ঢাকা, শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫
৭ চৈত্র ১৪৩১, ২০ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫
৭ চৈত্র ১৪৩১, ২০ রমজান ১৪৪৬

মেক্সিকোতে গোপন কবর থেকে উদ্ধার ১৫ লাশ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মেক্সিকোতে গোপন কবর থেকে উদ্ধার ১৫ লাশ
মেক্সিকোর পতাকা। ফাইল ছবি : এএফপি

মাদক কারবারি চক্রের সহিংসতায় জর্জরিত মেক্সিকোর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় একটি রাজ্যে গোপন কবর থেকে অন্তত ১৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় গভর্নরের বরাত দিয়ে এএফপি রবিবার এক প্রতিবেদনে তথ্য জানিয়েছে।

চিয়াপাস রাজ্যের গভর্নর এডুয়ার্ডো রামিরেজ সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফরম এক্সে গুয়াতেমালার নিকটবর্তী কৃষি অঞ্চল ফ্রেইলেস্কায় স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে পরিচালিত অভিযানের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। অঞ্চলটিতে প্রতিদ্বন্দ্বী মাদক চক্রগুলো ব্যাপক রক্তক্ষয়ী সহিংসতায় জড়িয়ে পড়েছে।

রামিরেজ শনিবার তার এক্সে জানান, দুর্ভাগ্যবশত, দুটি ব্যক্তিগত জমির গোপন কবরে এখন পর্যন্ত ১৫টি লাশ পাওয়া গেছে।

তিনি আরো বলেন, অস্ত্র, যানবাহন ও মাদকদ্রব্যও জব্দ করা হয়েছে এবং চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যদিও গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ১৫ জনের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে কি না, সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলেননি।

এএফপির তথ্য অনুসারে, মেক্সিকোর মাদক কারবারি চক্রের সহিংসতা মাদক পাচারের রুট, সীমান্ত ও প্রবেশ বন্দরগুলো বা তার আশপাশে হয়ে থাকে।

দেশটি ২০০৬ সালে বিতর্কিত মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকে সাড়ে চার লাখের বেশি মানুষ নিহত ও কয়েক লাখ নিখোঁজ হয়।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

তুরস্কে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ চলছেই

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
তুরস্কে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ চলছেই
ছবি : এএফপি

তুরস্কে ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সরকারের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ হয়েছে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস এবং রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। তুরস্কে বিক্ষোভ-সমাবেশের ওপর চার দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।

দেশটির রাজনীতিতে সেক্যুলার দল হিসেবে পরিচিত রিপাবলিকান পিপলস পার্টির-সিএইচপি নেতা একরেম ইমামোগলু।

২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য দলের প্রার্থী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করার কথা ছিল এ সপ্তাহের শেষের দিকে।

এর মধ্যেই গত বুধবার দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সহায়তার অভিযোগে আরো ১০৫ জনের সঙ্গে ইমামোগুলোকেও আটক করা হয়।

এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘উসকানিমূলক’ পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে আরো অনেককে আটক করে সরকার। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দ্বিতীয় দিনের বিক্ষোভ-সমাবেশ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

তার ভাষায়, নাটক করছে বিরোধীরা।

এরদোয়ান বলেন, ‘তারা এতটাই ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে যে, পুলিশকে আক্রমণ এবং বিচারক ও আইনজীবীদের হুমকি দেওয়ার মতো পরিস্থিতিতে পৌঁছে গেছে।’

এদিকে, সিএইচপি পার্টির নেতা ওজগুর ওজেল অভিযোগ করেছেন, ১০৫ জনকে আটক করে বিরোধীদের দমনের কৌশল নিয়েছে সরকার।

ইস্তাম্বুলের সিটি হলের বাইরে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি আরো বলেন, ‘সরকারের সেই চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অধিকার জনগণের রয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়েরলিকায়া ঘোষণা করেছেন অনলাইনে ২৬১ জন ‘সন্দেহভাজন অ্যাকাউন্ট ম্যানেজারকে’ শনাক্ত করেছে পুলিশ।

তাদের বিরুদ্ধে ‘মানুষকে ঘৃণা ও শত্রুতার দিকে ঠেলে দেওয়া’ এবং ‘অপরাধে প্ররোচনা দেওয়ার’ অভিযোগ রয়েছে।

ইয়েরলিকায়া বলেন, ‘৩৭ সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে এবং অন্যদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।’

বৃহস্পতিবার ইমামোগলুর এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এক বার্তায়, ‘এই অন্যায় রুখে দাঁড়াতে’ তুরস্কের জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। পরিস্থিতির জন্য এরদোয়ানের দলকে দায়ী করে বিচার বিভাগকেও সোচ্চার হওয়ার তাগিদ দেওয়া হয় ওই পোস্টে।

এতে বলা হয়, ‘পরিস্থিতি শুধু রাজনৈতিক দল ও আদর্শের প্রশ্নে আটকে নেই আর। এখন সাধারণ মানুষ ও তাদের পরিবার পরিজনের ওপরও এর প্রভাব পড়ছে। এখনই সময় আওয়াজ তোলার।’

শহরের বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনে লাউডস্পিকারে ইমামোগলুর একটি বক্তৃতার রেকর্ড বাজছে। যাত্রীরা যখন ট্রেনে উঠতে উঠতে শুনছেন, ‘আপনাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমি অঙ্গীকার করছি, এই লড়াইয়ে জিতব।’

রাস্তায় মিছিল করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। তুরস্কের বিরোধীদের স্লোগান হিসেবে পরিচিত সেই কথাগুলোতে বলা হচ্ছে, ‘আমরা ভীত নই, চুপ করিয়ে রাখা যাবে না আমাদের, আমরা মানব না।’

তবে, এক কোটি ৬০ লাখের বেশি জনসংখ্যার এই শহরে বিক্ষোভকারীর সংখ্যা এখনও তুলনামূলকভাবে কম। আপাতত, ইমামোগলুকে মুক্তি দিতে এরদোগানের ওপর রাজনৈতিক চাপ বাড়ানোর সম্ভাবনাও কম তাদের।

গত কয়েক মাসে দেশব্যাপী বড় ধরণের অভিযান চালিয়েছে তুরস্ক সরকার। বিরোধী রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক এবং বিনোদন জগতের ব্যক্তিত্বরা ছিল সেইসব অভিযানের লক্ষ্যবস্তু। তারই ধারাবাহিকতায় ইমামোগলু এবং অন্যদের গ্রেপ্তার করা হলো।

আগামীতে এমন অভিযানের অংশ হিসেবে আরও অনেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হবে বলে আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। ভয় দেখাতেই তাদের আটক করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অবশ্য গ্রেপ্তারের জন্য এরদোয়ানকে দায়ী করার সমালোচনা করেছে বিচার মন্ত্রণালয়। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর জোর দিয়েছে তারা।

গত বছর দ্বিতীয় মেয়াদে ইস্তাম্বুলের মেয়র নির্বাচিত হন একরেম ইমামোগলু। সেই স্থানীয় নির্বাচনে ইস্তাম্বুল এবং আঙ্কারায় জয়ী হয় তার দল সিএইচপি।

এরদোয়ান ক্ষমতায় আসার পর ওই নির্বাচনেই প্রথমবারের মতো তার দল সারা দেশে ব্যালট বাক্সের হিসাব-নিকাশে পরাজিত হয়েছিল। ব্যক্তিগতভাবে এরদোয়ানের জন্যও ধাক্কা ছিল এটি। তার রাজনৈতিক বেড়ে ওঠা বিশেষ করে ক্ষমতায় আসার পথে একসময় ইস্তাম্বুলের মেয়রও ছিলেন তিনি।

২২ বছর ধরে তুরস্কের ক্ষমতার শীর্ষে আছেন এরদোয়ান। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি উভয় পদেই দায়িত্ব পালন করেছেন এরদোয়ান।

মেয়াদের বাধ্যবাধকতার কারণে, সংবিধান পরিবর্তন না করলে তিনি ২০২৮ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। অন্যদিকে, আগামী রবিবার প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রার্থী নির্বাচন করবেন সিএইচপির ১৫ লাখ সদস্য। যেখানে, ইমামোগলুই একমাত্র প্রার্থী।

এ ছাড়াও দলটি একটি প্রতীকী নির্বাচনের আয়োজন করতে যাচ্ছে। তুরস্কের বিভিন্ন জেলায় ব্যালট বাক্স রাখার পরিকল্পনা করেছে তারা। আটক মেয়রের প্রতি সমর্থন জানাতে ওই ব্যালট বাক্সগুলোতে নাগরিকদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

সূত্র : বিবিসি

মন্তব্য

ভারত সরকারের বিরুদ্ধে ইলন মাস্কের এক্সের মামলা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভারত সরকারের বিরুদ্ধে ইলন মাস্কের এক্সের মামলা
সংগৃহীত ছবি

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কন্টেন্ট অপসারণ করতে বেআইনি আদেশের অভিযোগে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্ম এক্স। মুম্বাই থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত ভারত বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে একটি, যারা সরকারিভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কন্টেন্ট অপসারণের জন্য সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অনুরোধ জানায়।

মামলাটি ভারত সরকারের সেন্সরশিপ ক্ষমতার বিরুদ্ধে এক্সের সর্বশেষ চ্যালেঞ্জ।

এমন সময়ে এই চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে, যখন ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্টারলিংক ও টেসলা বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারতে প্রবেশের প্রস্ততি নিচ্ছে।

মামলাটি ভারতের তথ্য প্রযুক্তি আইনের একটি বিধানকে কেন্দ্র করা হয়েছে, যার অপব্যবহার করে সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কন্টেন্ট ব্লক করার আদেশ দিয়ে থাকে।

আইনি সংবাদ সম্পর্কিত ভারতীয় ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ‘এক্সের মতে এই বিধানটি তথ্য ব্লক করার ক্ষেত্রে একটি বেআইনি সমান্তরাল কৌশল হিসেবে অপব্যবহার করা হচ্ছে।’

এই সপ্তাহের শুরুতে মামলাটির সংক্ষিপ্ত শুনানিতে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি।

আগামী ২৭ মার্চ দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের একটি আদালতে এই মামলার শুনানি হবে।

ভারতে কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আইনি লড়াইয়ে মাস্কের এই প্ল্যাটফর্মটি নতুন নয়। ২০২৩ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের সমালোচনাকারী টুইট ও অ্যাকাউন্টগুলো অপসারণের আদেশকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করে টুইটার (এক্স-এর আগের নাম)। তখন ভারতীয় আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে প্ল্যাটফর্মটিকে ৬১ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা করে।

প্রায় এক বছর পর এক্স জানায়, নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট ও পোস্টগুলোতে সরকারের ব্লক করার আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট আপিল বিচারাধীন রয়েছে।

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে কোম্পানিটি এক পোস্টে বলেছিল, ‘আমাদের অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভারত সরকারের ব্লকিং আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট আপিল এখনো বিচারাধীন রয়েছে। আমরা আমাদের নীতি অনুসারে প্রভাবিত ব্যবহারকারীদের এই পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে নোটিশও দিয়েছি।’

পোস্টে আরো বলা হয়, আইনি বিধিনিষেধের কারণে আমরা নির্বাহী আদেশগুলো প্রকাশ করতে পারছি না। তবে আমরা বিশ্বাস করি, স্বচ্ছতার জন্য সেগুলো জনসম্মুখে প্রকাশ করা অপরিহার্য।

না প্রকাশ করলে জবাবদিহিতার অভাব ও স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত গ্রহণের দিকে পরিচালিত করতে পারে।’

মন্তব্য

তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করলেন প্রেসিডেন্ট

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করলেন প্রেসিডেন্ট
প্রধানমন্ত্রী কামেল মাদৌরি। ছবি : এএফপি

তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ প্রধানমন্ত্রী কামেল মাদৌরিকে নিয়োগের এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে বরখাস্ত করেছেন। তার কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশটির ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক স্থবিরতার প্রেক্ষাপটে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। 

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সাইদ মন্ত্রীদের কর্মক্ষমতার তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, অনেকেই প্রয়োজনীয় মান পূরণ করেননি।

তিউনিসিয়ার জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেশি। গত মাসে তিনি অর্থমন্ত্রী সিহেম বোঘদিরিকেও বরখাস্ত করেছেন।  

মাদৌরির স্থলাভিষিক্ত হন পূর্বের গণপূর্তমন্ত্রী সারা জাফরানি জেনজরি। যিনি একজন প্রকৌশলী এবং ২০২১ সাল থেকে সরঞ্জাম ও গৃহায়ন মন্ত্রী।

দুই বছরেরও কম সময়ের মধ্যে তিনি তিউনিসিয়ার তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী।

সাইদ ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি ২০২১ সালে এক বিশাল ক্ষমতা দখলের ঘটনা ঘটিয়েছিলেন, যা সমালোচকদের মতে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা এবং অধিকার হরণ করেছিল। তবে, সাইদের সমর্থকরা বলেছেন, তিনি কয়েক দশক ধরে দুর্নীতিতে জর্জরিত দেশটির অদক্ষতার বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি পালন করেছেন।

মন্থর প্রবৃদ্ধি ও উচ্চ বেকারত্বসহ গুরুতর আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত ব্যাপক ঋণগ্রস্ত তিউনিসিয়ার মন্ত্রীদের কর্মক্ষমতা নিয়ে সাম্প্রতিক অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাঈদ। শুক্রবার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক সভায় এক বক্তৃতায় সাইদ বলেন, ‘অনেক সরকারি স্থাপনায় অপরাধী চক্র সক্রিয়। তাদের অবসান ঘটানোর এবং প্রতিটি কর্মকর্তাকে জবাবদিহি করার সময় এসেছে।

উত্তর আফ্রিকার দেশটির সরকারি অর্থব্যবস্থা একটি তীব্র সংকটের মুখোমুখি হয়েছে যার ফলে চিনি, চাল এবং কফিসহ গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সাইদ বলেন, ‘সকল নাগরিকের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা মুক্তির লড়াই চালিয়ে যাব... আমরা সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেব।

’ 

মন্ত্রী ও বিচারকদের বরখাস্ত করার পূর্ণ ক্ষমতা থাকা প্রেসিডেন্ট ২০২৪ সালের আগস্টে মাদৌরিকে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন। সেই সময় তিনি আরো ১৯ জন মন্ত্রীকে রদবদল করেন। ‘রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ স্বার্থ’ এবং ‘জাতীয় নিরাপত্তার’ প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তিউনিসিয়াও একটি অভূতপূর্ব অভিবাসী সংকটের জন্য ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছে, কারণ সাব-সাহারান আফ্রিকা থেকে হাজার হাজার মানুষ ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টায় দেশটিতে আসছে। কর্তৃপক্ষ ভূমধ্যসাগর পার হতে বাধা দেওয়ার পর হাজার হাজার অভিবাসী দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আমরা এবং জেবেনিয়ানার মতো বনে তাঁবুতে বসবাস করছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানায়, ২০২৫ সালে তিউনিসিয়ার বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মাত্র ১.৬ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ঋণের পরিমাণ জিডিপির প্রায় ৮০ শতাংশ, যা ২০১৯ সালে সাইদ ক্ষমতা গ্রহণের আগে ছিল ৬৭ শতাংশ।

মন্তব্য

গাজা ও ইয়েমেনে হামলা : মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান আলী খামেনির

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গাজা ও ইয়েমেনে হামলা : মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান আলী খামেনির
ছবিসূত্র : এএফপি

গাজায় ইহুদিবাদী ইসরায়েলের আগ্রাসন পুনরায় শুরু হওয়ায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি এই আগ্রাসনকে বড় ধরনের অপরাধ ও বিপর্যয়কর বলে মন্তব্য করেছেন। ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনার উদ্ধৃতি দিয়ে তেহরান থেকে এএফপি আজ এ খবর জানায়।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা গতকাল বৃহস্পতিবার ফার্সি নববর্ষ ১৪০৪ শুরু হওয়া উপলক্ষে দেওয়া ভাষণের একাংশে এসব মন্তব্য ও আহ্বান তুলে ধরেন।

খামেনি বলেছেন, এ ঘটনা পুরো মুসলিম উম্মাহর সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়, তাই গোটা উম্মাহকে সব ধরনের মতভেদ ভুলে এই অপরাধের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হবে। ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের সব অঞ্চলের মুক্তিকামী সবাইকে এই বিশ্বাসঘাতকতামূলক ও বিপর্যয়কর অবস্থা মোকাবেলা করতে হবে। যাতে আবারও শিশু হত্যা, ঘরবাড়ি ধ্বংস ও ফিলিস্তিনি জনগণকে শরণার্থী হতে না হয়। 

তিনি আরো বলেন, মার্কিন সরকারও এই বিপর্যয়ের শরিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী মার্কিন সরকারের  সম্মতিতে এই অপরাধযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরায়েল।

ইয়েমেনের ওপর ও দেশটির বেসামরিক জনগণের ওপর হামলাও আরো এক অপরাধ, যা অবশ্যই ঠেকাতে হবে।

তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, দামেস্কে ইরানের কয়েকজন সামরিক উপদেষ্টার শাহাদাতবরণ, ইরানি জাতির জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির শাহাদাত এবং এরপর তেহরান ও লেবাননের তিক্ত ঘটনাবলীর কারণে ইরানি জাতি ও ইসলামী উম্মাহ বেশ কয়েকজন মূল্যবান ব্যক্তিত্বকে হারিয়েছে এই ফার্সি বছরে।

লেবানন ও ফিলিস্তিনি জাতির নানা সংকট মোকাবেলার ক্ষেত্রে ইরানি জাতি উদার চিত্তে তাদের লেবাননি ও ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের সহায়তায় বন্যার জোয়ারের মতো সাহায্যের বিপুল চালান পৌঁছে দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা। আর এর মধ্য দিয়েও ইরানি জাতির উচ্চতর মনোবল ও আধ্যাত্মিক শক্তি ফুটে উঠেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

খামেনি এ প্রসঙ্গে প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতি ইরানি জনগণের বিস্ময়কর সহায়তা, বিশেষ করে ইরানি নারীদের স্বর্ণালংকার উপহার দেওয়ার ঘটনাকে ইরানের ইতিহাসের অবিস্মরণীয় ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ইরানি জাতির দৃঢ় সংকল্প ও ইচ্ছাশক্তি, প্রস্তুতি ও আধ্যাত্মিক মনোবল প্রিয় এই জাতির ভবিষ্যৎ ও সব সময়ের জন্য মূল্যবান পুঁজি এবং এর ফলে এই দেশটির ওপর আল্লাহর অনুগ্রহের ধারা অব্যাহত রয়েছে।

সূত্র : এএফপি, বাসস 
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ