চট্টগ্রাম কাস্টমের অকশন শেডে সাবেক সংসদ সদস্যদের (এমপি) আনা ২৪টি বিলাসবহুল গাড়িসহ মোট ৪৪টির নিলাম অনুষ্ঠিত হবে আজ সোমবার। নিলামে অংশ নিতে আগ্রহীরা গতকাল রবিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত অনলাইনে দর জমা দিয়েছেন। কতজন জমা দিয়েছেন, সেটি আজ জানা যাবে। দুপুর ২টায় দরপত্রের বাক্স খোলা হবে।
দুপুরে নিলামে উঠছে সাবেক এমপিদের আনা ২৪ বিলাসবহুল গাড়ি
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

এসব গাড়ি এমপিরা শুল্কমুক্ত সুবিধায় এনেছিলেন, কিন্তু গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের কারণে ওই গাড়িগুলো তাদের ভাগ্যে জোটেনি। এর মধ্যে এমপিদের গাড়িগুলোর একেকটির মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। সেই গাড়িগুলোই এবার অনলাইনভিত্তিক ই-নিলামে বিক্রি করবে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গাড়িগুলো নিলামে বিক্রি করা গেলে ১৭৫ কোটি টাকা রাজস্ব পাবে সরকার।
জানা যায়, নিলামে তোলা হচ্ছে টয়োটা ব্র্যান্ডের ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি। এসব গাড়ি আমদানি করেছিলেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি মোহাম্মদ সাদিক, ময়মনসিংহ-৭ আসনের সাবেক এমপি এ বি এম আনিসুজ্জামান, আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মজিবুর রহমান ও জান্নাত আরা হেনরী, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সানজিদা খানম, এস এম কামাল হোসেন, মুজিবুর রহমান, মো. আসাদুজ্জামান, নাদিয়া বিনতে আমিন, মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর, অনুপম শাহজাহান জয়, সাজ্জাদুল হাসান, মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তারানা হালিম, সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, আখতারউজ্জামান, মো. আবুল কালাম আজাদ, রুনু রেজা, মো. তৌহিদুজ্জামান, শাহ সারোয়ার কবীর, এস এ কে একরামুজ্জামান, এস এম আল মামুন, আবদুল মোতালেব, শাম্মী আহমেদ ও মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ।
চট্টগ্রাম কাস্টম নিলামের ক্যাটালগ তথ্য থেকে জানা যায়, এই নিলামে শুধু ল্যান্ড ক্রুজার গাড়িই আছে মোট ২৬টি। এর মধ্যে ২০২৪ সালে জাপানে তৈরি তিন হাজার ৩৪৬ সিসি ল্যান্ড ক্রুজার জেডএক্স মডেলের ব্র্যান্ড নিউ গাড়ি রয়েছে ২৪টি, যার প্রতিটির সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ কোটি ৬৭ লাখ তিন হাজার ৮৯৯ টাকা।
এ ছাড়া ২০২১ সালে জাপানে তৈরি দুই হাজার ৬৯৩ সিসি ল্যান্ড ক্রুজার টিএক্স মডেলের গাড়ি রয়েছে দুটি, যার মধ্যে একটির সংরক্ষিত মূল্য এক কোটি ৬২ লাখ ৭৩ হাজার ৮৪ টাকা এবং অন্যটির সংরক্ষিত মূল্য এক কোটি ৩৭ লাখ ৯৬ হাজার ১২১ টাকা। নিলামে জাপানে তৈরি টয়োটা হ্যারিয়ার গাড়ি আছে মোট পাঁচটি। এর মধ্যে ২০২২ সালে তৈরি দুই হাজার ৪৮৭ সিসির একটি হ্যারিয়ার গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য ধরা হয়েছে ৭৬ লাখ ১৪ হাজার ৬৭৩ টাকা। ২০২২ সালে তৈরি এক হাজার ৯৮৬ সিসির হ্যারিয়ার আইচি একটি গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য ধরা হয়েছে ৮২ লাখ তিন হাজার ৬৬৭ টাকা।
২০২০ সালে তৈরি এক হাজার ৯৮৬ সিসির একটি গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬১ লাখ ৬১ হাজার ৩৪৯ টাকা।
২০১৯ সালে তৈরি এক হাজার ৯৮৬ সিসির আরেকটি হ্যারিয়ার গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ লাখ ৫১ হাজার ৪৮২ টাকা। এ ছাড়া ২০১৮ সালে তৈরি এক হাজার ৯৮৬ সিসির আরেকটি হ্যারিয়ার গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ লাখ ৫১ হাজার ৭৮৭ টাকা। নিলামে জাপানি টয়োটা র্যাব ফোর মডেলের এক হাজার ৯৮৬ সিসির গাড়ি রয়েছে দুটি। এর মধ্যে ২০২০ সালের মডেলের গাড়িটির সংরক্ষিত মূল্য ৫৬ লাখ ২২ হাজার ১০৭ টাকা এবং ২০১৯ সালের মডেলের গাড়িটির সংরক্ষিত মূল্য ৫৪ লাখ ৫৪ হাজার ৬৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গাড়ির এই নিলামে রয়েছে ২০২৪ সালে চায়নায় তৈরি হোয়ো ৩৪০ মডেলের ১০টি হেভি ডিউটি সিনো ডাম্প ট্রাক, যার মধ্যে ধরনভেদে ছয়টির প্রতিটির সংরক্ষিত মূল্য ৮৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯৩২ টাকা। বাকি চারটির সংরক্ষিত মূল্য ৮৫ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮১ টাকা। নিলামে একটি গাড়ি রয়েছে টয়োটা এস্কোয়ার ২০১৯ সালের মডেলের। এক হাজার ৯৮৬ সিসি এই গাড়িটির সংরক্ষিত মূল্য ধরা হয়েছে ৩০ লাখ ৩৮ হাজর ১৬৮ টাকা।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার মো. সাকিব হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে মূল্যবান জায়গা খালি করার একটি নির্দেশনা রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে গাড়িগুলো সরিয়ে কাস্টম অকশন শেডে আনা হয়েছে। এসব গাড়ি দ্রুত নিলামে বিক্রি করতে পারলে লোকসান হবে না। যত দেরি হবে, ততই গাড়িগুলো নষ্ট হবে, কার্যক্ষমতা হারাবে। তাই নিলামে ভালো বিডার বা অংশগ্রহণকারী পাওয়ার জন্য অনলাইন নিলাম ডাকা হয়েছে। এর ফলে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে আগ্রহীরা গাড়ির নিলামে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, এমপিদের মেয়াদে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা একেকটি গাড়িতে অগ্রিম আয়কর বাবদ চার লাখ ৮০ হাজার থেকে পাঁচ লাখ টাকা রাজস্ব পেয়েছে সরকার। এখন প্রথম নিলামে বিক্রি করা গেলে একেকটি গাড়িতে সোয়া সাত কোটি টাকা পাওয়া যাবে। এই হিসাবে গাড়িগুলো থেকে ১৭৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের আশা রয়েছে।
সম্পর্কিত খবর

সোলসের ৫০ বছর পূর্তিতে চট্টগ্রামে কনসার্ট ২ মে, টিকিট ৭ হাজার টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

বাংলাদেশের আইকনিক রক ব্যান্ড 'সোলস' এর পাঁচ দশকের সংগীত যাত্রাকে উদযাপন করতে ‘মাস্টারকার্ড প্রেজেন্টস সোলস আনপ্লাগড : ৫০ ইয়ার্স অব টাইমলেস মিউজিক’ শীর্ষক একটি ঐতিহাসিক সঙ্গীতানুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে এমঅ্যান্ডএম বিজনেস কমিউনিকেশন্স। আগামী ২ মে চট্টগ্রাম শহরের অন্যতম প্রধান ভেন্যু র্যাডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউ-তে বহু প্রতীক্ষিত এই আনপ্লাগড কনসার্টটি অনুষ্ঠিত হবে।
এই আয়োজনের টাইটেল পার্টনার হিসেবে রয়েছে মাস্টারকার্ড। বহু প্রতীক্ষিত এই এক্সক্লুসিভ শো-এর টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১৭ এপ্রিল।
বিশেষ অফার হিসেবে মাস্টারকার্ড-এর ডেবিট, ক্রেডিট ও প্রিপেইড কার্ডহোল্ডাররা টিকিটে পাবেন ফ্ল্যাট ২০% ছাড়। এছাড়া, সরাসরি টিকিট নিতে চাইলে, দর্শকরা র্যাডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউ-এর রিসেপশন ডেস্ক থেকে কিনতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন সোলস ব্যান্ডের লিড গিটারিস্ট ও ভোকাল পার্থ বড়ুয়া, মাস্টারকার্ড বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, এমঅ্যান্ডএম বিজনেস কমিউনিকেশন্স-এর সিইও মনজুমা মুর্শেদ, র্যাডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউ-এর সিইও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সালেহ মোহাম্মদ আলী।
সংবাদ সম্মেলনে পার্থ বড়ুয়া বলেন, বাংলাদেশের রক সংগীতের অগ্রদূত হিসেবে সোলস কেবল দেশের সংগীতধারাকে একটি রূপ দিয়েছে-তা নয়, বরং প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই ব্যান্ড সংগীতশিল্পী ও সংগীতপ্রেমীদের অনুপ্রেরণা জুগিয়ে এসেছে। ক্লাসিক গান থেকে শুরু করে আধুনিক মাস্টারপিস-তাদের সংগীত আজও কোটি হৃদয়ে গেঁথে রয়েছে। ২ মে রাতটি হবে সংগীত, স্মৃতি আর আবেগে ভরা এক হৃদয়ছোঁয়া অভিজ্ঞতা।
যারা সোলস-এর গান শুনে বড় হয়েছেন এবং এখনো এই জাদুকরী সংগীত আবিষ্কার করছেন, সেইসব প্রজন্মের প্রতি এই ঐতিহাসিক সন্ধ্যা উৎসর্গ করা হচ্ছে। মাস্টারকার্ড-এর সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠান কেবল ব্যান্ডটির উদযাপন নয়, বরং চট্টগ্রামের প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং বাংলাদেশের সংগীতজগতের জন্য এক গর্বিত উদযাপন বলেও উল্লেখ করেন আয়োজকরা।

প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়, তরুণী গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রেমের অভিনয় করে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে আব্দুল্লাহ আল কাফি নামে এক যুবকের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া ও প্রতিনিয়িত ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে সানজিদা তাবাসুম স্বর্ণা (২৬) নামের এক তরুণীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরের দিকে বরগুনার পাথরঘাটা থানা এলাকা থেকে র্যাবের সহায়তায় স্থানীয় থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে ১০ এপ্রিল কাফি ওই তরুণীর প্রতারণার দায়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্বিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
বর্তমানে গ্রেপ্তার তরুণী পাথরঘাটা থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে এবং সিদ্বিরগঞ্জ থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান থানার এসআই মো. ওসমান।
তিনি জানান, সিদ্বিরগঞ্জ থানার এক মামলায় তাকে র্যাবের সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসলে তার কাছে হস্তান্তর করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, স্বর্ণা রাজধানীর একটি ডেন্টাল কলেজে পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন।
মামলার বাদী ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত তরুণী স্বর্ণার বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায়। তিনি রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় বসবাস করেন। অন্যদিকে, বাদী কাফি একজন চাকরিজীবী।
প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর পর স্বর্ণার কথামতো কাফি তাকে নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতেন। সে সময় কৌশলে স্বর্ণা তাদের দুজনের ঘনিষ্ঠ মুহুর্তের ছবি তুলে রাখতেন। এক পর্যায়ে বিভিন্ন অজুহাতে কাফির কাছে স্বর্ণা ধারের কথা বলে টাকা চাইতেন এবং কাফি সরল বিশ্বাসে টাকা দিতেন।
মামলার বাদী কাফি জানান, বিভিন্ন সময় স্বর্ণাকে দেওয়া টাকা একটা সময় ফেরত চাইতে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উল্টো তাকে নগদ ২০ লাখ টাকা না দিলে তার কাছে ধারণকৃত ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবেন বলে হুমকি দেন।
কাফি কালের কণ্ঠকে বলেন, স্বর্ণা একজন ঠক ও প্রতারক। তিনি শুধু আমার সঙ্গে নয়, আরো বিভিন্ন পেশার ছেলেদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তার সাথে প্রতারণার কাজে আরো দুই-তিনজন জড়িত। তার মা নিজেও বিষয়টি জানেন এবং তার বিকাশ নম্বরেই যেত প্রতারণার টাকা। ভুক্তভোগী নানা ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না। আমিও বর্তমানে তার (স্বর্ণা) হুমকির কারণে নিরাপত্তাহীনতায় আছি। শুনেছি পুলিশ ও র্যাব তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিদ্বিরগঞ্জ থানার ওসি শাহিনূর আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘একটি মামলায় তরুণী স্বর্ণাকে পাথরঘাটা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেখান থেকে তাকে আনার প্রক্রিয়া চলছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। আরো বিস্তারিত গ্রেপ্তারকৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তদন্ত সাপেক্ষ জানা যাবে।’

না বলে আম পাড়ায় শিশুকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ
রাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর পাংশায় না বলে গাছ থেকে আম পাড়ার অভিযোগে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ১০ বছরের এক শিশুকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) জেলার পাংশা পৌর শহরের মৌকুরি মোল্লাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বুধবার (১৬ এপ্রিল) পাংশা মডেল থানার একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই শিশুর বাবা মো. রবিউল ইসলাম।
অভিযুক্ত হলেন, মৌকুরি মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত হবিবর সরদারের ছেলে শামীম সরদার (৪৫)।
নির্যাতনের শিকার ওই শিশুর নাম রাব্বি ওরফে রাফি (১০)। রাফি মৌকুরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। তিনি পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকালে আমার ছেলে বন্ধুদের সাথে খেলার ফাঁকে প্রতিবেশী শামীম সরদারের আম গাছ থেকে আম পাড়ে।
পরে স্থানীয়রা সেখান থেকে আমার ছেলেকে উদ্ধার করে আনে। আমার ছেলে অসুস্থ হওয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শামীম সরদারের বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি।
পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সরিষাবাড়ীতে সাবরেজিস্ট্রি অফিসে দুদকের অভিযান
সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি

জমির দলিল রেজিস্ট্রেশনে ঘুষ, দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের অভিযোগে জামালপুরের সরিষাবাড়ী সাবরেজিস্ট্রি অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের ৩ সদস্যের একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে।
দুদক জানায়, সরিষাবাড়ী উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়ে দলিল রেজিস্ট্রেশন, তল্লাশি, নকল উত্তোলনসহ অন্যান্য কাজে সেবা প্রত্যাশীদের হয়রানি, ঘুষ দাবিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, জামালপুর জেলা কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট দল অভিযান চালিয়েছে। এ সময় তারা সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়ে গিয়ে সেবাপ্রার্থী, দলিল লেখক, সাবরেজিস্ট্রার ও অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করেছেন।
পরে তারা সেখান থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ করেন। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট দল দুদক কমিশনে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানিয়েছে দুদক।
উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার মহসিন উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সারা দেশে ৩৫ টি সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়ে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান চালায়। তারই ধারাবাহিকতায় সরিষাবাড়ী সাবরেজিস্ট্রি অফিসেও এ অভিযান চালানো হয়।
জামালপুর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমম্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক জিহাদুল ইসলাম বলেন, ‘জমির দলিল রেজিস্ট্রেশন করতে সেবাপ্রার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিসে অভিযান চালানো হয়।