ইসরাইলের বর্বর হামলায় পরিবার পরিজন হারানো ফিলিস্তিনের গাজার অভুক্ত ও অসহায় শতাধিক শিশু ও নারীকে উন্নত খাবার ও কিছু নগদ অর্থ প্রদান করে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লা ক্লাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সিলভার ডেভলপার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফারুক আহমেদ।
সম্প্রতি সশরীরে মিসরে গিয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ মানবিক কর্মযজ্ঞ চালিয়ে ইতিমধ্যেই সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছেন অধ্যাপক ফারুক আহমেদ।
শনিবার (১২ এপ্রিল) এ মানবিক কর্মযজ্ঞের বিষয়টি নিয়ে কালের কণ্ঠের মাল্টিমিডিয়াতেও অধ্যাপক ফারুক আহমেদের একটি সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়েছে।
জানা যায়, কুমিল্লা ক্লাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সিলভার ডেভলাপার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফারুক আহমেদ সম্প্রতি তার ব্যক্তিগত কাজে ফিলিস্তিন ও মিসরে যান।
সেসময় তিনি গাজায় বর্বর ইসরায়েলিদের নৃশংস হত্যাকাণ্ড এবং নারকীয় তাণ্ডব ও হামলার দৃশ্য সচক্ষে অবলোকন করে রীতিমত হতচকিত হয়ে যান।
পরে ইসরাইলের নারকীয় বোমা হামলায় গাজার স্বজন হারানো অসহায়, অভুক্ত শতাধিক নারী ও শিশুর পাশে ব্যক্তিগত উদ্যোগে খাবার ও সামর্থ অনুযায়ী অর্থ নিয়ে পাশে দাঁড়ান এই ফারুক আহমেদ।
এসময় তিনি মিসরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি তিন ছাত্রের। সার্বিক সহযোগিতায় মিসরের একটি অভিজাত হোটেলে বাড়িঘর ও পরিবার পরিজন হারা ওইসব শিশু ও নারীদেরকে তিনি নিয়ে আসেন।
সেখানে তাদের সকলের জন্য উন্নত রাতের খাবারের ব্যবস্থা করেন। খাবার শেষে ফারুক আহমেদ অসহায় ওইসব নারী ও শিশুদের হাতে তার সামর্থ অনুয়ায়ী নগদ অর্থও তুলে দেন।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দেশে ফিরে কুমিল্লা ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে অধ্যাপক ফারুক আহমেদ তার এ মানবিক সেবাদানের বিষয়টি তুলে ধরে তাদেরকেও গাজাবাসীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সবার প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
এসময় কুমিল্লা ক্লাবের জেনারেল সেক্রেটারি আহমেদ শোয়েব সোহেল ও দৈনিক কালের কণ্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আঞ্চলিক প্রতিনিধি গৌরাঙ্গ দেব নাথ অপুসহ কুমিল্লা ক্লাবের নেতৃবৃন্দ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে কুমিল্লা ক্লাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ফারুক আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি হলফ করে বলতে পারি, বিবেকবান কোন সুস্থ মানুষ বর্বর ইসরাইলের প্রায় প্রতিদিনের নারকীয় হামলায় পরিবার পরিজন হারা একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়া গাজাবাসীদের দুর্দশা স্বচক্ষে দেখলে কোনো মানুষ সুস্থ থাকতে পারবেন না। তাই আমি বিত্তবান ও হৃদয়বান বাংলাদেশিদেরকে সামর্থ অনুযায়ী ফিলিস্তিনের পাশে এখনই দাঁড়ানোর উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।’
এসময় কুমিল্লা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ শোয়েব সোহেল তার সহকর্মী, ক্লাবটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ফারুক আহমেদের এমন মানবিক কর্মযজ্ঞের ভূয়সী প্রশংসা করে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এটি নিঃসন্দেহে একটি বৃহৎ মানবিক কাজ। বিশেষ করে মিসরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আমাদের বাংলাদেশি তিন ছাত্রের সহযোগিতায় ফারুক ভাই তাঁর ব্যক্তিগত অর্থায়নে সেখানকার বাবা মা হারা শতাধিক শিশু ও স্বামী হারা নারীদের জন্য যেই প্রশংসনীয় কাজটুকু করে এসেছেন সেটি সত্যিই অনুকরণীয়।’
তিনি আরো বলেন, একদিনের জন্য হলেও অভুক্ত অসহায় শিশু ও নারীদের উন্নত খাবারের ব্যবস্থাসহ কিছু নগদ অর্থও তাদের হাতে তুলে দিয়ে একজন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে গোটা দুনিয়ায় তিনি এসময়ে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এসেছেন।
সেজন্য ফারুক ভাইকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।’