পিরোজপুরে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২

‎পিরোজপুর প্রতিনিধি
‎পিরোজপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
পিরোজপুরে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২
প্রতীকী ছবি

পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. হানিফ খানকে (৪৫) গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। 

শনিবার (৫ এপ্রিল) গভীর রাতে সদর উপজেলার কদমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রবিবার (৬ এপ্রিল) পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মিঠুন কুমার দাস বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. হানিফ খানের স্ত্রী মোসা. নাসিমা আক্তার (৪০) ও সদর উপজেলার পান্তাডুবি গ্রামের আক্কাছ আলী শেখের ছেলে নুরুজ্জামান শেখ (৩৫)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৫ এপ্রিল) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে পিরোজপুর সদর উপজেলার টোনা ইউনিয়নের তেজদাসকাঠি গ্রামে একাধিক নাশকতা মামলার আসামি পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. হানিফ খান তার বসতঘরের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সদস্যদের নিয়ে নাশকতা করার জন্য গোপন বৈঠক করছে। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ হানিফ খানকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে ঘরের সদস্যদের দরজা খুলতে বললে আসামিরা উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের ওপর দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা করে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) মোজাম্মেল বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি কদমতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ খান আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সদস্যদের নিয়ে গোপন বৈঠক করছে। অভিযানে সত্যতা যাচাইয়ে ও আসামি হানিফ খানকে আটকের জন্য গেলে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সোবহান বলেন, আসামি গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

চকোলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে মায়ের কাছ থেকে শিশু চুরি

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
শেয়ার
চকোলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে মায়ের কাছ থেকে শিশু চুরি
শিশুটির মা ইতি আক্তার

চকোলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে ১১ বছরের এক শিশুকে মায়ের কাছ থেকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে ময়মনসিংহ শহরের গাঙ্গিনাপাড় এলাকার মার্কেটে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হলেও রবিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত শিশুটি উদ্ধার হয়নি।

জিডি সূত্রে জানা যায়, ১১ বছরের শিশু কন্যাকে নিয়ে শহরে গিয়ে কেনা কাটা করছিলেন মা ইতি আক্তার (৩৫)।

এ সময় এক যুবক চকলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে নিজের কাছে নিয়ে আর ফিরে আসেনি।

আরো পড়ুন
কেমন ধার্মিক শাহরুখ-সালমান-টাবু? জানালেন ফারাহ খান

কেমন ধার্মিক শাহরুখ-সালমান-টাবু? জানালেন ফারাহ খান

 

জানা গেছে, নান্দাইল উপজেলার গাঙাইল ইউনিয়নের পংকরহাটি গ্রামের মো. আল মামুনের স্ত্রী ইতি আক্তার (৩৫) গতকাল শনিবার ডাক্তার দেখাতে শহরের চরপাড়া এলাকায় অবস্থিত পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। সাথে ছিলেন বোন ও দুই সন্তান। এ সময় নিজের কিছু কেনাকাটা করতে শহরের গাঙিনাপাড় এলাকায় যান।

সেখানে পালিকা মার্কেটে প্রবেশ করে কেনাকাটা করা অবস্থায় তার পীর শ্বশুড়ের ভক্ত পরিচয়ে এক যুবক কোলে থাকা শিশু রাবিয়াকে নিজের কোলে নিয়ে আদর করতে থাকে। একপর্যায়ে চকলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে মার্কেট থেকে বের হয়ে যায়। পরে আর ফিরে আসেনি। ওই সময় পাগল প্রায় হয়ে অনেক সন্ধান করেও আর পাওয়া যায়নি শিশু রাবিয়াকে।
পরে কোতওয়ালি থানায় গিয়ে একটি সাধারন ডায়রি করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় চলে গেলেও এ রিপোর্ট (দুপুর একটা) পর্যন্ত শিশুটি উদ্ধার হয়নি।

এ খবর পেয়ে আজ রবিবার শিশুটির বাড়ি নান্দাইল উপজেলার পংকরহাটি গ্রামে গিয়ে জানা যায়, চুরি যাওয়া শিশুটি এলাকার সর্বজন পরিচিত শাহজাহান হুজুরের ছেলে আল মামুনের কন্যা রাবিয়া। শিশু চুরি হওয়ার পর থেকে মায়ের আহাজারি থামছে না। কোনো শান্তনাই মাকে থামাতে পারছে না।

‘আমার রাবিয়া কই, রাবিয়া কই, আইন্যা দেও’,- এই বলে চিৎকার করতে করতে বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন মা ইতি।

আরো পড়ুন
চকোলেটের লোভ দেখিয়ে অভিনেত্রীকে যৌন হেনস্তা করতেন চাচা

চকোলেটের লোভ দেখিয়ে অভিনেত্রীকে যৌন হেনস্তা করতেন চাচা

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ রবিবার সকাল  ৯টায় ও ১১ টার দিকে অজ্ঞাত নাম্বারে দুইটি ফোন আসে মায়ের নাম্বারে। বলা হয় তাঁর নাম বকুল, তিনি রাবিয়াকে নিয়ে গেছেন। এখন শিশু রাবিয়া ভালো আছে। এসে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধও করেন। এরপর ওই নাম্বারগুলিতে বারবার ফোন করলেও বন্ধ পাওয়া যায়।

শিশুটির বাবা মামুন জানান, তার বাবা একজন পীর। তার অনেক ভক্ত রয়েছে। তার মধ্যে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা দত্তপাড়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে বকুল মিয়াও (২৫) একজন ভক্ত। তিনি প্রায়ই তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন। সেই তার মেয়েকে নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এলাকার লোকজন জানায়, এই এলাকায় শাহজাহান হুজুরের নামে প্রতিবছর বড় ধরনের ওরস মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনেক ভক্তকূলের ওই সময় হজুরের পরিবারের সাথে পরিচয় ঘটে। এই পরিচয়ের সুত্র ধরেই বকুলের ওই পরিবারের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে। প্রায়ই বাড়িতে আসা যাওয়া করতো।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতওয়ালি থানার উপপরিদর্শক মো. আনোয়ার হাসেন বলেন, শিশুটি উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। যে কোনো সময় সুখবর পাওয়া যাবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

কৃষকের সাফল্য, ২১ কেজি বীজে ২২১ মণ ধান!

ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
শেয়ার
কৃষকের সাফল্য, ২১ কেজি বীজে ২২১ মণ ধান!
ছবি: কালের কণ্ঠ

চলতি বোরো মৌসুমে বাগেরহাটের ফকিরহাটে চার বিঘা জমিতে মাত্র ২১ কেজি বীজ লাগিয়ে ২২১ মণ ধান উৎপাদন করেছেন কৃষক মোস্তফা হাসান। যার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনিস্টিটিউটের সর্বশেষ ও সর্বাধুনিক জাত ব্রি-১০৮ ধান চাষে এ অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছেন তিনি। উপজেলায় প্রথমবারের মতো চাষ হয়েছে সোনালি বর্ণের এই ধান।

 

জানা গেছে, ইউটিউবের মাধ্যমে ধানের বীজ সম্পর্কে জানতে পারেন কৃষক মোস্তফা হাসান। পরে শেরপুর থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে ২১ কেজি বীজ ধান সংগ্রহ করেন। চার বিঘা জমিতে কিষান খরচ, জমি চাষ, সার, ওষুধ ও সেচ খরচ মিলে তার প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান তিনি। সার ব্যবস্থাপনা কম লাগায় ও বাজারে ভালো চাহিদা থাকায় অধিক লাভের আশা প্রকাশ করছেন।

 

ধান ইতোমধ্যে পেকে গেছে। এক শতক জমির ধান নমুনা কর্তনে ৪৫ কেজি ধান পেয়েছেন। মাঠ পর্যায়ে প্রতি মণ ধানের মূল্য ১ হাজার ৬শ টাকা। ২-১ দিনের মধ্যে বাকি ধান কর্তন করবেন বলে জানান মোস্তফা হাসান।

 

ইতোমধ্যে ফকিরহাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বীজের জন্য ২০ মন ধানের চাহিদার কথা জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শেখ সাখাওয়াত হোসেন। 

উপজেলার বাহিরদিয়া ব্লকে কৃষক মোস্তফা হাসানের ধান খেতে গিয়ে দেখা গেছে, আশে-পাশের অনেক কৃষক আগ্রহ নিয়ে ধান দেখতে এসেছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তাসহ কৃষি বিভাগের লোকজন কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন।

উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা নয়ন সেন বলেন, ‘সোনালি রঙের ব্রি-১০৮ জাতের ধানটি এই উপজেলায় প্রথম চাষ হয়েছে। সম্ভবত জেলায়ও প্রথম হবে।

এ ধানের চাল মাঝারি লম্বা ও চিকন। ভাত ঝরঝরে ও সুস্বাদু হওয়ায় উচ্চ মূল্যের জিরা ধানের বিকল্প হিসেবে উদ্ভাবন করা হয়েছে। একদিকে উৎপাদন খরচ কম, অন্যদিকে অধিক দামের কারণে ইতোমধ্যে ধানটির প্রতি ব্যাপক চাহিদার সৃষ্টি হয়েছে।’

কৃষক মোস্তফা হাসান জানান, ৪ বিঘা ৫ শতক জমিতে ব্রি-১০৮ ধান চাষের সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় তিন লাখ টাকা লাভ হবে। এ অঞ্চলে প্রথম চাষেই সাফল্য পাওয়ায় অনেক চাষি এটি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তাদের সহযোগিতা করতে চান তিনি। কৃষি বিভাগ থেকে নিয়মিত পরামর্শ ও কারিগরি সহযোগিতা পাচ্ছেন বলে জানান। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ব্রি-১০৮ হলো বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনিস্টিটিউটের আবিষ্কৃত সর্বাধুনিক জাতের ধান। এ ধানটি অন্যান্য জাতের তুলনায় বেশি উৎপাদন হয়। প্রতি গোছায় গড় কুশির সংখ্যা ১৬/১৭টি। দানার পুষ্টতা শতকরা ৮৮.৬ ভাগ। চালে প্রটিনের পরিমাণ ৮.৮ ভাগ যা অন্যান্য চালের তুলনায় বেশি স্বাস্থ্যসম্মত।’

উপজেলার অন্যান্য কৃষকদের মাঝে ধানটি ছড়িতে দিতে এই খেত থেকে সরকারিভাবে বীজ সংগ্রহের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন এই কৃষি কর্মকর্তা। 

মন্তব্য

চলন্ত মাইক্রোবাসে আগুন, প্রাণ বাঁচল পাঁচজনের

চলন্ত মাইক্রোবাসে আগুন
চলন্ত মাইক্রোবাসে আগুন
শেয়ার
চলন্ত মাইক্রোবাসে আগুন, প্রাণ বাঁচল পাঁচজনের
সংগৃহীত ছবি

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে একটি চলন্ত মাইক্রোবাসে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে কুমিল্লা থেকে ঢাকামুখী লেনের নিমসার বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

এ সময় চালকের দক্ষতার কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় মাইক্রোবাসে থাকা পাঁচজন যাত্রী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর দেড়টার দিকে মহাসড়কের মধ্যেই চলন্ত অবস্থায় মাইক্রোবাসটিতে আগুন লাগে।

এ সময় চালক দ্রুত রাস্তার পাশে গাড়িটিকে থামালে যাত্রীরা নেমে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই গাড়িটি পুড়ে যায়। 

গাড়িটির চালক মো. সজিব মিয়া জানান, ক্যান্টনমেন্টের সৈয়দপুর এলাকার একটি সিএনজি পাম্প থেকে গ্যাস নিয়ে পাঁচজন যাত্রীসহ চান্দিনার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন তিনি। নিমসার বাজার এলাকায় আসলে ইঞ্জিনের গিয়ার বক্সের মধ্যে প্রথমে আগুন দেখতে পান তিনি।

দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তাৎক্ষণিকভাবে রাস্তার পাশে গাড়িটি থামিয়ে যাত্রীদের দ্রুত নামতে বলেন। 

আরো পড়ুন
কত দিন দায়িত্বে ছিলেন ডিবিপ্রধান রেজাউল

কত দিন দায়িত্বে ছিলেন ডিবিপ্রধান রেজাউল

 

যাত্রীরা নেমে যাওয়ার সাথে সাথে আগুন পুরো গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে চোখের সামনে গাড়িটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

এছাড়া আগেুনে চালক সজিবের শীরের কিছু অংশ পুড়ে যায়।

খবর পেয়ে চান্দিনা থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

চালক সজীব আরো জানান, গাড়িটির মালিক মাধাইয়া এলাকার আব্দুল আলিম। আজকেই প্রথম তিনি গাড়িটি নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে গ্যাসের লিকেজের কারণেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ি পরিদর্শক সাইদুল ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি জানান, আগুনে গাড়িটি সম্পূর্ণ ভষ্মীভুত হয়েছে, গাড়িটির কোনো কিছুই অবশিষ্ট নেই। গাড়ির মালিক ঘটনাস্থলে আসলে তাকে গাড়িটি বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য
কুড়িগ্রাম

অসময়ে ব্রহ্মপুত্র নদে ভাঙন, তিন দি‌নে ৭০ বিঘা ফসলি জমি বিলীন

আঞ্চ‌লিক প্রতি‌নি‌ধি, কুড়িগ্রাম
আঞ্চ‌লিক প্রতি‌নি‌ধি, কুড়িগ্রাম
শেয়ার
অসময়ে ব্রহ্মপুত্র নদে ভাঙন, তিন দি‌নে ৭০ বিঘা ফসলি জমি বিলীন
ছবি: কালের কণ্ঠ

কুড়িগ্রামের উলিপুরে অসময়ে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে দিশাহারা হয়ে পড়েছে নদ তীরবর্তী মানুষজন। গত ৩ দিনে উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের রসূলপুর এলাকায় ব্রহ্মপু‌ত্রের ভাঙ‌নে ৭০ বিঘা ফসলি জমি, গ্রামীণ সড়ক ও সাতটি বসতভিটা বিলীন হ‌য়ে গে‌ছে।

ভাঙনের ফলে হুমকিতে রয়েছে রসূলপুর মার্কাজ জামে মসজিদ, রসূলপুর আলহাজ্ব রোস্তম আলী নূরাণী হাফিজিয়া মাদরাসা, রসূলপুর ঈদগাহ মাঠসহ বসতঘর।

জ‌ানা গে‌ছে, কয়েক বছর ধরেই বর্ষা মৌসুমে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের শিকার বেগমগঞ্জ, সাহেবের আলগা ও হাতিয়া ইউনিয়নের কয়েক গ্রামের মানুষ। বছরের পর বছর নদীভাঙনে কৃষিজমি, ঘরবাড়ি হারিয়ে অনেকেই অসহায় দিন কাটাচ্ছেন। এতদিন ভাঙন হতো বর্ষা মৌসুমে। তবে এখন নদী ভাঙছে শুষ্ক মৌসুমেও।

নদীতে পানির স্রোত নেই, অথচ পাড় ভাঙছে।

ভাঙনকবলিত রসূলপুর এলাকার মিজানুর রহমান, নায়েব আলী, সাহেব আলী, হেলাল উদ্দিন, আব্দুর রশিদ, রায়হান মিয়া, নুর আলমসহ অনেকের অভিযোগ, বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর দিক পরিবর্তন হয়েছে। ফলে অসময়ে নদী ভাঙনের তীব্রতা দেখা দিয়েছে। এভ‌া‌বে ভাঙন চল‌তে থাক‌লে এক‌দিন বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন মানচিত্র থে‌কে হা‌রি‌য়ে যা‌বে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, গত তিন দিনে আমার বাড়িসহ ৭ জনের বাড়ি ও প্রায় শত বিঘা জমি ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। এখন শুকনো মৌসুম, এই সম‌য়ে ভাঙন‌রো‌ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ব‌লে দা‌বি ক‌রেন তি‌নি‌।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে ওই এলাকা পরিদর্শন করা হ‌য়ে‌ছে। ভাঙন‌রো‌ধে সেখা‌নে ৫০০ জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের বরাদ্দ দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। কাজ চলমান রয়েছে।


 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ