত ছবি

সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) ২৫ ভারতীয় নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের মৃত্যুদণ্ড এখনো কার্যকর করা হয়নি। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির।

মন্ত্রণালয়ের কাছে বিদেশের জেলে বন্দি ভারতীয়দের নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে বিদেশে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয়দের তথ্য এবং তাদের জীবন বাঁচানোর জন্য ভারত সরকার কী চেষ্টা করছে, সেই সম্পর্কেও প্রশ্ন করা হয়েছিল। 

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিদেশের জেলে বিচারাধীন ভারতীয় বন্দির সংখ্যা ১০,১৫২ জন। কীর্তি বর্ধন বলেন, কেন্দ্র সরকার বিদেশে থাকা ভারতীয়দের নিরাপত্তা, সুরক্ষা এবং কল্যাণকে উচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।

যার মধ্যে বিদেশের জেলে থাকা ভারতীয়রাও রয়েছেন।

বিদেশে ভারতীয় নাগরিকদের মৃত্যুদণ্ড (এখনো কার্যকর হয়নি) নিয়ে আটটি দেশের তথ্য দেন মন্ত্রী। সেই তথ্য অনুসারে, সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত ভারতীয় বন্দি রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। দেশটিতে এই সংখ্যা হলো ২৫ জন।

এ ছাড়া সৌদি আরবে ১১ জন, মালেশিয়ায় ৬ জন, কুয়েতে ৩ জন এবং ইন্দোনেশিয়া, কাতার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইয়েমেনে একজন করে মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত বন্দি রয়েছেন। 

আরো পড়ুন
সন্ধ্যার মধ্যে ১০ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

সন্ধ্যার মধ্যে ১০ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

 

তাদের জীবন বাঁচানোর জন্য কেন্দ্রের প্রচেষ্টা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বিদেশে অবস্থিত ভারতীয় মিশনগুলো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় নাগরিকদের সম্ভাব্য সব সহায়তা প্রদান করে। এসব মিশনের কর্মকর্তারা জেল পরিদর্শন করে বন্দিদের খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি আদালত, পাবলিক প্রসিকিউটর এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। এ ছাড়া বন্দি ভারতীয় নাগরিকদের জামিন আবেদন দায়ের, সাজা কমানোর আবেদন ইত্যাদিসহ বিভিন্ন আইনি সহায়তা দিয়ে থাকেন। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা
ছবিসূত্র : এএফপি

যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দর শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে হাজার হাজার যাত্রী ভোগান্তিতে পড়ছে এবং  বিশ্বব্যাপী বিমান চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরেডার২৪ জানিয়েছে, বিমানবন্দর বন্ধের ফলে কমপক্ষে ১ হাজার ৩৫১টি ফ্লাইট প্রভাবিত হবে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ফ্লাইট অন্যান্য বিমানবন্দরে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

ইউরোপের ব্যস্ততম বিমানবন্দরটি আজ শুক্রবার জানিয়েছে, একটি বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এরপরেই কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দর বন্ধের ঘোষণা দেয়।

হিথ্রো বিমানবন্দর এক্স-এ একটি পোস্টে জানিয়েছে, ‘আমাদের যাত্রী এবং সহকর্মীদের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য হিথ্রো বিমানবন্দর ২১শে মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।’ আরো বলা হয়, ‘যাত্রীদের বিমানবন্দরে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং আরো তথ্যের জন্য তাদের বিমান সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

অসুবিধার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’ 

লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড জানিয়েছে, ‘প্রায় ৭০ জন দমকলকর্মী আগুন নেভানোর কাজ করছেন। আগুনের কারণে ইউরোপের ব্যস্ততম এবং বিশ্বের পঞ্চম ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিথ্রোতে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে।’ আকাশে কমলা রঙের আগুনের শিখা উড়তে দেখা গেছে।

তবে দমকল বাহিনী আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি বলে জানিয়েছে। 

এ ঘটনায় বিমানবন্দরের বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎবিহীন ছিল। দমকল বাহিনী জানিয়েছে, ‘দমকলকর্মীরা আশেপাশের স্থান থেকে ২৯ জনকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে এবং সতর্কতা হিসেবে ২০০ মিটার এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে প্রায় ১৫০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

হিথ্রোর একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে একটি ইমেলে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাচ্ছেন, তবে কখন বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিকভাবে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে সে তা স্পষ্ট নয়।

ইউরোপজুড়ে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনাকারী ইউরোকন্ট্রোল তাদের অপারেশন ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে হিথ্রোতে বিমানকে নামার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। হিথ্রো বিশ্বের ব্যস্ততম দুই বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে একটি, যেখানে থেকে প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ৩০০টি বিমান উড়ে যায় এবং অবতরণ করে।

সূত্র : আলজাজিরা

মন্তব্য

যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা দপ্তরই তুলে দিতে চান ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা দপ্তরই তুলে দিতে চান ট্রাম্প
সংগৃহীত ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগ (ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশন) ভেঙে দিতে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেখানে বলা হয়েছে, শিক্ষা দপ্তরকেই গুটিয়ে ফেলা হবে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এই আদেশে স্বাক্ষর করেন তিনি।

নির্বাহী আদেশে সই করার পর ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিক্ষা দপ্তর বন্ধ করে দেব।

এই দপ্তর ভালো কোনো কাজ করছে না।’ তবে প্রশাসনিক নির্দেশে বিস্তারিতভাবে বলা হয়নি, কোন প্রকল্প বন্ধ করা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী লিন্ডা ম্যাকমোহনকে ট্রাম্প নির্দেশ দিয়েছেন, আইনি পদক্ষেপ নিয়ে এই দপ্তরকে বন্ধ করে দিতে। লিন্ডার প্রশংসা করে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ভালো কাজ করছেন।

মনে হয়, তিনিই অ্যামেরিকার শেষ শিক্ষামন্ত্রী হবেন।

শিক্ষা দপ্তর যে সব গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চালাতো, তা অন্য এজেন্সির হাতে দিয়ে দেওয়া হবে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্তরে শিক্ষা দপ্তর তুলে দেওয়ার অর্থ হলো, শিক্ষা নিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত এবার রাজ্যগুলো নেবে।

তবে তার কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তের মতো এই সিদ্ধান্তও আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হতে পারে।


ট্রাম্প বলেছেন, শিক্ষাক্ষেত্রে অ্যামেরিকা অন্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি অর্থ খরচ করে। তা সত্ত্বেও সাফল্যের নিরিখে মার্কিন পড়ুয়ারা একেবারে নিচের দিকে থাকে।

এই পদক্ষেপের মাধ্যমে মূলত শিক্ষা সংক্রান্ত ক্ষমতা অঙ্গরাজ্য ও স্থানীয় সরকারের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবারের ওই অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্টের চারপাশে ডেস্কে শিশুদের অর্ধবৃত্তাকারভাবে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল এবং তাদের প্রত্যেকের হাতে নির্বাহী আদেশের নিজস্ব সংস্করণ স্বাক্ষরের জন্য ছিল। ট্রাম্প যখন আদেশে স্বাক্ষর করার জন্য তার মার্কার খোলেন, তখন শিশুরাও তাকে অনুসরণ করে।

যখন তিনি ক্যামেরার জন্য সম্পূর্ণ আদেশটি তুলে ধরেন, তখন বাচ্চারাও তাই করছিল।

স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে ট্রাম্প বলেন, “আমি ফেডারেল শিক্ষা বিভাগকে একবারে নির্মূল করার জন্য একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করব। এবং এটা অদ্ভুত শোনাচ্ছে, তাই না? শিক্ষা বিভাগ, আমরা এটি নির্মূল করতে যাচ্ছি, এবং সবাই জানে এটি সঠিক, এবং ডেমোক্র্যাটরা জানে এটি সঠিক।”

আল জাজিরা জানিয়েছে, ফেডারেল সরকারের মধ্যে বিভিন্ন শিক্ষা উদ্যোগকে একীভূত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে ১৯৭৯ সালে প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের অধীনে শিক্ষা বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি করার মাধ্যমে সেসময় তিনি একটি নতুন মন্ত্রিসভা-স্তরের অবস্থান তৈরি করেন, যা তখনও রিপাবলিকানরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে— এই পদক্ষেপ রাজ্য এবং স্থানীয় স্কুল বোর্ডগুলোর ক্ষমতা কেড়ে নেবে।

আরো পড়ুন
নিরাপত্তা প্রধানকে সরিয়ে দিলেন নেতানিয়াহু, বাড়ছে বিক্ষোভ

নিরাপত্তা প্রধানকে সরিয়ে দিলেন নেতানিয়াহু, বাড়ছে বিক্ষোভ

 

তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই বিভাগের একটি সীমিত ম্যান্ডেট রয়েছে। এটি পাঠ্যক্রম বা স্কুল প্রোগ্রামিং নির্ধারণ করে না বরং শিক্ষার ওপর তথ্য সংগ্রহ, গবেষণা প্রচার, ফেডারেল সাহায্য বিতরণ এবং বৈষম্যবিরোধী ব্যবস্থা কার্যকর করার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে থাকে।
 

মন্তব্য

‘শিন বেট’ গোয়েন্দা প্রধানকে বরখাস্ত করল ইসরায়েল সরকার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
‘শিন বেট’ গোয়েন্দা প্রধানকে বরখাস্ত করল ইসরায়েল সরকার
প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (বামে) এবং শিন বেটের প্রধান রোনেন বার (ডানে)। ছবি: টাইমস অব ইসরায়েল।

দেশজুড়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে নেতানিয়াহু। নতুন করে গাজায় অভিযান চালানোর বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সরকার সর্বসম্মতিক্রমে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে। নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, দেশের নিরাপত্তা তথা গোয়েন্দাপ্রধান রনেন বারকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেটের প্রধানকে শুক্রবার বরখাস্ত করা হয়েছে। ২০২১ সালের অক্টোবরে পাঁচ বছরের মেয়াদে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। আগামী বছরই তার মেয়াদ শেষ করার কথা ছিল। 

গোয়েন্দাপ্রধান রনেন বারকে পূর্ববর্তী ইসরায়েলি সরকার নিয়োগ করেছিল।

 ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের অভূতপূর্ব হামলার আগেও নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার সম্পর্ক টানাপোড়েনপূর্ণ ছিল, যা গাজায় যুদ্ধের সূত্রপাত করেছিল। ৪ মার্চ হামাসের হামলার নিয়ে অভ্যন্তরীণ শিন বেট প্রতিবেদন প্রকাশের পর সম্পর্ক আরো খারাপ হয়। হামাসের আক্রমণ প্রতিরোধে সংস্থার নিজস্ব ব্যর্থতা স্বীকার করেছে শিন বেট। রনেন বার ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তিনি তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করবেন এবং আক্রমণ প্রতিরোধে তার সংস্থার ব্যর্থতার দায়ভার গ্রহণ করবেন।

সরকারিভাবে যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ‘সর্বসম্মতিক্রমে গোয়েন্দাপ্রধান রনেন বারকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

গত মঙ্গলবার থেকে হাজার হাজার মানুষ ইসরায়েলের রাস্তায় নেমেছেন। সরকারের বিরুদ্ধে তারা তীব্র বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। অভিযোগ, হামাসের হাত থেকে সব বন্দিকে উদ্ধার না করে নতুন করে গাজায় আক্রমণ চালিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভুল করেছেন। দ্রুত এই অভিযান বন্ধের দাবি তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা।

 

একই সঙ্গে তারা নেতানিয়াহুর একাধিক সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন। এরই জেরে রনেনকে সরিয়ে দেওয়া হলো বলে মনে করা হচ্ছে। নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে রনেন একটি তদন্তও শুরু করেছিলেন। অভিযোগ, ইসরায়েলের সঙ্গে কাজ করলেও কাতারে তাদের বেআইনি অর্থের লেনদেন আছে।

আরো পড়ুন
রুশ বোমারু বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা, ভয়াবহ বিস্ফোরণ

রুশ বোমারু বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা, ভয়াবহ বিস্ফোরণ

 

বৈঠকে রনেন ছিলেন না

যে বৈঠকে রনেনকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেখানে আরো অনেকে থাকলেও রনেন উপস্থিত ছিলেন না। তবে সেখানে তিনি একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। যা এখন ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যমে ঘুরছে। রনেন সেখানে লিখেছেন, ‘যে পদ্ধতিতে একজন উচ্চপদস্থ অফিসারকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তা পদ্ধতিগতভাবে ভুল।’

রনেনের অভিযোগ, দেশের স্বার্থে নয়, নেতানিয়াহু এ কাজ করেছেন তার নিজের স্বার্থে।

নেতানিয়াহুর অভিযোগ

এদিকে এক্স হ্যান্ডেলে নেতানিয়াহু দেশজুড়ে বিক্ষোভের দায় চাপিয়ে দিয়েছেন বামপন্থীদের ওপর। বামপন্থী ‘ডিপস্টেট’ চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। 

বস্তুত, বিক্ষোভকারীরা নেতানিয়াহুর বাড়ির গেট পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলেন। তাদের আটকাতে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে। বহু বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। ডেমোক্র্যাট বিরোধী দলের নেতা ইয়ের গোলানকে পুলিশ ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এক্স হ্যান্ডেলে গোলান অবশ্য লিখেছেন, ‘কয়েকটি ধাক্কা আমায় আটকে রাখতে পারবে না। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব এবং বন্দিদের ফিরিয়ে আনব।’

আরো পড়ুন
রেকর্ড তাপমাত্রায় কমেছে বরফ

রেকর্ড তাপমাত্রায় কমেছে বরফ

 

বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, এখনো গাজায় অন্তত ৫৯ ইসরায়েলি বন্দি আছেন। যাদের ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর বন্দি করেছিল সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী হামাস। এর মধ্যে ২০ জন এখনো জীবিত আছে বলে খবর পাওয়া গেছে। নেতানিয়াহু সংঘর্ষ-বিরতির চুক্তি ভঙ্গ করে নতুন করে গাজায় অভিযান চালানোয় জীবিত বন্দিদেরও মেরে ফেলা হবে বলে মনে করছেন বিক্ষোভকারীরা।

বস্তুত, সংঘর্ষ-বিরতি শুরু হওয়ার পর অধিকাংশ বন্দিকেই হস্তান্তর করেছে হামাস। সবাই ফিরে আসার আগেই নেতানিয়াহু নতুন করে আক্রমণ শুরু করায় বিরক্ত দেশের একটি বড় অংশের মানুষ। সম্প্রতি একটি জনমত সমীক্ষাও করা হয়েছিল। সেখানে দেখা গেছে, দেশের অধিকাংশ মানুষ চান, লড়াই বন্ধ করে বন্দি প্রত্যর্পণ নিয়ে আরো বেশি আলোচনা চালাক সরকার।

সূত্র : ডয়চে ভেলে বাংলা, এএফপি

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ