আয়রন আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খনিজ উপাদান। এটি হিমোগ্লোবিনের মূল উপাদান, যা রক্তে অক্সিজেন পরিবহনে সাহায্য করে। শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়। যার ফলে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা ও শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার মতো নানা সমস্যা।
দেহে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করবে যে সবজি
জীবনযাপন ডেস্ক

সাধারণভাবে ডিম, মাছ, বাদাম, ছোলা, পালং শাক এবং ড্রাই ফ্রুটস—এসব খাবারকেই আয়রনের ভালো উৎস হিসেবে ধরা হয়। তবে অনেকেই জানেন না, আমাদের চারপাশে থাকা একটি খুব পরিচিত সবজি কুমড়া আয়রনের চমৎকার উৎস হিসেবে কাজ করে এবং কিছু ক্ষেত্রে পালং শাকের থেকেও বেশি কার্যকর।
কেন কুমড়া এত উপকারী?
বিশেষজ্ঞদের মতে, কুমড়াতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, জিংক, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও প্রচুর পরিমাণে আয়রন। এ ছাড়া কুমড়ায় উপস্থিত বিটা-ক্যারোটিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরকে মুক্ত র্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১০০ গ্রাম কুমড়ার বীজে প্রায় ৮.৮ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে, যেখানে একই পরিমাণ পালং শাকে ২.২ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে।
ফলে রক্তাল্পতা বা আয়রন ঘাটতিজনিত সমস্যায় যারা ভুগছেন, তাদের জন্য কুমড়া ও এর বীজ হতে পারে একটি স্বাস্থ্যকর ও প্রাকৃতিক সমাধান।
সূত্র : নিউজ ১৮ বাংলা
সম্পর্কিত খবর

রাশিফল
আজ ১৬ এপ্রিল, দিনটি কেমন যাবে আপনার?
অনলাইন ডেস্ক

জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ ১৬ এপ্রিল, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, সেটি জানতে হলে পড়ুন আজকের রাশিফল।
মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): কাজে দায়িত্ব বাড়বে। ঘনিষ্ঠ কারো সহযোগিতা পাবেন।
বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে): কাজে উন্নতির যোগ প্রবল। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অন্যকে প্রভাবিত করতে পারবেন।
মিথুন (২১ মে-২০ জুন): বিশেষ প্রচেষ্টায় সাফল্যের যোগ রয়েছে। কর্মপ্রার্থীদের কাজের সুযোগ আসতে পারে।
কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই): সামাজিক কাজে সম্মান বাড়বে। বিনোদনের জন্য ভালো দিন।
সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট): কোনো শুভ প্রচেষ্টার জন্য দিনটি শুভ। বর্তমান পরিস্থিতি পরিবর্তনের সুযোগ আসবে। সমস্যা সমাধানে অন্যের সহযোগিতা পাবেন। পরিবারের মানুষের কাছে আপনার সততার পরিচয় দিতে পারবেন।
কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর): কোনো কাজে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবেন। প্রত্যাশিত কাজে অগ্রগতি হবে। কল্যাণমূলক কাজে অগ্রগতি হবে। দিনটিকে ভালো করতে আপনি আপনার লুকানো গুণাবলি ব্যবহার করুন।
তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর): আপনার কাজে অন্যদের সমর্থন পাবেন। বিরূপ পরিস্থিতিকেও অনুকূলে নিয়ে আসতে পারবেন। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ঋণ গ্রহণের প্রচেষ্টায় অগ্রগতি হবে। আটকে থাকা ব্যাবসায়িক কর্মকাণ্ডে অর্থের জোগান পাওয়া সহজ হবে।
বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর): বিশেষ প্রচেষ্টায় সাফল্যের যোগ রয়েছে। নিজের কাজে অন্যকে খুশি করতে পারবেন। পুরনো সমস্যা সমাধানের পথ পাবেন। সাফল্য লাভের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুসারে অগ্রসর হতে হবে। বিতর্ক এড়িয়ে চলুন।
ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের অগ্রগতি হবে। সামাজিক কাজে অন্যদের সমর্থন পাবেন। আপনার চারপাশে কী ঘটছে, তার প্রতি নজর রাখুন। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় থেকে বিরত থাকুন। সময়ের সদ্ব্যবহার করুন।
মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি) : কাজে উন্নতির যোগ আছে। ব্যবসায়ীদের অর্থভাগ্যের কিছুটা পরিবর্তন হবে। পাওনা আদায়ে অগ্রগতি হবে। তাড়াহুড়া করে কোনো বড় সিদ্ধান্ত নেবেন না। সব কাজ বিচক্ষণতার সঙ্গে করতে হবে।
কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): নতুন যোগাযোগে সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে এগোতে পারেন। ব্যবসায় ভালো সুযোগ আসতে পারে। সাহসী পদক্ষেপে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করুন। শুভ সময়ের সদ্ব্যবহার করুন। আনন্দে থাকুন।
মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): কর্মক্ষেত্রে কিছুটা চাপ থাকলেও কিছু ইতিবাচক সংবাদ পাবেন। কোনো প্রচেষ্টায় অযথা বিলম্ব হবে। গুরুদায়িত্ব গ্রহণে অনীহা আসতে পারে। কারো সহায়তায় সাময়িক সমস্যার সমাধান হতে পারে।
আহমেদ মাসুদ, বিশিষ্ট অকাল্ট সাধক, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্যোতিষী, ফেংশুই ও বাস্তু বিশেষজ্ঞ। যোগাযোগ: ০১৭১১০৫৭৩৭৭ই-মেইল: amasud9995@gmail.com www.astrologerahmedmasud.com

গরমের ভরসা যে চার ফল
জীবনযাপন ডেস্ক

বসন্ত শেষে গ্রীষ্ম এসে গেছে। গরম যেন সব কিছু ঝলসে দেয়। এ সময়ে আমাদের পরিবেশে এমন কিছু ফল জন্মায়, যা স্বাদে ও স্বাস্থ্যে অতুলনীয়। আম, লিচু তো রয়েছেই, এর বাইরেও রয়েছে আরো কয়েকটি ফল।
তরমুজ
গরমের সময় শরীরকে ঠাণ্ডা ও হাইড্রেটেড রাখার জন্য তরমুজ খুবই উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে এবং এটি ইলেক্ট্রোলাইটসের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
কামরাঙা
এই ফলটি তারার মতো আকৃতির। গ্রামেগঞ্জে একসময় প্রচুর পরিমাণে এই ফল খাওয়া হতো।
আঁশফল
আঁশফলও এমন একটি ফল, যা গরমকালে পাওয়া যায়। মিষ্টি স্বাদের জন্য এককালে এই ফলটিও বেশ জনপ্রিয় ছিল। এর ভেতরের সাদা শাঁসটি খুব নরম এবং দানাদার হয়। আঁশফলে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬ ও পটাসিয়াম থাকে। এই ফল ত্বক ও চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, পাশাপাশি শরীরে শক্তি যোগাতেও সাহায্য করে।
বেল
গরম কালে বেলপানা খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। শক্ত বেলের খোলসও। কিন্তু সেই কাঠিন্যের ভেতরে মিষ্টি ও হালকা টক স্বাদের শাঁস থাকে। বেল হজমের জন্য খুবই উপকারী এবং এটি পেট ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। এতে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম ও ফাইবার থাকে। বেলের শরবত গরমকালে শরীরকে সতেজ রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
সূত্র : আজকাল

লাল শাক থেকে দূরে থাকবেন যারা
জীবনযাপন ডেস্ক

এই মৌসুমে বাজারে অনেক ধরনের শাক পাওয়া যায়। তবে সেটা শীতকালের তুলনায় কিছুটা কম। বর্ষা ছাড়া প্রায় সময়েই বাজারে এই শাকের দেখা পাওয়া যায়। জনপ্রিয় এই লাল শাক প্রায় সবার বাড়িতেই নানা পদে রান্না করা হয়।
ভাতে এই শাক মাখলেই টুকটুকে লাল হয়ে যায় রং। সুস্বাদু এই শাক অত্যন্ত উপকারী। তবে এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদরা।
একাধিক ভিটামিন, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, কপার, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজে ভরপুর লালশাক হজমে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খুবই উপকারী লালশাক। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী কফ ও পিত্ত দোষ দূর করে এই শাক। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, জিংক, কপার, ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর লালশাক হাড়ের স্বাস্থ্য অটুট রাখে। হাড়ের একাধিক রোগের আশঙ্কা দূর করে।
হৃদযন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখে লাল শাকের গুণ। নিয়ন্ত্রণ করে হৃদরোগের আশঙ্কা। রক্তাল্পতা অসুখেও উপকারী এই শাক।
তবে এত উপকারী লাল শাকেরও কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। এটি ইনসুলিনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। তাই যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়ার প্রবণতা বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া আছে তারা এটা খাবেন না।
লাল শাকে প্রচুর ভিটামিন কে আছে। তাই যারা অ্যান্টি কোয়াগুল্যান্টস নিচ্ছেন তারা এই শাক খাবেন না। এর ফলে ড্রাগ মেটাবলিজমে সমস্যা হতে পারে।
যারা অন্তঃসত্ত্বা বা সন্তানকে স্তন্যপান করান, তারা লাল শাক খাবেন না। কারণ এর অতিরিক্ত ফাইবার থেকে ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা থেকে শুরু করে জ্বরও হতে পারে। অতিরিক্ত লাল শাক খেলে উদ্ভিজ্জ খাবার থেকে আয়রন শোষণে সমস্যা হতে পারে।
লালশাক কেনার সময় দেখে নিতে হবে সেটা খাঁটি লাল শাক কি না। আসল লাল শাক হলে ভাত মাখার সময় তার রং হবে লাল টুকটুকে৷ অনেক সময় লাল শাক কৃত্রিম ভাবে রং করাও হয়। সেটাও দেখে নিন সতর্ক হয়ে।
সূত্র : নিউজ ১৮

বাদামের সঙ্গে যেসব খাবার খেলে ভালো থাকবে মস্তিষ্ক
জীবনযাপন ডেস্ক

বাদাম স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। এটি খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তবে আপনি কি জানেন, মস্তিষ্ক ভালো রাখতে, স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বাদাম খাওয়া খুব দরকার? তবে বাদামের সঙ্গে এই খাবারগুলোও খেতে হবে। তবেই আপনার মস্তিষ্ক আরো সতেজ হবে।
বাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। তা ছাড়া এটি খেলে আপনার বড় রোগের ঝুঁকি কমার পাশাপাশি ত্বকও উজ্জ্বল হয়। মস্তিষ্ক ভালো রাখতে, স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বাদামের সঙ্গে কী কী খাবার খাবেন, তা জানুন এই প্রতিবেদনে।
ডার্ক চকোলেট
বাদামের সঙ্গে ডার্ক চকোলেট খেতে পারেন।
ব্লুবেরি ও বাদাম
আপনি যদি ব্লুবেরি ও বাদাম (আমন্ড) একসঙ্গে খেতে পারেন। এতে আপনার মস্তিষ্ক আরো সতেজ হবে, স্মৃতিশক্তিও বাড়বে। কারণ ব্লুবেরিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্থোসায়ানিন থাকে, তা ছাড়া বাদামে ভিটামিন ই থাকে। যা আপনার মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে।
দই ও বাদাম
দই ও বাদাম একসঙ্গে নিত্যদিন খাওয়ার স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো।
ওটস ও বাদাম
ওটস ও বাদাম একসঙ্গে খান। এতে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ থাকে। তা ছাড়া থাকে ফাইবারও। আর বাদামে ভিটামিন ই, ওমেগা-৩ থাকে। যা মস্তিষ্ক আরো সতেজ করতে সাহায্য করে।
আখরোট ও বাদাম
আখরোট ও বাদামে (আমন্ড) নিত্যদিন একসঙ্গে খাওয়া খেলে আপনার স্মৃতিশক্তি হু হু করে বাড়তে থাকবে। এতে প্রচুর পরিমাণে ডিএইচএ থাকে। যা এক ধরনের ওমেগা-৩। যা মস্তিষ্কের জন্য খুব ভালো।
পালংশাক ও বাদাম
পালংশাক ও বাদাম একসঙ্গে খান। এতে আপনার ত্বক অন্ত্র সবই ভালো থাকবে। সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তি বাড়বে। কারণ পালংশাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। মানসিক চাপ কমাতে খুব সাহায্য করে। তা ছাড়া বাদামে ভিটামিন ই থাকায় মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
হলুদ ও বাদাম
হলুদ ও বাদাম খাওয়া খুব ভালো। হলুদের প্রচুর পরিমাণে কারকিউমিন থাকে। আর বাদামে ভিটামিন ই, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। যা আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে।
বাদামও ডিম
বাদামও ডিম নিত্যদিন একসঙ্গে খেতে পারেন। এতে স্মৃতিশক্তি বাড়ার পাশাপাশি আপনার মানসিক চাপও কমবে। ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি এবং ই থাকে।
গ্রিন টি ও বাদাম
গ্রিন টি ও বাদাম একসঙ্গে খেতে পারেন। এটি খেলে আপনার মানসিক চাপ কমবে। যদি আপনি রাতে নিত্যদিন গ্রিন টি আর বাদাম একসঙ্গে খান, তাহলে আপনি রাতে ভালো ঘুমাতেও পারবেন।
কলা ও বাদাম
কলা ও বাদাম একসঙ্গে খাওয়া খুব ভালো। কলাতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, পটাশিয়াম থাকে। যা মস্তিষ্ক ভালো রাখতে সাহায্য করে। যা মানসিক চাপ কমায়। আর ভিটামিন ই থাকায় এটি আপনার ত্বকের জন্য খুব ভালো।
সূত্র : ওয়ানইন্ডিয়া