<p>রাজধানীর জিগাতলার একটি বাসা থেকে কাজী সুরইয়া (৫১) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে হাজারীবাগ থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সোনালী ব্যাংক প্রিন্সিপাল অফিস শাখার এজিএম ছিলেন তিনি।</p> <p>হাজারীবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।</p> <p>তিনি আরো বলেন, পরিবার থেকে প্রাথমিকভাবে জানা যায়, সুরইয়া বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। মানসিক ডিপ্রেশন থেকে আত্মহত্যা করতে পারেন। এ ছাড়া অন্য কোনো কারণ রয়েছে কিনা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে। ‌</p> <p>নিহতের ছোট ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, চলতি বছরের মে মাসে সুরাইয়া স্ট্রোক করেছিলেন। তার পর থেকেই তিনি অসুস্থ। বেশ কিছুদিন আগে তার স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়েছে। </p> <p>আব্দুল্লাহ আল মামুনের দাবি, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জানালার গ্রিলের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেন সুরাইয়া। পরে তার মা দেখতে পান। সেখান থেকে নামিয়ে হাজারীবাগ থানা পুলিশকে খবর দেন তারা। অচেতন অবস্থায় রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।</p> <p>সুরাইয়া সাভার জালেশ্বর এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম কাজী মুরাদ আলী। স্বামীর নাম মিজানুর রহমান। বর্তমানে ২৫- ১/২ জিগাতলা হিলটন মোহাম্মদ আলী টাওয়ারে তার মা ও মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। এক মেয়ের জননী ছিলেন তিনি।</p>