কুমিল্লায় এনজিওকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি

কুমিল্লা, প্রতিনিধি
কুমিল্লা, প্রতিনিধি
শেয়ার
কুমিল্লায় এনজিওকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি
সংগৃহীত ছবি

কুমিল্লার চান্দিনায় একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার দুই এনজিওকর্মীকে নির্যাতনের ঘটনায় বুধবার (১৯ মার্চ) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশে কর্মরত প্রায় তিন শতাধিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, যুব প্ল্যাটফর্ম, নারী আন্দোলন, পরিবেশবাদী সংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন, সামাজিক উদ্যোক্তা এবং গবেষকদের ঐক্যজোট সিএসও অ্যালায়েন্স। গতকাল মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) এ ঘটনা ঘটে।

আরো পড়ুন
রোজায় পেটে গ্যাস হলে কী করবেন

রোজায় পেটে গ্যাস হলে কী করবেন

 

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, তাদের জোর করে তুলে নিয়ে পুরুষ কর্মীকে গাছে বেঁধে বিদ্যুতের শক দেয়। আর নারী কর্মীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে।

সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরিবার থেকে টাকা আদায় করে।

সিএসও অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে বিবৃতিদাতারা হলেন রাশেদা কে চৌধুরী, ড. ইফতেখারুজ্জামান, শাহিন আনাম, মালেকা বেগম, আসিফ সালেহ, ফারাহ্ কবির, মনসুর আহমদ চৌধুরী, নোমান খান, খায়রুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, সালমা মাহবুব, কেএএম মোর্শেদ, সাঈদ আহমেদ প্রমুখ।

আরো পড়ুন
সমালোচনার মুখে হানিয়া আমির

সমালোচনার মুখে হানিয়া আমির

 

গণমাধ্যম সূত্রে প্রাপ্ত খবরে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতিদাতারা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ওই কর্মীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনার পরেও অপরাধীদের আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এতবড় একটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাকে খাটো করে দেখার বা উপস্থাপনের চেষ্টা ভিকটিমদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে এবং সুরক্ষাকে শুধু হুমকির মুখেই ফেলবেনা বরং স্বাধীনতার পর পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে এদেশের কোটি কোটি সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক ও সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখা লক্ষ লক্ষ এনজিওকর্মীর অবদানকে অগ্রাহ্য করার সামিল।

এই ঘটনায় সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মাঠে ময়দানে কাজ করা সকল এনজিওকর্মীর জন্য নিরাপত্তার হুমকি সৃষ্টি হওয়ায় আমরা মর্মাহত, ক্ষুব্ধ। আমরা বিশ্বাস করি এদেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখা পৃথিবীব্যাপী সমাদৃত এনজিও কার্যক্রম ব্যহত হলে আমাদের অর্থনীতির চাকা মন্থর হবে।

কুমিল্লার চান্দিনার ঘটনায় সিএসও অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে–

১. দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

২. ভুক্তভোগীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কিংবা নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ সৃষ্টি করে পুলিশি অভিযোগ দায়েরে যেকোনো গাফিলতি বা তথ্য গোপন করার চেষ্টার তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করতে হবে।

৩. গ্রামীণ ও ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে কাজ করা উন্নয়নকর্মীদের জন্য যথাযথ আইনি সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

৪. উন্নয়নকর্মীরা যেকোন সেক্টরের মতো এদেশের উন্নয়ন অংশীদার। তাঁরা যেন সহিংসতা বা হয়রানির ভয় ছাড়াই মাঠে ময়দানে দায়িত্ব পালন করতে পারেন, তা রাষ্ট্রকেই নিশ্চিত করতে হবে।

৫. নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার মামলাগুলো কঠোরভাবে নথিভুক্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া বাধ্যতামূলক করতে হবে। এ ব্যাপারে অন্তবর্তী সরকারের গৃহীত সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলো যথাযথ বাস্তবায়ন ও মনিটরিং করতে হবে।

সবশেষে, নারী এনজিওকর্মীকে নগ্ন করে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিকে জঘন্য নারী নির্যাতন ও সহিংসতার অভিযোগ হিসেবে বিবেচনা করে বিবৃতিদাতাগণ তদনুসারে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

৬তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে কিশোরীর মৃত্যু

বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
শেয়ার
৬তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে কিশোরীর মৃত্যু
সংগৃহীত ছবি

বরিশালের বানারীপাড়ায় ৬ তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মৌ (১৪) নামের এক কিশোরী মারা গেছেন। তিনি ওই ভবনের ৫ম তলার নুরে জান্নাত নুরানী হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী। শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে বানারীপাড়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
 
রোজাদার মৌ ওই ভবনের ছাদ থেকে প্রথমে একতলা টিনের চালা ঘরের উপর পড়ে এবং সেখান থেকে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয়।

তাকে উদ্ধার করে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় বিকাল ৪টার দিকে তিনি মারা যান। 

আরো পড়ুন
ছিনতাইয়ের সময় আটক যুবককে গণপিটুনি দিয়ে বুড়িগঙ্গায় নিক্ষেপ, অতঃপর...

ছিনতাইয়ের সময় আটক যুবককে গণপিটুনি দিয়ে বুড়িগঙ্গায় নিক্ষেপ, অতঃপর...

 

মৌ ওই সময় ভবনের রেলিংঘেরা ছাদে কেন গিয়েছিল এবং সেখান থেকে কিভাবে নিচে পড়ে গেল তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না। তবে কেউ কেউ ধারণা করছেন কাপড় শুকাতে দিতে তিনি ছাদে গিয়েছিল।

তবে রেলিংঘেরা ছাদ থেকে তার নিচে পড়ে যাওয়া নিয়ে ‘রহস্যের’ সৃষ্টি হয়েছে। মৌ বানারীপাড়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবউদ্দিন মহুরীর মেয়ের ঘরের নাতনি ও উজিরপুর পৌর শহরের বাসিন্দা মো. শাহিনের মেয়ে।

মৌর এ মর্মান্তিক মৃত্যুতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারে বইছে শোকের মাতম।

এ দিকে ময়নাতদন্ত ছাড়া তার মরদেহ দাফনের জন্য বরিশাল জেলা প্রশাসকের অনুমতির প্রক্রিয়া চলছে।

মন্তব্য

মহেশখালী দ্বীপে অস্ত্রের মহড়া, এলাকাজুড়ে আতঙ্ক

বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
শেয়ার
মহেশখালী দ্বীপে অস্ত্রের মহড়া, এলাকাজুড়ে আতঙ্ক
সংগৃহীত ছবি

কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ওই ছবিতে কয়েকজনকে অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে মহড়া দিতে দেখা যায়। তবে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মহড়ায় ছিলেন ২০ থেকে ২৫ জন।

অস্ত্রের মহড়ার পর থেকে ওই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ঝাপুয়া বাজার এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

বাজার এলাকার মিজবাহ স মিল নামক স্থানে চারজন অস্ত্রধারীর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। 
এ ঘটনায় স্থানীয়রা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।

তবে অভিযুক্তদের নাম-পরিচয় নিয়ে মুখ খুলছেন না কেউ।

ঝাপুয়া বাজার এলাকার কয়েকটি দোকানের সিসি ক্যামেরায়ও অস্ত্রের মহড়ার ছবি ধরা পড়েছে। দোকানিসহ স্থানীয়রাও কালের কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তারা জানান, আকস্মিকভাবে সিএনজিচালিত ৩-৪টি ট্যাক্সি নিয়ে অস্ত্রধারীরা বাজারে আসেন।

এটি দেখে সবাই হতবাক হয়ে পড়েন।

এ বিষয়ে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইছার হামিদ জানান, ছবিটি বৃহস্পতিবারের। সেটি দ্বীপের ঝাপুয়াবাজার এলাকার বলেও তিনি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ‘দ্বীপের অস্ত্রধারীদের ভাইরাল হওয়া ছবিটি নিয়ে যথারীতি কাজ করা হচ্ছে। সন্ত্রাসপ্রবণ এলাকা হচ্ছে কালারমারছড়া ইউনিয়ন।

সেখানে খুন-খারাবি ও অস্ত্রবাজি যেন সাধারণ ঘটনা। তবুও বেশ কয়েকমাস ধরে অনেক কৌশলে এলাকাটি কিছুটা শান্ত রেখেছিলাম।’

মন্তব্য

ব্রিজের পাশের ডোবায় পড়েছিল শিশুর লাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
শেয়ার
ব্রিজের পাশের ডোবায় পড়েছিল শিশুর লাশ

সিলেটের কানাইঘাটে জারিফ আহমদ (৮) নামের এক শিশুর গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২১ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বড় চতুল ইউনিয়নের নয়াগ্রাম ব্রিজের পাশের ডোবা থেকে শিশুটির লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত জারিফ আহমদ সিলেটের জৈন্তাপুরের নিজপাট ইউনিয়নের সারীঘাট চৈলাখেল গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আউয়াল।

 

ওসি মো. আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘লাশটি গলিত। শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে কি না- এ অবস্থায় বোঝা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।’ 

ওসি আরো বলেন, ‘এটি হত্যাকাণ্ড কিনা, হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকলে এর কারণ ও অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ছিনতাইয়ের সময় আটক যুবককে গণপিটুনি দিয়ে বুড়িগঙ্গায় নিক্ষেপ, অতঃপর...

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
শেয়ার
ছিনতাইয়ের সময় আটক যুবককে গণপিটুনি দিয়ে বুড়িগঙ্গায় নিক্ষেপ, অতঃপর...
ফাইল ছবি

কেরানীগঞ্জে ছিনতাই করার সময় গণপিটুনি দিয়ে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেওয়ার পর হাসান মাঝি নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে বরিশুর নৌ-পুলিশ। 

নিহত হাসান বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানার সুলতানি গ্রামের মানিক মাঝির ছেলে। বর্তমানে কামরাঙ্গীরচর মুসলিম নগর কুরবান হাজির বাড়িতে বসবাস করত এবং পার্শ্ববর্তী একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতো।

শুক্রবার (২১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় জিনজিরা নামা বাড়ি এলাকায় নাদু ব্যাপারীর ঘাট থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

মরদেহ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ  হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, তিন যুবক ভোরবেলা বেরিবাধ এলাকায় ছিনতাই করার সময় স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে একজনকে ধরে ফেলে। পরে তাকে গণপিটুনি দিয়ে পানিতে ফেলে দেয়। দীর্ঘক্ষণ অচেতন অবস্থায় পানিতে পড়ে মারা গেছে।

আরো পড়ুন
সাভারে চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা

সাভারে চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা

 

বরিশুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোক্তার হোসেন জানান, নদীর পাড়ে পানির নিচে একটি হাত দেখা যাচ্ছে এমনটা দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করি। সুরতহালের সময় লাশের গায়ে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। গণপিটুনির একটা ঘটনার কথা শুনেছি তবে কেউ সাক্ষ্য দিতে রাজি হয়নি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ