আমাদের শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি মিনারেলস হলো আয়রন। শরীরে আয়রনের ঘাটতি থাকা স্বাস্থ্যের পক্ষে কখনোই ভালো নয়। শরীরে আয়রনের অভাব রয়েছে কি না, তা কয়েকটি চেনা লক্ষণ দেখলেই বুঝতে পারবেন। কিভাবে, চলুন জেনে নিই।
শরীরে আয়রনের ঘাটতি আছে কি না, বুঝবেন যেভাবে
জীবনযাপন ডেস্ক

আয়রনের ঘাটতি বুঝবেন যেভাবে
আয়রনের ঘাটতি থাকলে পুরো শরীরে সঠিকভাবে অক্সিজেন ও রক্ত সরবরাহ হয় না। এর ফলে হাত-পা আচমকাই প্রচণ্ড ঠাণ্ডা হয়ে যেতে পারে।
যদি আপনার হাত-পা ঠাণ্ডা হওয়ার প্রবণতা মাঝে মাঝেই দেখা দেয়, তাহলে একবার আয়রনের মাত্রা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া ভালো।
অনেক সময় আমাদের শরীরে অদ্ভুত কিছু জিনিস খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।
এগুলো কোনোটিই খাবার জিনিস নয়।
আয়রনের অভাব শরীরে থাকলে সামান্য কাজ করেও প্রবলভাবে হাঁপিয়ে যাবেন আপনি। শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে। অল্প পরিশ্রমেই হাঁপ ধরে যেতে পারে।
যেহেতু আয়রনের অভাবে অক্সিজেনের প্রবাহ সঠিক মাত্রায় বজায় থাকে না, ব্যাহত হয়। তার প্রভাবে আচমকা তীব্র মাথা যন্ত্রণা শুরু হতে পারে। এই লক্ষণ দেখা দিলে সতর্ক হয়ে যান।
আয়রনের অভাব মানে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকবে। অ্যানিমিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ত্বক মারাত্মক ফ্যাকাশে দেখাবে। মনে হবে যেন রক্তশূন্য চেহারা। যারা এমনিতেই ফর্সা, তাদের ক্ষেত্রে ত্বকের এই ফ্যাকাশে ভাব আরো বেশি করে চোখে পড়বে।
আয়রনের ঘাটতি নখের চেহারা নষ্ট করে দেয়। নখ হয়ে যায় ভঙ্গুর প্রকৃতির। একটু বাড়তে চায় না। ক্ষয় হয়ে যায় ভীষণভাবে। শুধু ক্যালসিয়ামের অভাব নয়, আয়রনের ঘাটতিতেও এইসব উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়।
সূত্র : এবিপি লাইভ
সম্পর্কিত খবর

ভালো ঘুমের জন্য কখন ব্যায়াম করবেন
জীবনযাপন ডেস্ক

শরীর সুস্থতা রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চার কোনো বিকল্প নেই। ওজন কমানোসহ সার্বিক সুস্থতার জন্যও শরীরচর্চা জরুরি। কেউ বাড়িতে, কেউ জিমে গিয়ে ঘাম ঝরান। আর শরীরচর্চার সঙ্গে ঘুমেরও সংযোগ রয়েছে।
আপনি কি জানেন দিনের কোন সময়ে শরীরচর্চা করলে ভালো ঘুম হয়? আর তা জানাতেই আমাদের আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক—
অনেকেই ভাবেন সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করে নিলে সারা দিন আর কোনো চিন্তা নেই। সারা দিনের ব্যস্ততায় আর ব্যায়াম না করার সুযোগ পেলে সকালে ঘাম ঝরানোই ভালো। সাধারণত সকালে খালি পেটে ব্যায়াম করাকেই শরীরচর্চার জন্য সবচেয়ে ভালো সময় বলে মনে করা হয়।
মূলত, দীর্ঘ সময় ঘুমের পর সকালে সবাই তরতাজা থাকেন। তাই অনেকক্ষণ শরীরচর্চা করলেও ক্লান্তি আসে না। সারা দিনের কাজের এনার্জি পাওয়া যায়। এ ছাড়া সকালের দিকে ব্যায়াম করলে খিদে বাড়ে, হজমও ভালো হয়।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করতে অনেকেরই আলস্য লাগে। দুপুরবেলা বা বেশি গরমে ব্যায়াম করলে সহজেই ক্লান্তি আসতে পারে। সন্ধ্যার পরও শরীরচর্চা করতে পারেন। কিন্তু এই সময় ব্যায়াম করলে বিশেষ করে ভারী শরীরচর্চায় অনেকের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যায়াম করার পর খেয়ে শুয়ে না পড়লে তেমন কোনো সমস্যা হয় না।
গবেষণায় দেখা গেছে, গভীর ঘুমে সাহায্য করে সকালের ব্যায়াম। তবে বিকেলে এক্সারসাইজ করাও মন্দ নয়। কারণ ওই সময়ে পেশির কার্যকারিতা ভালো হয় এবং ভারী ওজন তুলে এক্সারসাইজ করলে আঘাত পাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।
তবে ঘুমানোর একেবারে আগে ‘হাই ইনটেনসিটি’ এক্সারসাইজ না করাই শ্রেয়। কারণ এতে শরীরের তাপমাত্রা, হার্টরেট বেড়ে যেতে পারে। যদিও এই তথ্যের এখনো কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সেক্ষেত্রে রাতে যোগাসন, হালকা ব্যায়াম করতে পারেন।
ভরপেট খাওয়ার পরপরই ব্যায়াম করা ঠিক নয়। খাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা পর ব্যায়াম করা যায়। সকালে বা বিকেলে হালকা কিছু খাওয়ার এক ঘণ্টা পর ব্যায়াম করতে পারেন। আবার ব্যায়াম শেষে ১০-১৫ মিনিট পর খাবার খেতে পারেন।
ব্যায়ামের মাঝে হাইড্রেট থাকতে পানি খাওয়া জরুরি। নিজের জীবনযাত্রার সঙ্গে মিলিয়ে আপনার জন্য যে সময়টা সবচেয়ে উপযোগী, শরীরচর্চার জন্য সেই সময়টাই বেছে নিন। নিয়মিত ব্যায়াম করাটাই আসল কথা। ব্যায়ামের সময় যা-ই হোক, প্রতিদিন ব্যায়াম করুন।
সূত্র : আজকাল

রান্নায় কেন ঘি ব্যবহার করবেন?
জীবনযাপন ডেস্ক

রান্নায় দেশি ঘি ব্যবহারের প্রচলন বহু পুরনো। সবজি, পরোটা থেকে শুরু করে অনেক পদেই ঘি ব্যবহার করা হয় শুধু স্বাদ বাড়ানোর জন্য নয়, স্বাস্থ্য উপকারিতার কারণেও। চলুন, জেনে নিই ঘি এর উপকারিতা।
কেন উপকারী দেশি ঘি?
সহজে হজমযোগ্য: ঘি এমন এক ধরনের চর্বি যা শরীর সহজে হজম করতে পারে।
রোগ প্রতিরোধে সহায়ক: ঘি-তে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল উপাদান শরীরের ইমিউনিটি বাড়ায়।
হার্টের জন্য উপকারী: পরিশোধিত তেলের তুলনায় দেশি ঘি হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য তুলনামূলক নিরাপদ।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য: ঘি মেটাবলিজম উন্নত করে, ফলে ওজন কমাতেও সহায়ক হতে পারে।
তবে সারাদিনের সব খাবার ঘি দিয়ে রান্না করা একেবারে ঠিক নয়। পুষ্টিবিদদের মতে শুধু ঘি নয় সরিষার তেল, অলিভ অয়েল বা চিনাবাদাম তেলের মতো নানা ধরনের তেল খাওয়ার রুটিনে রাখা জরুরি। কারণ প্রতিটি তেলেরই আছে আলাদা পুষ্টিগুণ।
সূত্র : আজতক বাংলা

গরমে শিশুর হিটস্ট্রোক এড়াতে যা করবেন
জীবনযাপন ডেস্ক

দিন দিন বাড়ছে তাপমাত্রা, এখনই গরমের ছুটি না হলেও স্কুলে যেতে হচ্ছে শিশুদের কড়া রোদ মাথায় নিয়ে। এই সময়ে শিশুরা খুব সহজেই হিটস্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন বা সংক্রমণে ভুগতে পারে। তাই চিকিৎসকেরা বলছেন, সময় থাকতে সচেতন হতে হবে অভিভাবকদের।
কী সমস্যা হতে পারে শিশুর?
১।
২। হিটস্ট্রোক (বমি, মাথা ঘোরা, খিঁচুনি)
৩। সংক্রমণ, সর্দি-কাশি ও জ্বর
৪। পেটের সমস্যা ও অ্যালার্জি
কী করবেন?
১।
২। লেবু, তরমুজ বা আনারসের শরবত দিন।
৩।
৪। হালকা খাবার ও ঘরে তৈরি শরবত খাওয়ান।
৫। বাইরে গেলে টুপি বা পাতলা স্কার্ফ পরিয়ে দিন।
৬। প্রতিদিন গোসল করিয়ে দিন।
খাবারে রাখুন :
পাতলা ভাত-ডাল,
সবজি,
দই-চিড়া বা ওটস,
ভিজানো মেথি বা মৌরির পানি।
যা করবেন না :
বাচ্চাকে বাইরের শরবত/ফলের রস খাওয়াবেন না।
ভাজাপোড়া ও জাংকফুড গরমকালে না খাওয়ানোই ভালো।
নিজে থেকে অ্যান্টিবায়োটিক দেবেন না।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

গরমে ত্বকের যত্নে আমলকী
জীবনযাপন ডেস্ক

গরম পড়তেই ত্বকে শুরু হয় নানা সমস্যা। ব্রণ আর ঘামাচির জ্বালা যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। শরীরে ঘাম জমে দানা বাঁধে নানা অস্বস্তিকর সমস্যা, যা বাজারের পাউডার বা সাবান দিয়ে সাময়িকভাবে কমলেও অধিকাংশ সময়েই সেগুলোর রাসায়নিক উপাদান ত্বকের ক্ষতি বাড়িয়ে দেয়। ঘামাচির সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান হিসেবে আমলকী হতে পারে আপনার ত্বকের পরম বন্ধু।
আমলকী শুধু শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় না, এটি ত্বকের যত্নেও দুর্দান্ত। এতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা ত্বককে ভেতর থেকে সুস্থ রাখে।
আমলকী ও দইয়ের প্যাক
২ চা চামচ আমলকী গুঁড়ার সঙ্গে ১ চা চামচ টক দই মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। মুখে মেখে ১৫-২০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে ঠাণ্ডা রাখে ও ব্রণের দাগ হালকা করে।
আমলকী টোনার
এক কাপ পানিতে ১ চা চামচ আমলকী পাউডার দিয়ে ৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হলে কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল মিশিয়ে কাচের বোতলে ভরে রাখুন। রোদে বেরোনোর আগে মুখে স্প্রে করুন। এতে ত্বকের র্যাশ কমবে।
কাঁচা আমলকী ও অ্যালোভেরা মিশ্রণ
২টি কাঁচা আমলকী বেটে নিয়ে তার সঙ্গে ২ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল মেশান।
আমলকী ও মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক
১ চা চামচ আমলকী পাউডারের সঙ্গে ১ চা চামচ মুলতানি মাটি মিশিয়ে মিশ্রণ বানিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের কালচে দাগ ও রোদের পোড়া ভাব দূর হবে।
পেঁপে-আমলকী মিশ্রণ
পেঁপে ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। এর সঙ্গে আমলকী মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে সপ্তাহে দু-তিন দিন মুখে ব্যবহার করুন। এতে ত্বক হবে উজ্জ্বল ও দাগহীন।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা