ঢাকা, সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫
১০ চৈত্র ১৪৩১, ২৩ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫
১০ চৈত্র ১৪৩১, ২৩ রমজান ১৪৪৬

পালাতে গিয়ে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর ব্যাবসায়িক পার্টনার সুমন গ্রেপ্তার

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
শেয়ার
পালাতে গিয়ে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর ব্যাবসায়িক পার্টনার সুমন গ্রেপ্তার
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাইফুল ইসলাম সুমন

দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থেকে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধরা পড়েছেন বিতর্কিত সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের ব্যাবসায়িক পার্টনার ও ১৩০০ কোটি টাকা দুর্নীতি মামলার আসামি চট্টগ্রামের পটিয়ার সাইফুল ইসলাম সুমন। তিনি দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ইদ্রিস মিয়ার ভাইপো। ইদ্রিস মিয়া এবার দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি পদ পেতে জোর লবিং চালাচ্ছেন।

গতকাল রবিবার (৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে আটক হন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের ব্যাবসায়িক পার্টনার তরুণ শিল্পপতি সাইফুল ইসলাম সুমন।

বিষয়টি আজ সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর থানার ওসি তাসলিমা আকতার।

আরো পড়ুন
সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে জনতার হাতে আটক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা

সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে জনতার হাতে আটক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা

 

ওসি তাসলিমা বলেন, ‘চট্টগ্রামের পটিয়ার সাইফুল ইসলাম সুমন নামের এক ব্যবসায়ী রবিবার মধ্যরাতে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন। আজ সোমবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে একাধিক মামলা রয়েছে।

এদিকে সাইফুল ইসলাম সুমনের বিরুদ্ধে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ১৩০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা তদন্তাধীন। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সহিংসতা, পুলিশের ওপর হামলা এবং হাটহাজারীতে হত্যা মামলাসহ আরো তিনটি মামলার আসামি তিনি। তা ছাড়া পটিয়ার ইদ্রিচ মিয়া নামের এক বিএনপি নেতার অর্থ জোগানদাতা হিসেবে সুমন এলাকায় পরিচিত। তার অবৈধ অর্থের মাধ্যমে সম্প্রতি ইদ্রিচ মিয়া চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির শীর্ষ পদ পেতে তদবির করছেন বলে জানা গেছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ : নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রায় ৬ শঙ্কা!

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
শেয়ার
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ : নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রায় ৬ শঙ্কা!
ছবি: কালের কণ্ঠ

ঈদ ঘনিয়ে আসছে। এবার ঈদে টানা ৯ দিনের সরকারি ছুটি। রাজধানী ছেড়ে গ্রামের বাড়ি অভিমুখে ছুটবে মানুষ। পথে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ঘরমুখো মানুষের ঢল নামবে।

উভয় ঘাটে ফেরিপার হতে আসা যাত্রীবাহী বিভিন্ন গাড়ির চাপ বাড়বে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। 

এদিকে নৌরুটসহ ঘাট পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণের কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ঘাট সমস্যা, আনফিট লঞ্চ, ভুয়া টিকিট বিক্রি, বেপরোয়া কুলি, উল্টোপথে গাড়ি, ফেরিতে জুয়ার ফাঁদসহ নানা কারণে আসন্ন ঈদযাত্রা ঘিরে জনমনে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

ঘাট সমস্যা 

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের দৌলতদিয়া প্রান্তে সাতটি ফেরিঘাটের মধ্যে বর্তমান ৩, ৪ ও ৭ নম্বর ঘাট তিনটি চালু রয়েছে।

অপর চারটি বন্ধ হয়ে আছে। এদিকে পদ্মা নদীতে পানি কমে যাওয়ায় ‘লো-ওয়াটার লেভেলে’ ঘাটপল্টুন স্থাপন করার পর থেকে চালু থাকা ওই তিনটি ঘাটের গুরুত্বপূর্ণ পকেটপথ অনেক ঢালু হয়ে আছে। এতে ফেরি থেকে পন্টুনে নামার পর গাড়িগুলো পকেটপথ দিয়ে সহসা সংযোগ সড়কের ওপরে উঠতে পারছে না। 

ঢালু পকেটপথ অতিক্তম করতে গিয়ে প্রায়ই সেখানে মালবোঝাই অনেক ট্রাকের এক্সেল ভেঙ্গে গাড়ি বিকল হয়ে পড়ছে।

আবার সংযোগ সড়ক থেকে ওই ঢালুপথে নেমে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে ফেরিতে উঠছে বিভিন্ন গাড়ি। পাশাপাশি সবকটি ঘাটের পন্টুনের গুরুত্বপূর্ণ পকেটগুলোতে (যেখানে ফেরি ভিরে) কোনো বেরিয়ার নেই। সেখানে ফেরি ভিড়ে না থাকলে পকেটগুলো সম্পূর্ণ খোলা ও অরক্ষিত অবস্থায় থাকছে।

আনফিট লঞ্চ

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে চলাচলকারি লঞ্চগুলো চল্লিশ-পঁয়তাল্লিশ বছরের পুরনো। প্রায় অকেজো হয়ে পড়া কোনো কোনো লঞ্চের উপরে চকচকে বাহারি রঙের প্রলেপ থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ ইঞ্জিনসহ ভিতরের অনেক কিছইু জোড়াতালি দেওয়া।

সেখানে প্রশিক্ষিত কোনো মাষ্টার (চালক) না নিয়ে অনেক লঞ্চমালিক সামান্য বেতনে অনভিজ্ঞ ‘হেলপার’ দিয়ে তাদের লঞ্চ চালাচ্ছেন। 

প্রতিটি লঞ্চে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, ফায়ার বাকেট, বালুভরা বাক্স, পাম্প মেশিন, লাইফ বয়া, ফাস্টএইডসহ জীবন রক্ষাকারী বিভিন্ন সরঞ্জাম থাকার কথা থাকলেও অধিকাংশ লঞ্চে তা প্রয়োজনীয় সংখ্যক নেই। প্রতি বছর ঈদের আগে ঘরমুখো ও ঈদের পরে কর্মমুখো মানুষর চাপ পড়ে লঞ্চঘাটে। এ সুযোগে চলাচলকারি প্রতিটি লঞ্চে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহনের অভিযোগ রয়েছে।

ভুয়া টিকিট বিক্রি

ব্যস্ততম দৌলতদিয়া ঘাটে বিআইডাব্লিউটিসির ফেরির টিকিটবুকিং কাউন্টারক ঘিরে স্থানীয় দালালচক্র রয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে বিভিন্ন পণ্যবাহি ট্রাকচালকদের কাছ থেকে ওই দালালরা অতিরিক্ত টাকা নিয়ে ফেরির টিকিট কিনে দেয়। পাশাপাশি তারা সিরিয়াল ভেঙে পেছনের ট্রাক আগে নিয়ে ফেরিপারাপার করে থাকে। 

তবে প্রতি বছর ঈদের তিন দিন আগে থেকে পরের তিন দিন দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ট্রাকপারাপার বন্ধ থাকে। এ সময় টকদালাল চক্রের লোকজন দূরপাল্লার বিভিন্ন পরিবহন বাসের নামে ভুয়া টিকিট হাতে রেখে তারা সাধারণ যাত্রীদের প্রলুব্ধ করে। পরে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়ার বিনিময়ে যাত্রীদের হাতে ওই ভুয়া টিকিট ধরিয়ে দিয়ে সেখান থেকে দ্রুত কেটেপড়ে দালালরা। এতে বিপাকে পড়েন ঘরমুখো মানুষের অনেকই।

বেপরোয়া কুলি

দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট ও বাসটার্মিনাল এলাকায় বিভিন্ন যাত্রীর ব্যাগবোঝা বয়ে নেওয়ার কাজ করে এলাকার একদল কুলি। কিন্তু ঈদের আগে ও পরে লঞ্চঘাটে যখন হাজারো মানুষের ঢল নামে, তখন সেখানে কুলিদের অনেকেই বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তারা লঞ্চঘাট থেকে ১০-২০ টাকায় মিটিয়ে যাত্রীর ব্যাগ-বোঝা বয়ে নিয়ে যায় বাসটার্মিনালে। 

সেখানে যাওয়ার পর ওই যাত্রীর কাছ থেকে জোর করে ৫০ থেকে ১০০ টাকা আদায় করে তারা। পাশাপাশি সুযোগ বুঝে বিভিন্ন যাত্রীর পকেট মেরে টাকাপয়সা হাতিয়ে নেয় সংঘবদ্ধ ওই কুলি-মজুরদের অনেকেই।

উল্টোপথে গাড়ি

মহাসড়কের দৌলতদিয়া ঘাটের ট্রাফিকমোড় থেকে বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত দুই কিলোমিটার দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা। সেখানে সড়ক বিভাজন থাকা সত্বেও সংশ্লিষ্ট ট্রাফিকপুলিশের উদাসীনতার সুযোগে ওই ডাবল লেন সড়কে উল্টোপথে অবাধে চলাচল করছে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, রিক্সা, অটোরিক্সা, নছিমন, করিমন, মাহেন্দ্রসহ থ্রি-হুইলার বিভিন্ন গাড়ি। 

এদিকে প্রতিবারের ন্যায় এবারও ঈদের আগে ও পরে ওই সড়কে গাড়ির চাপ স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক গুণ বাড়বে। মহাসড়কের ওই ডাবল লেন অংশে উল্টোপথে গাড়ি চলাচল দ্রুত বন্ধ না হলে সেখানে যে কোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।  

ফেরিতে জুয়ার ফাঁদ 

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে রাতে চলাচলকারি ফেরিগুলোতে যাত্রী নিরাপত্তায় পুলিশি পাহারা নেই। এ সুযোগে এলাকার সংঘবদ্ধ একদল দুর্বৃত্ত ফের সক্রিয় হয়ে উঠছে। রাতের অন্ধকারে ট্রলার নিয়ে এসে যাত্রীবেশে তারা চলন্ত ফেরিতে ওঠে। পরে সুযোগ বুঝে ফেরির ভিতরে মোমের আলো জ্বালিয়ে নিজেদের মধ্যে নগদ টাকার ‘তিন তাসের জুয়া’ খেলার আসর বসায়। তা দেখে ফেরিযাত্রীদের অনেকেই প্রলুব্ধ হয়ে ওই জুয়া খেলায় অংশ নেয়। তখন তারা জুয়া খেলায় অংশ নেওয়া যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোনসেট ছিনিয়ে নেয়। শেষে ঘাটে ভেড়ার আগে চলন্ত ফেরি থেকে ট্রলারে নেমে নদীর ভাটিপথে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

ঘাটসংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, এই নৌপথে চলন্ত ফেরিতে জুয়ার আসর ও ছিনতাইকালে সংশ্লিষ্ট দুর্বৃত্তরা ধারালো রামদা, ছুঁরি ও চাইনিজ কুঁড়াল ব্যবহার করে থাকে। তাই ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেও মুখ খুলতে সাহস পায়না। পাশাপাশি ভুক্তভোগী যাত্রীদের অনেকে ঝামেলা এড়াতে আইনের আশ্রয় না নিয়ে নিজ গন্তব্যে চলে যায়।

কর্তৃপক্ষের মতে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার সহকারি মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এবার ঈদে অতিরিক্ত গাড়ি ও যাত্রীর চাপ সামাল দিতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট প্রস্তুত হয়ে আছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, জেলাপুলিশ, থানাপুলিশ, বিআইডাব্লিউটিসি, বিআইডাব্লিউটিএসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।’

মন্তব্য

খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া মাহফিল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া মাহফিল
ছবি: কালের কণ্ঠ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় নারায়ণঞ্জের সোনারগাঁওয়ে দোয়া, আলোচনা ও গণ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে মনারবাগ এলাকায় প্রান্তিক কৃষক ও সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এ  ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান। এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য
৩ মাস ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা

খালুর বিরুদ্ধে ইশারায় চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন বাক-প্রতিবন্ধী নারী

    মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
শেয়ার
খালুর বিরুদ্ধে ইশারায় চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন বাক-প্রতিবন্ধী নারী
মামলার প্রধান আসামি লাল মিয়া। ছবি : কালের কণ্ঠ

ময়মনসিংহের ভালুকায় দফায় দফায় ধর্ষণে বাকপ্রতিবন্ধী এক নারী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনার মামলার প্রধান আসামি লাল মিয়াকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। তিনি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

গতকাল রবিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় র‌্যাব-১৪ সহায়তায় ভালুকা মডেল থানা পুলিশ টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের জন্য থানা পুলিশ আজ সোমবার (২৪ মার্চ) তাকে আদালতে পাঠায়।

আরো পড়ুন
দেশপ্রেমিক সেনাদের ভালোবাসি : হাসনাত

দেশপ্রেমিক সেনাদের ভালোবাসি : হাসনাত

 

মামলা ও থানা সূত্রে জানা যায়, বাকপ্রতিবন্ধী ওই নারীর বাবা তার পরিবার নিয়ে ভালুকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। একই বাসার পাশের একটি কক্ষে বসবাস করতেন লাল মিয়া। তিনি ওই নারীর দূরসম্পর্কীয় খালু। আত্মীয়তা এবং পাশাপাশি অবস্থানের সুবাদে তার বাসায় ওই নারীর যাওয়া-আসা ছিল।

একপর্যায়ে ওই নারীর খাওয়া-দাওয়া কমে যায় এবং শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয়। পরে তার মায়ের সন্দেহ হলে তিনি মেয়ের সঙ্গে ইশারায় কথা বলেন। তখন ওই নারী তার মাকে ইশারায় জানান, তার খালু লাল মিয়া তার সঙ্গে তিন মাস যাবৎ শারীরিক মেলামেশা করছেন। পরে ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে ভুক্তভোগী নারীর বাবা বিষয়টি নিশ্চিত হন এবং লাল মিয়াকে আটক করে রাখেন।

এদিকে, বিয়ের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার কথা বলে লাল মিয়ার স্ত্রী মরিয়ম আক্তার (২৫), রফিকুল ইসলাম (৫৫), মজনু মিয়া (৩০) ও মমতা বেগম (২৫) কৌশলে লাল মিয়াকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন। পরে ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী ওই নারীর বাবা বাদি হয়ে গত ১৪ মার্চ রাতে ভালুকা মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় মো. লাল মিয়া (২৭), তার স্ত্রী মরিয়ম আক্তারসহ (২৫) ৫ জনকে জনকে আসামি করা হয়। মামলার পরপরই থানা পুলিশ মামলার প্রধান আসামি লাল মিয়া ছাড়া মামলার অন্যান্যদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়।

আরো পড়ুন
‘সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করা যাবে না’, ছাত্রনেতাদের উদ্দেশে আরো যা বললেন নুর

‘সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করা যাবে না’, ছাত্রনেতাদের উদ্দেশে আরো যা বললেন নুর

 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভালুকা মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আমিনুল হক বলেন, ‘র‌্যাব-১৪-এর সহায়তায় আসামি লাল মিয়াকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি বাক-প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ওই নারীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। শিকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের জন্যে আজ সোমবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ওই মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

মন্তব্য

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ : ঈদযাত্রা মসৃণে কর্তৃপক্ষের ‘ছক’

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
শেয়ার
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ : ঈদযাত্রা মসৃণে কর্তৃপক্ষের ‘ছক’
ছবি: কালের কণ্ঠ

দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ। প্রতি বছর ঈদের আগে ঘরমুখো ও ঈদ শেষে কর্মমুখো মানুষের ঢল নামে এই নৌপথে। আসন্ন ঈদে অতিরিক্ত গাড়ি ও যাত্রীর চাপ সামাল দিতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ প্রস্তুত হচ্ছে। নৌরুটে পর্যাপ্ত ফেরি ও লঞ্চের ব্যবস্থা, যানজট নিরসনে ঘাট এলাকায় বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থাসহ যাত্রীনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

আরো পড়ুন

মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বসুন্ধরা শুভসংঘের ঈদ উপহার

মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বসুন্ধরা শুভসংঘের ঈদ উপহার

 

মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের নিজ গন্তব্যে পৌঁছে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারবে। যাত্রাপথে ঘাটে এসে কাওকে কোনো দুর্ভোগ পোহাতে হবে না বলে আশ্বাস প্রশাসনের।

জানা যায়, প্রতিদিন এই পথে কয়েক হাজার বিভিন্ন গাড়ি ফেরিপার হয়। তবে প্রতি বছর ঈদের আগে ও পরে সেখানে গাড়ি ও যাত্রীর সংখ্যা বহুগুণ বেড়ে যায়।

তাই এবারের ঈদের আগে ঘরমুখো ও ঈদ শেষে কর্মমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। 

আরো পড়ুন

হার্টে ব্লক রয়েছে তামিমের, পরানো হবে রিং

হার্টে ব্লক রয়েছে তামিমের, পরানো হবে রিং

 

দৌলতদিয়া ঘাটে কর্মরত বিআইডাব্লিউটিসির সহকারি মহাব্যবস্থাপক (এজিএম বাণিজ্য) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন কালের কণ্ঠকে জানান, এবারের ঈদে ঘরমুখো মানুষের বয়ে আনা অতিরিক্ত গাড়ির চাপ সামাল দিতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ছোট-বড় মোট ১৭টি ফেরি দিন-রাত সার্বক্ষণিক চালু থাকবে। চলাচলকারি কোনো ফেরি বিকল হলে সঙ্গে সঙ্গে তা মেরামত করার জন্য পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানা মধুমতি আগেভাগেই প্রস্তুত হয়ে আছে। 

এ জন্য ওই মেরামত কারখানার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে।

এদিকে বিআইডাব্লিউটিএ-এর ড্রেজিং বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, নদীর পানি কমে দৌলতদিয়া প্রান্তে পদ্মা ও পাটুরিয়া প্রান্তে যমুনায় ছোট-বড় অনেক চর জেগেছে। তবে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে একাধিক ড্রেজার দিয়ে প্রয়োজনীয় খনন কাজ চলমান রয়েছে। বর্তমান দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের চ্যানেলে নব্যতা সংকট নেই। এবারের ঈদে পূর্ণ লোড নিয়ে ফেরিগুলো নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে। 

এদিকে বিআইডাব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক (আরিচা অঞ্চল) মো. সেলিম শেখ জানান, আসন্ন ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ সামাল দিতে ছোট-বড় ৩৩টি লঞ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এরমধ্যে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২০টি লঞ্চ সার্বক্ষণিক ভাবে যাত্রী পারাপার করবে। অপর ১৩টি লঞ্চ চলাচল করবে মানিকগঞ্জের আরিচা ও পাবনার কাজীরহাট নৌরুটে।

আরো পড়ুন

তামিমের শারীরিক অবস্থার সবশেষ যা জানা গেল

তামিমের শারীরিক অবস্থার সবশেষ যা জানা গেল

 

এদিকে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঈদের আগে ঘরমুখো ও ঈদের পরে কর্মমুখো মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট, বাসটার্মিনালসহ মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ অবস্থান নেবে। ঘাট এলাকায় যানজট নিরসনে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকবে। জেলা পুলিশ প্রশাসন সার্বক্ষণিক ভাবে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নজরদারি করবে। নৌপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে নৌপুলিশ। 

তিনি আরো বলেন, ‘পরিবহন দালাল, ছিনতাইকারি, পকেটমার, মলম পার্টি, চলন্ত ফেরিতে জুয়াসহ সংশ্লিষ্ট দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকবে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। কেও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের চেষ্টা করলেই সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। এ ক্ষেত্রে জড়িত যে কোনো দল কিংবা এলাকার প্রভাবশালী লোক হোক, তাদের কাওকে তিল পরিমান ছাড় দেওয়া হবে না।’

আরো পড়ুন

ক্রান্তিকালের কাণ্ডারি সেনাবাহিনী

ক্রান্তিকালের কাণ্ডারি সেনাবাহিনী

 

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাহিদুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী আসন্ন ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন, যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় রোধে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় সার্বক্ষণিক ভাবে কাজ করবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এবারের ঈদে মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের নিজ গন্তব্যে পৌছে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারবে। দৌলতদিয়া ঘাটে এসে কাওকে কোনো দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।’ 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ