<p>যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি ও লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের লন্ডনের একটি ফ্ল্যাট নিয়ে এখন তুমুল আলোচনা চলছে।  এই ফ্ল্যাটটি তাকে এমনি এমনি ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন আবদুল মোতালিফ নামের এক ব্যবসায়ী। বলা হচ্ছে, শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির সঙ্গে এই ব্যবসায়ীর সম্বন্ধ রয়েছে। কে এই মোতালিফ এবং তিনি কিভাবে শেখ হাসিনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="‘শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধে যাননি’" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/04/1735992965-0946b821de2bbbd3d17f5876f043d7ee.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>‘শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধে যাননি’</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2025/01/04/1464873" target="_blank"> </a></div> </div> <p>যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, আবদুল মোতালিফ ব্রিটেনে বসবাসরত একজন ব্রিটিশ নাগরিক। তার জন্ম ১৯৫৪ সালের নভেম্বর মাসে। তিনি বর্তমানে বিলুপ্ত দুটি কম্পানির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই দুটি হলো—ওকস কনস্ট্রাকশন (Oaks Construction Ltd) এবং এ এম প্রপার্টি সার্ভিস (A M Property Services)। তার পেশা ছিল কম্পানি পরিচালনা। এসব কম্পানির মাধ্যমে আবাসন ও নির্মাণ খাত আছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="‘সৈয়দ আশরাফের ৩ জানাজা হবে শুনে বিরক্ত হন শেখ হাসিনা’" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/04/1735984993-ed4aa4c0b4f87b83bf5a89dc6d113d71.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>‘সৈয়দ আশরাফের ৩ জানাজা হবে শুনে বিরক্ত হন শেখ হাসিনা’</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2025/01/04/1464814" target="_blank"> </a></div> </div> <p>যুক্তরাজ্যের ভোটার নিবন্ধনসংশ্লিষ্ট নথি থেকে জানা গেছে, চলতি শতকের শুরুর দিকে কিংস ক্রসের ওই ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন টিউলিপ সিদ্দিক। এরপর বেশ কয়েক বছর সেখানে তার ভাই-বোনেরা ছিলেন। পার্লামেন্টের সদস্য হিসেবে টিউলিপের দাখিল করা আর্থিক বিবরণীতে দুটি ফ্ল্যাট থেকে ভাড়া পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।</p> <p>বিষয়টি নিয়ে জানাশোনা আছে এমন একজন ব্যক্তি ফিন্যানশিয়াল টাইমসকে বলেছেন, আবাসন ব্যবসায়ী আবদুল মোতালিফের দুর্দিনে তাকে আর্থিক সহায়তা করেছিলেন টিউলিপের মা-বাবা। তাই কৃতজ্ঞতাস্বরূপ নিজের মালিকানায় থাকা ‘একটি সম্পদ’ টিউলিপকে দিয়েছিলেন।</p> <p>ভোটার নিবন্ধনসংশ্লিষ্ট নথি থেকে জানা গেছে, বর্তমানে ৭০ বছর বয়সী আবদুল মোতালিফ দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনে বসবাস করেন। ওই এলাকায় মোতালিফের ঠিকানায় মজিবুল ইসলাম নামের আরেক ব্যক্তি বসবাস করেন। মজিবুলের বাবা ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন।</p> <p>আবদুল মোতালিফ ফিন্যানশিয়াল টাইমসের কাছে কিংস ক্রসের ওই ফ্ল্যাট কেনার কথা স্বীকার করেছেন। তবে পরে সেটি নিয়ে কী করেছেন, তা নিয়ে কিছু বলতে চাননি। আর টিউলিপের ওই ফ্ল্যাট পাওয়ার সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতার খবর ‘ভুল’ বলে ফিন্যানশিয়াল টাইমসের কাছে দাবি করেন তার (টিউলিপ) একজন মুখপাত্র।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="১০ জানুয়ারি দেশব্যাপী জুবায়েরপন্থীদের বিক্ষোভের ডাক" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/04/1735991743-a3368548cf83f87f0d6658b66fefad02.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>১০ জানুয়ারি দেশব্যাপী জুবায়েরপন্থীদের বিক্ষোভের ডাক</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2025/01/04/1464867" target="_blank"> </a></div> </div> <p>টিউলিপকে বিনা মূল্যে এই ফ্ল্যাট দেওয়ার খবর এমন সময় সামনে এলো, যখন ৯ প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে টিউলিপ, শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও সজীব ওয়াজেদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত মাসে এই অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।  </p> <p>ওই অভিযোগ ওঠার পর বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট বলেছে, টিউলিপ সিদ্দিকের ওপর প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের আস্থা রয়েছে। টিউলিপ সিদ্দিক তার দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন। লেবার পার্টির কর্মকর্তারা ওই অভিযোগগুলো ‘মিথ্যা’ বলে উল্লেখ করেছিলেন।</p>