হিলি স্থলবন্দরে ৮ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ৪৪ কোটি টাকা

হিলি (দিনাজপুর) সংবাদদাতা
হিলি (দিনাজপুর) সংবাদদাতা
শেয়ার
হিলি স্থলবন্দরে ৮ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ৪৪ কোটি টাকা
সংগৃহীত ছবি

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর। এই বন্দরে নতুন অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ৪৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা। কয়েক বছর ধরেই রাজস্ব ঘাটতিতে থাকছে বন্দরটি বলে জানান কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। 

এবারও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে রাজস্ব ঘাটতিতে পড়েছে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষ।

অর্থ বছরের প্রথম ৮ মাসে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৮২ কোটি ১৫ লাখ টাকা যার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৪৩৮ কোটি টাকা। ফলে ৪৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা রাজস্ব ঘাটতিতে রয়েছে হিলি কাস্টমস শুল্ক স্টেশন।

কম শুল্কযুক্ত ও শুল্কমুক্ত পণ্য বেশি আমদানি হওয়ায় রাজস্ব ঘাটতিতে প্রভাব পড়েছে বলে দাবি কাস্টমস কর্তৃপক্ষের। তবে বন্দর এলাকার রাস্তাঘাটের বেহাল দশা ও কাস্টমসের অসহযোগিতাকে দায়ী করছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা।

হিলি কাস্টমস শুল্ক স্টেশনের তথ্য মতে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) হিলি শুল্ক স্টেশন থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে ৭৪০ কোটি টাকা। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৫ কোটি ৯ লাখ টাকা; বিপরীতে এসেছে ৪৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

আগস্ট মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা; বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৪৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা; বিপরীতে এসেছে ৫৫ কোটি আট লাখ টাকা।

অক্টোবরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা; বিপরীতে আদায় হয়েছে ৭৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। নভেম্বরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা; বিপরীতে এসেছে ৪৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা। ডিসেম্বরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৯ কোটি ২১ লাখ টাকা বিপরীতে এসেছে ৫৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।

জানুয়ারিতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। যার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৪৯ কোটি ৩১ লাখা টাকা আর ফেব্রুয়ারিতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫১ কোটি ৬১ লাখ টাকা যার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৭০ কোটি ২ লাখ টাকা।

এতে অর্থ বছরের প্রথম ৮ মাসে বন্দরে রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে ৪৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা 

বন্দরের আমদানিকারক মো. নাজমুল হক বলেন, রাজস্ব ঘাটতির মূল কারণ হলো বন্দরের রাস্তা ঘাটের বেহাল দশা। দীর্ঘদিন থেকে বন্দরের ফোরলেন রাস্তার কাজ জমি অধিগ্রহণ জটিলতার কারণ দেখিয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে বন্দরের চারমাথা মোড় থেকে মহিলা কলেজ পর্যন্ত মেইন সড়কের বেহাল অবস্থা। বর্ষাকালে রাস্তার বেহাল দশার কারণে ট্রাকের ড্রাইভার একবার হিলি আসলে আর দ্বিতীয় বার আসতে চায় না।

আবার এই বন্দর দিয়ে যেসব পণ্য আমদানি হয় যেমন চাল-ডাল, খৈল, ভুসি, ভুট্টা ও পেঁয়াজসহ অধিকাংশই শুল্কমুক্ত। সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় চাল। এতে যে শুল্ক ছিল সরকার সেটি প্রত্যাহার করেছে। এ কারণে রাজস্ব আহরণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না। আরেকটি কারণ হলো আগে প্রচুর পরিমাণ ফল আমদানি হতো। কিন্তু সরকার ট্রাকের চাকা অনুযায়ী শুল্কায়নের প্রথা চালু রাখায় এই বন্দর দিয়ে ফল আমদানি বন্ধ আছে। এটি যদি উন্মুক্ত করে দিতো অর্থাৎ যে যতটুকু পণ্য আমদানি করবে, সেই পরিমাণ পণ্যের শুল্ক দেবে তাহলে প্রচুর পরিমাণ ফল আমদানি হতো।

তিনি আরো বলেন, পাশাপাশি অধিক শুল্কযুক্ত পণ্য আমদানির ক্ষেত্রেও এখানে বৈষম্য আছে। বেনাপোলে যে পণ্য সাড়ে তিন ডলারে শুল্কায়ন করা হচ্ছে একই পণ্য হিলি বন্দরে পাঁচ ডলারে শুল্কায়ন করা হয়। ফলে আমদানিকারকরা এই বন্দর দিয়ে অধিক শুল্কযুক্ত পণ্য আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন। এসব জটিলতা কাটলে অধিক শুল্কযুক্ত পণ্য আমদানি বাড়বে, সেইসঙ্গে রাজস্বও বাড়বে। এসব জটিলতা কাটলে অধিক শুল্কযুক্ত পণ্য আমদানি বাড়বে, সেইসঙ্গে রাজস্বও বাড়বে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন বলেন, যেসব পণ্যের ওপরে রাজস্ব বেশি সেগুলো হিলি দিয়ে আমদানি হয় না। কারণ কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এইচএস কোড ও শুল্ক নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করে। ফলে ওসব পণ্য বেনাপোল দিয়ে আমদানি হয়। ফলে সরকারের রাজস্ব আহরণের যে লক্ষ্যমাত্রা সেটিতে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আমরা চাই এসব জটিলতা দ্রুত কাটুক এবং হিলি কাস্টমসের রাজস্ব আয় আরো বাড়ুক। 

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা শফিউল ইসলাম বলেন, এই শুল্ক স্টেশন দিয়ে কম শুল্কযুক্ত ও শুল্কমুক্ত পণ্য বেশি আমদানি হবার কারণে রাজস্ব আদায়ে কিছু ঘাটতি রয়েছে। তবে অর্থ বছরের যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সেটি বাস্তবায়ন সম্ভব। কারণ গত ফেব্রুয়ারি মাসে লক্ষ্যমাত্রার থেকে বেশি রাজস্ব এসেছে বেশি শুল্কযুক্ত পণ্য আমদানির কারণে। বিশেষ করে জিরা, এলাচ সহ মসলা পণ্যের আমদানি বাড়লে রাজস্ব ঘাটতি হবে না বলে আশা করেন তিনি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

খুলনায় ফাঁকা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ, সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র মহড়া

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
খুলনায় ফাঁকা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ, সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র মহড়া
সংগৃহীত ছবি

রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশের টহল। ঈদের কেনাকাটা তখনো চলছে। বরাবরের ন্যায় নগরীর সাত রাস্তার মোড়ে আছে মানুষের জটলাও। এমন এক ব্যস্ততম নগরীতে রাত পৌনে ১১টার দিকে ঘটে গেল সন্ত্রাসীদের মহড়া।

কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ৮/১০টি মোটরসাইকেলযোগে আসা অস্ত্রধারীরা সাত রাস্তা মোড়ের বিএমএ ভবনের সামনে এসে মোটরসাইকেলগুলো থামিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পিটিআই মোড়ের দিকে চলে যায়।

এ ছাড়া একটি ককটেলও বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। আচমকা এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। ঘটনাটি শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতের।

 

ঘটনাস্থল থেকে পিস্তলের তিনটি গুলির খোসা উদ্ধার করে পুলিশ। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ফাঁকা গুলি ছুড়ে অস্ত্রধারীরা তাৎক্ষণিক কয়েকটি গুলির খোসা কুড়িয়ে নিয়ে যায়। 

খবর পেয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির, খুলনা থানার ওসি হাওলাদার সানোয়ার হোসেন মাসুমসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কিন্তু এ ঘটনা কেন বা কারা ঘটিয়েছে সেটি জানাতে পারেনি পুলিশ।

 

খুলনা সদর থানার ওসি হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম কালের কণ্ঠকে বলেন, ঈদকে সামনে রেখে এমনিতেই নগরীর প্রতিটি মোড়ে পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। তবে ফাঁকা গুলি ও ককটেল হামলার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

মন্তব্য
কুমিল্লায় ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু

সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ায় কুমিল্লার চার সাংবাদিককে মারধর, ফাঁকা গুলি

কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি
কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি
শেয়ার
সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ায় কুমিল্লার চার সাংবাদিককে মারধর, ফাঁকা গুলি
ছবি: কালের কণ্ঠ

কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ‘ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু’র সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ায় মেডিক্যালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা চার সাংবাদিককে মারধর ও একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে বলে জানা গেছে। 

এদিকে  ঘটনার পর কুমিল্লায় কর্মরত সব সাংবাদিকরা কুমেকের জরুরি বিভাগের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এবং ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। এই ঘটনার প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও পূবালী চত্বরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে কুমিল্লায় কর্মরর্ত সাংবাদিকরা।

আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন বলে জানায় সাংবাদিক নেতারা।  

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত পৌনে ১১টার দিকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৭ম তলায় এ ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে সাংবাদিকদের উদ্ধার করে। 

আহত সাংবাদিকরা হলেন- যমুনা টিভির কুমিল্লা ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী খোকন, চ্যানেল ২৪ কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি মো. জাহিদুর রহমান, যমুনা টিভি ক্যামেরাপার্সন জিহাদুল ইসলাম সাকিব ও ইরফান।

 

ভুল চিকিৎসায় নিহত পারুলের স্বজন সাইফুল মাহিন জানান, আমার খালা ৭ম তলার একটি ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। পরে ওই ওয়ার্ডের কর্তব্যরত  চিকিৎসক একজনের অন্য আরেকজনের ইনজেকশন  আমার খালাকে পুশ করে পরে দুই মিনিটের মধ্যে আমার খালা মারা যায়। এই খবর পেয়ে সাংবাদিক এলে ওয়ার্ডের চিকিৎসক ও বাহির থেকে আসা মেডিক্যালের ছাত্র ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাদের মারধর করে একটি রুমে আটকে রাখে। তাদের হাতে ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প, লাঠি ও পাইপ ছিল।

 

আহত যুমনা সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগের স্ত্রী ওয়ার্ডে ভুল ইনজেকশন ব্যবহার করার কারণে কুমিল্লা নগরীর ধর্মপুর এলাকার পারুল নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়। ‘ভুল চিকিৎসায় ‘ ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগে যমুনা টেলিভিশন ও চ্যানেল ২৪-এর সাংবাদিকরা যান। এ সময় ভবনের চারতলায় উঠলেই ইন্টার্ন চিকিৎসকরা সংবাদ সংগ্রহ করতে বাধা দেন। 

একপর্যায়ে তারা বহিরাগত আরো ছাত্র ও চিকিৎসককে খবর দেন। তারা এসে আমাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায় এবং দুটি ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, ট্রাইপড ও চারটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে এবং আমাদেরকে একটি রুমে আটকে রাখে।

এ ঘটনার পর হাসপাতালের ভেতরে আরো উত্তেজনা সৃষ্টি হলে যৌথবাহিনী পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। 

যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সন জিহাদুল ইসলাম সাকিব জানান, আমরা ‘ভুল চিকিৎসা’য় রোগীর মৃত্যু হয়েছে এমন খবর পেয়ে সেখানে যাই। যাওয়ার পথেই আমাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায় কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসক। তাদের সবার হাতে স্ট্যাম্প, লাঠি ও পাইপ ছিল। তারা থেমে থেমে কয়েক দফায় হামলা চালায়। 

এ ব্যাপারে জানতে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ডা. মাসুদুর রহমান একাধিক কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

মন্তব্য

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

নিজস্ব প্রতি‌বেদক, সি‌লেট
নিজস্ব প্রতি‌বেদক, সি‌লেট
শেয়ার
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
ছবি: কালের কণ্ঠ

আওয়ামী লীগের বিচার না হওয়া পর্যন্ত দল‌টি কোনো রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না মন্তব্য করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক এহতেশাম হক বলেছেন, ‘যে আওয়ামী লীগের হাতে আমার হাজারো ভাইয়ের রক্ত লেগে আছে সে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার মানুষ দেখতে চায় না।

শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে সিলেট নগরের বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

‘গণহত্যায় সরাসরি জড়িত আওয়ামী লীগকে নতুন মোড়কে ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টার প্রতিবাদে ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে’ দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

মন্তব্য

লক্ষ্মীপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
লক্ষ্মীপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০
ছবি: কালের কণ্ঠ

ফেসবুকে মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিএনপির দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। উপজেলার হায়দারগঞ্জ বাজার এলাকায় শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে হায়দারগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন।

এ ঘটনার পর হায়দারগঞ্জ বাজার এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

সেনাবাহিনী ও পুলিশ টহল দিচ্ছে। যেকোনো সময় ফের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।

আহতরা হলেন- লিটন হাওলাদার, হোসেন মাতাব্বর, কাশেম বেপারী, মোস্তফা, মো. হেলাল, মো. কাউছার, ইসারুল্লা, মুর্তজা মাহি, জয়নালসহ ১০ জন। তাদের  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য দেওয়া হয়েছে।

তাদের মাথা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রয়েছে। 

স্থানীয় বিএনপির ৩ নেতা জানায়, ফেসবুকে একটি পোস্টে মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে উত্তর চর আবাবিল ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল বাছেদ হাওলাদার ও যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সর্দারের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর জের ধরে ঘটনার সময় দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সর্দার বলেন, বিএনপির লোকজন সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ এবং মাদকের বিরুদ্ধে মিছিল বের করে।

কিন্তু বাছেদ হাওলাদারের লোকজন বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ওই মিছিলে হামলা করে। এতে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। হামলায় আমাদের ৬-৭ জন আহত হয়।

তিনি বলেন, হাওলাদার পরিবার (বিএনপি নেতা বাছেদ হাওলাদার) আওয়ামী লীগের সময়ও সুবিধা নিতেন, এখন বিএনপির সময়ও সুবিধা নিচ্ছে- এ ধরনের একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে আমাদের লোকজনের ওপর এ হামলা করেছে।

এ বিষয়ে বিএনপি নেতা আবুল বাছেদ হাওলাদারের বক্তব্য জানা যায়নি।

তবে তার ছেলে লিটন হাওলাদার বলেন, আমার বাবার নামে মামুন ফেসবুকে কয়েকটি কমেন্ট করে। এর প্রতিবাদে লোকজন মিছিল করতে গেলে অতর্কিত হামলা করে আমাদের লোকজনকে জখম করে।

রায়পুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব নাজমুল ইসলাম মিঠু বলেন, হাওলাদার ও সরদার পরিবারের দীর্ঘদিনের বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। বিএনপির দলীয় বিরোধে ঘটেনি।

হায়দারগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) আবুল কালাম আজাদ বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাজারে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ