ঢাকা, বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬

ছাগল খোঁয়াড়ে দেওয়ার জেরে সংঘর্ষ, অতঃপর...

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ছাগল খোঁয়াড়ে দেওয়ার জেরে সংঘর্ষ, অতঃপর...
জেলার মানচিত্র

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ছাগল খোঁয়াড়ে দেওয়ার জেরে সংঘর্ষে ৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদের রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) উপজেলার শালডাঙা ইউনিয়নের অমরখানা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, প্রথমে মরিচ খেত নষ্টের অভিযোগে ছাগল খোঁয়াড়ে দেওয়া এবং পরে খোঁয়াড়ে দেওয়ার জেরে মরিচ খেতের মালিক ও তার ভাইদের মারপিটের করার ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, একই এলাকার কৃষক লিপন ইসলাম, তার দুই ভাই স্বপন ইসলাম ও আব্দুর রাজ্জাক।

আরো পড়ুন
চানাচুর কিনে বাড়ি ফেরা হলো না শিশু আমেনার

চানাচুর কিনে বাড়ি ফেরা হলো না শিশু আমেনার

 

এ ঘটনায় শুক্রবার ভুক্তভোগীর ভাই লিটন ইসলাম বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে দেবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ রাতেই মামলার প্রধান আসামি রাব্বি হোসেনকে গ্রেপ্তা‌র করে।

রাব্বি শালডাঙা ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য।

রাব্বির দুই ভাই বাবলু ইসলাম ও জুয়েল রানাও একই মামলায় আসামি। তারা একই ইউনিয়নের অমরখানা গ্রামের নাছিরুল ইসলামের ছেলে।

মামলার নথি ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে লিপন ইসলামের মরিচ খেত খেয়ে নষ্ট করে রাব্বিদের ছাগল। খেত নষ্ট করার কারণে ২টি ছাগল খোঁয়াড়ে দিয়ে আসেন লিপন।

এতে ক্ষিপ্ত হন রাব্বিরা। তারা খোঁয়াড় থেকে ছাগল ছাড়িয়ে এনে পুনরায় বেশ কয়েকটি ছাগল লিপনের খেতে ছেড়ে দিয়ে ওঁৎ পেতে থাকেন। পরে লিপন পুনরায় ছাগল ধরতে গেলে তার ওপর আক্রমণ চালান রাব্বি ও তার লোকজন। এসময় লিপনের অন্য দুই ভাই ঘটনাস্থলে গেলে তারাও আক্রমণের শিকার হন।

গুরুতর আহত অবস্থায় লিপন ও তার দুই ভাইকে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

এছাড়া একই ঘটনায় রাব্বির দুই ভাই জুয়েল হক ও বাবলু হক আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তারাও বর্তমানে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

গ্রেপ্তার ইউপি সদস্য রাব্বির স্ত্রী সাবিনা আক্তার বলেন, ঘটনার সময় আমার স্বামী টেপ্রিগঞ্জ ইউনিয়নের বটতলী এলাকার খালেক ডাক্তারের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলেন। মারামারির ঘটনায় তিনি কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না। তাকে মিথ্যা অভিযোগে আটক করা হয়েছে। 

আরো পড়ুন
চানাচুর কিনে বাড়ি ফেরা হলো না শিশু আমেনার

চানাচুর কিনে বাড়ি ফেরা হলো না শিশু আমেনার

 

দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আবু নোমান বলেন, রোগীদের মাথায় একাধিক জখম ছিল, সেজন্য উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের রংপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোয়েল রানা বলেন, মারামারির ঘটনায় মামলা হয়েছে। প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তা‌র করে (শনিবার) আদালতে পাঠানো হয়েছে। কে জড়িত ছিল আর কে ছিলো না, তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহি বাস ধান ক্ষেতে, নারীর মৃত্যু

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
শেয়ার
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহি বাস ধান ক্ষেতে, নারীর মৃত্যু
সংগৃহীত ছবি

সাতক্ষীরায় একটি যাত্রীবাহি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধান ক্ষেতে পড়ে যায়। এ সময় রহিমা খাতুন নামে একজন নারী পথচারী গুরুতর আহত হয়। বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাতক্ষীরার সিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারী মারা যান। এর আগে সকাল ৬টার দিকে চালতেতলা মোড়ের আজগার আলীর দোকানের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রহিমা খাতুন সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চালতেতলা গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের স্ত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শী আশিকুর রহমান শান্ত জানান, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে যশোরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল বাসটি। সকাল ৬টার দিকে চালতেতলা মোড়ের আজগার আলীর দোকানের সামনে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি পার্শ্ববর্তী ধান খেতে পড়ে যায়। এ সময় বাসের ধাক্কায় পথচারী রহিমা খাতুন মারাত্মক আহত হয়।

তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরার সিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

আরো পড়ুন
জুয়ার আসর বন্ধ করায় এনসিপির ২ নেতার ওপর হামলা

জুয়ার আসর বন্ধ করায় এনসিপির ২ নেতার ওপর হামলা

 

নিহতের স্বামী নজরুল ইসলাম জানান, ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি মিললে রাত সাড়ে ৮টার পর পারিবারিক কবরস্থানে রহিমার লাশ দাফন করা হবে।

কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বাস দুর্ঘটনায় রহিমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মন্তব্য

কুয়েটের সাবেক ভিসি আলমগীরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
কুয়েটের সাবেক ভিসি আলমগীরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ফাইল ছবি

উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই আরও একটি আলোচিত ঘটনা ঘটলো। একদিকে বর্তমান ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের দাবিতে যখন সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক দফার আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তেমনি 

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আওয়ামী লীগ আমলের ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় বিগত আট বছর আগের একটি নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরা হয়। 

কুয়েটের লালন শাহ হলে ২০১৭ সালের পয়লা মে রাতে দুজন ছাত্রকে নির্যাতনের ফলে একজনের কিডনি নষ্ট হয় এবং অপরজনের চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

আদালতে মামলা দুটি দায়েরের পর খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের খানজাহান আলী থানায় রেকর্ড করা হয়েছে বলে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন নিশ্চিত করেছেন।

ওসি বলেন, কুয়েটের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন, প্রো-ভিসি ড. সোবহান মিয়া, কুয়েট ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ ঘোষিত) সাবেক সভাপতি সাফায়াত হোসেন নয়নসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। গত সোমবার (১৪ এপ্রিল) খানজাহান আলী থানায় মামলা দুটি নথিভুক্ত করা হয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন। 

মামলা দুটির বাদী কুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী লুৎফর রহমান ও মাহদী হাসান।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) মামলার নথিপত্র আদালতে পাঠানো হয়। মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সালের পয়লা মে রাতে কুয়েটের লালন শাহ হলের গেস্ট রুমে লুৎফর রহমান নামের এক শিক্ষার্থীকে রাতভর মারপিট করা হয়। এতে ওই শিক্ষার্থীর দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে যায়। একই রাতে মাহদী হাসান নামের ওপর শিক্ষার্থীকে মারপিট করা হয়।
এতে তার চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আরো পড়ুন
ভিসির পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, পাল্টা অবস্থানে শিক্ষকরা

ভিসির পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, পাল্টা অবস্থানে শিক্ষকরা

 

এ ঘটনার দীর্ঘ আট বছর পর চলতি বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগীরা খুলনা মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালত থানাকে মামলাটি গ্রহণের নির্দেশ দিলে সোমবার (১৪ এপ্রিল) মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়।

লুৎফর রহমানের মামলায় সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন, প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া, সাবেক রেজিস্ট্রার জি এম শহিদুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত হোসেন নয়ন, সাধারণ সম্পাদক আলী ইমতিয়াজ সোহান, ছাত্রলীগ কর্মী মো. আসাদুজ্জামান, লালন শাহ্ হলের তৎকালীন ছাত্রলীগ কর্মী ও পরবর্তী কুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্রনীল সিংহ শুভ, ছাত্রলীগ নেতা এইচ এম তানভীর রেজওয়ান সিদ্দিক, আল ইশমাম, রেশাদ রহমান, তারিকুল তিলক, পরিমল কুমার রায়, আলী ইবনুল সানি, তারিক আহমেদ শ্রাবন ও দৌলতপুর থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেনকে আসামি করা হয়।

আরো পড়ুন
বিদেশে বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ ৪ নেতার বৈঠক, যা বলছেন দল দুটির নেতারা

বিদেশে বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ ৪ নেতার বৈঠক, যা বলছেন দল দুটির নেতারা

 

এছাড়া মাহদী হাসানের মামলায়ও তৎকালীন ভিসি, প্রো-ভিসি, রেজিস্ট্রার, ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা আলী ইবনুল সানি, কুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান, বঙ্গবন্ধু হলের (বর্তমান নাম শহীদ স্মৃতি হল) ছাত্রলীগ কর্মী আবির স্বপ্নিল, তাশরিফ সালেহ রাহুল, ফয়সাল, মশারুর আলম কৌশিক, আসাদুজ্জামান রিয়ান, পরিমল কুমার রায়, তারিক আম্মেদ শ্রাবন, দৌলতপুর থানা শাখার সাবেক সভাপতি এস এম আনোয়ার হোসেনকে আসামি করা হয়।

মামলা দুটি রেকর্ড হওয়ার পর আদালতে কাগজপত্র পাঠানোর পর বিষয়টি প্রকাশ পায়। এখন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ওসি জানান।

মন্তব্য

জুয়ার আসর বন্ধ করায় এনসিপির ২ নেতার ওপর হামলা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জুয়ার আসর বন্ধ করায় এনসিপির ২ নেতার ওপর হামলা
সংগৃহীত ছবি

কক্সবাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সাবেক নেতা এবং বর্তমান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সংগঠক খালিদ বিন সাঈদ ও সাঈদ স্বাধীন সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে শহরের কলাতলীর হোটেল-মোটেল জোন এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

খালিদ ও স্বাধীন জানান, মাস দেড়েক আগে তারা রামুর চেইন্দা বসুন্ধরা এলাকায় একটি বাণিজ্য মেলায় চলমান জুয়ার আসর বন্ধ করেন।

তারা দাবি করেন, সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই মঙ্গলবার রাতে পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় লাইট হাউস এলাকার জামাল ও ফয়সাল নামে দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইলিয়াস খান বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য

যুবলীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিতে থানা ঘেরাও, অতঃপর...

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
শেয়ার
যুবলীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিতে থানা ঘেরাও, অতঃপর...
সংগৃহীত ছবি

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে মারপিট ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া স্থানীয় যুবলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতিকে থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে তার সমর্থকরা।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে তার সমর্থকরা রাণীশংকৈল থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আরশেদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হোসেনগাঁও ইউনিয়নের উত্তরগাঁওয়ের বাসিন্দা মমতাজ আলী বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলায় হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতিকে প্রধান আসামি করা হয়। এছাড়াও আরো দুই জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় মারপিট, শ্বাসরোধ করে হত্যাচেষ্টা এবং ছিনতাইয়ের মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।

আরো পড়ুন
রায় শুনে ‘অজ্ঞান হয়ে যান’ মালেকের স্ত্রী

রায় শুনে ‘অজ্ঞান হয়ে যান’ মালেকের স্ত্রী

 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মামলার পরপরই অভিযান চালিয়ে বুধবার ভোররাতে প্রধান অভিযুক্ত মতিউর রহমান মতিকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়।

মতির গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে তার অনুসারীরা বেলা বাড়ার সাথে সাথে থানার সামনে জড়ো হতে শুরু করে এবং এক পর্যায়ে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। তারা গ্রেপ্তারকৃত মতিউরকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাফিউল মাজলুবিন রহমান। তিনি মাইকে বিক্ষোভকারীদের শান্ত থাকার এবং অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানান।

তবে আওয়ামী সমর্থকরা তার আহ্বানে কর্ণপাত না করে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখে।

ইউএনও শাফিউল মাজলুবিন রহমান বলেন, ‘থানা ঘেরাওয়ের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমি সেখানে যাই। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে তাদের বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করি। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে বাধ্য হয়।’

ওসি আরশেদুল হক জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মৃদু লাঠিচার্জ করা হয়েছে।

বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত মতিউর রহমান মতিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ