<p>জিম্বাবুয়ের উত্তরাঞ্চলে বন্য প্রাণীদের একটি পার্ক থেকে আট বছরের একটি ছেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। সিংহ, হাতিসহ নানা ধরনের বন্য প্রাণীর আবাসস্থলে নিজের দক্ষতায় সে পাঁচ দিন বেঁচে ছিল। দেশটির একজন সংসদ সদস্যের বরাত দিয়ে বিবিসি বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।</p> <p>মাশোনাল্যান্ড ওয়েস্টের সংসদ সদস্য মুতসা মুরোমবেদজি এক্সে জানান, টিনোতেন্ডা পুডু নামের ওই শিশু তার বাড়ি থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে বিপজ্জনক মাতুসাদোনা গেম পার্কে পথ হারিয়ে ফেলেছিল। পাথুরে জায়গায় শুয়ে এবং সিংহের গর্জন ও হাতির চলাফেরার মধ্যে বুনো ফল খেয়ে সে পাঁচ দিন বেঁচে ছিল।</p> <p>প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মাতুসাদোনা পার্কটি এক হাজার ৪৭০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এবং সেখানে জেব্রা, হাতি, জলহস্তি, সিংহ, হরিণসহ বিভিন্ন প্রাণী বাস করে। সেখানে এখন প্রায় ৪০টি সিংহ থাকলেও আফ্রিকান পার্কসের মতে, একসময় সেখানে আফ্রিকার মধ্যে সিংহের সংখ্যার ঘনত্ব সর্বোচ্চ ছিল।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="২ ‘তারকা’ বাঘিনীকে দেখতে শত শত দর্শনার্থীর ভিড়" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/28/1735374825-22166c445cedd060e68c4c0dcdb545af.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>২ ‘তারকা’ বাঘিনীকে দেখতে শত শত দর্শনার্থীর ভিড়</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/12/28/1462277" target="_blank"> </a></div> </div> <p>মুরোমবেদজি জানান, টিনোতেন্ডা তার বেঁচে থাকার জন্য বন্য পরিবেশের জ্ঞান ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়েছে। সে বুনো ফল খেয়ে বেঁচে ছিল এবং একটি কাঠি দিয়ে শুকনা নদীর তলদেশে ছোট ছোট কূপ খুঁড়ে পানি সংগ্রহ করেছিল, যা ওই অঞ্চলের খরাপ্রবণ এলাকায় বেঁচে থাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা।</p> <p>স্থানীয় নিয়ামিনিয়ামি সম্প্রদায়ের সদস্যরা শিশুটিকে খুঁজে পেতে প্রতিদিন ড্রাম বাজিয়েছে এবং অনুসন্ধান চালিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত পার্ক রেঞ্জাররাই তাকে খুঁজে পান। বন্য পার্কে কাটানো পাঁচ দিনের শেষে টিনোতেন্ডা রেঞ্জারদের গাড়ির শব্দ শুনে তার দিকে দৌড়ায়। কিন্তু অল্পের জন্য গাড়িটি হারিয়ে ফেলে। সৌভাগ্যক্রমে রেঞ্জাররা আবারও ফিরে এসে ‘ছোট মানুষের পায়ের টাটকা ছাপ’ দেখতে পান। পরে তারা সেই এলাকার অনুসন্ধান চালিয়ে শিশুটিকে খুঁজে পান।  </p> <p>মুরোমবেদজি বলেন, ‘বনে পাঁচ দিন কাটানোর পর এটি সম্ভবত তার শেষ সুযোগ ছিল উদ্ধার হওয়ার।’</p> <p>এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছোট্ট শিশুটির সাহসিকতা ও স্থিতিশীলতার প্রশংসা করছে সবাই। একজন এক্স ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ঘটনাটি মানুষের কল্পনাকেও ছাড়িয়ে যায়।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘সে স্কুলে ফিরে গিয়ে এক অসাধারণ গল্প শোনাবে।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আফ্রিকা থেকে পাকিস্তানে আনা ৪ বোনের মধ্যে রইল ২" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/08/1733669534-22166c445cedd060e68c4c0dcdb545af.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আফ্রিকা থেকে পাকিস্তানে আনা ৪ বোনের মধ্যে রইল ২</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/12/08/1455304" target="_blank"> </a></div> </div>