<p>পশ্চিম তীরের উত্তরে সোমবার এক বন্দুক হামলায় তিন ইসরায়েলি নিহত ও আটজন আহত হয়েছে। একটি বাস ও অন্যান্য যানবাহনে এ হামলা করা হয়। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ও জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এই তথ্য জানিয়েছে।</p> <p>জরুরি সেবা প্রদানকারী সংস্থা মাগেন ডেভিড অ্যাডম নিহতদের ষাটোর্ধ্ব দুই নারী ও চল্লিশোর্ধ্ব এক পুরুষ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এ ছাড়া বাসের চালক গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্য ইসরায়েলের দুটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।</p> <p>অন্যদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ‘সন্ত্রাসীরা’ আল-ফান্দুক গ্রামসংলগ্ন হাইওয়ে ৫৫-এ যানবাহনগুলোর ওপর গুলি চালায় এবং পরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।</p> <p>ইসরায়েলি গণমাধ্যমে এক সামরিক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা দুই ফিলিস্তিনি হামলাকারীকে ধরতে তাড়া করছেন। তারা রাস্তা অবরোধ করছে এবং কয়েকটি শহরকে ঘেরাও করছে।</p> <p>প্যারামেডিক আভিচাই বেন জুরিয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা দ্রুত তল্লাশি চালিয়ে গুলির আঘাতসহ দুই নারী ও এক পুরুষকে শনাক্ত করি, যাদের পালস ছিল না। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত ঘোষণা করা ছাড়া আমাদের কোনো উপায় ছিল না। এ ছাড়া বাসের মধ্যে আমরা গুলির আঘাত ও ভাঙা কাচের ক্ষততে আহতদের চিকিৎসা করেছি, যার মধ্যে বাসচালকও ছিলেন।’</p> <p>এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ‘নিন্দনীয় হত্যাকারী’ ও তাদের সাহায্যকারী সবাইকে বিচারের আওয়াত আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি এক্সে লিখেছেন, ‘কেউ পালাতে পারবে না।’</p> <p>ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কেউ তাৎক্ষণিকভাবে এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে হামাস এ হামলাকে ‘ইসরায়েলের চলমান অপরাধের’ বিরুদ্ধে একটি ‘বীরত্বপূর্ণ প্রতিক্রিয়া’ হিসেবে প্রশংসা করেছে।</p> <p>পশ্চিম তীরে সহিংসতার বৃদ্ধির মধ্যে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের ভয়াবহ হামলার পর থেকে শতাধিক ফিলিস্তিনি ও কয়েক ডজন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। এর আগে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রবিবার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় পশ্চিম তীরে দুই ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছিল।</p> <p>সূত্র : বিবিসি</p>