ক্লিনিকের জমি দখলে বাধা দেওয়ায় ইউপি সদস্যসহ ৫ জনকে কুপিয়ে জখম

মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
শেয়ার
ক্লিনিকের জমি দখলে বাধা দেওয়ায় ইউপি সদস্যসহ ৫ জনকে কুপিয়ে জখম
সংগৃহীত ছবি

কুমিল্লার মুরাদনগরে সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিকের জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে আল আমিন নামের এক ‘ভূমিদস্যুর’ বিরুদ্ধে। এতে বাধা দেওয়ায় স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ ৫ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরতর জখম করা হয়েছে। 

রবিবার রাতে উপজেলার বোড়ারচর কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আতঙ্কে আজ সোমবার ওই ক্লিনিকে কর্মরত কেউই অফিস করেননি।

এ ঘটনায় থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ইউপি সদস্য নূর মোহাম্মাদ (৩৮)। সে উপজেলার ১৮ নম্বর ছালিয়াকান্দি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য ও বোড়ারচর গ্রামের মৃত হানিফ মিয়ার ছেলে।

অভিযুক্তরা হলেন, ওই গ্রামের আল আমিন (৩৬), মাখন (৪০), কামাল উদ্দিন (৪৭), মোস্তফা (৫০), শরিফ উদ্দিন (১৪), মো. কামরুল (২২), মামুন মিয়া (১৩)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের এপ্রিল মাসের ১৬ তারিখ উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মো. শরিফুল ইসলাম এসে বোড়ারচর সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিকের ৫ শতাংশ জায়গার সীমানা স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে নির্ধারণ করে দিয়ে আসেন।

ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসে অভিযুক্ত আলামিন উল্লিখিত ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে ক্লিনিকের পূর্ব পাশের খালি জায়গায় দোকান ঘর নির্মাণ শুরু করেন। এমন খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সিরাজুল ইসলাম মানিক ওই ক্লিনিকের সভাপতি ও স্থানীয় মেম্বার নূর মোহাম্মাদকে দোকান ঘর তুলতে বাধা দিতে বলেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে মেম্বার বাধা দিলে তার ওপর চরাও হয়ে মারধর করেন। এ ঘটনায় মেম্বারের দুই ভাই ও বোনের জামাই তাকে উদ্ধার করতে আসলে তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করা হয়।

অভিযুক্ত আল আমিন বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের জায়গা দখলের বিষয় নিয়ে নয়, মেম্বারের সঙ্গে পৈতৃক সম্পত্তির বিষয় নিয়ে মারামারি হয়েছে।’ 

বোড়ারচর কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মো. শাহজাহান বারী ভূইঁয়া সুমন বলেন, ‘কমিউনিটি ক্লিনিকের জায়গা দখল নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় কিছু সচেতন মহলের পরামর্শে ও আমার জীবনের অনিরাপত্তা অনুভব করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে ক্লিনিকে না গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অফিস করি। আশা করি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং স্বাভাবিকভাবে কর্মস্থলে গিয়ে সেবার কাজে নিয়োজিত হতে পারবো।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম মানিক বলেন, ‘বোড়ারচর সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিকের জায়গা দখল করছে আল আমিন নামের এক লোক।

এমন খবর শুনে বিষয়টি স্থানীয় মেম্বারকে দেখতে বলি। মেম্বার নূর মোহাম্মদ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দিলে তাকে মেরে আহত করে আল আমিনসহ তার লোকজন। মেম্বারসহ এ ঘটনায় ৫ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরতর হওয়ায় তাদের কুমিল্লা মেডিক্যাল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।’

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান বলেন, ‘অভিযুক্ত ৭ জনের মধ্যে আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন বিজয়পুরের মৃৎশিল্পীরা

শাহীন আলম, কুমিল্লা
শাহীন আলম, কুমিল্লা
শেয়ার
ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন বিজয়পুরের মৃৎশিল্পীরা
ছবি: কালের কণ্ঠ

বাঙালির নিজস্ব শিল্প, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের অংশ মৃৎশিল্প। বৈশাখ এলে কদর বেড়ে যায় এ মৃৎশিল্পের। সারা বছর তৈজসপত্র তৈরি করে কোনো রকম জীবিকা চালালেও বৈশাখের মেলার অপেক্ষায় থাকে এ শিল্পের কারিগররা। সারা দেশের অধিকাংশ মেলায় তৈজসপত্র চাহিদা মেটায় বিজয়পুরের মৃৎশিল্প।

বিজয়পুর কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার একটি গ্রাম। সারা দেশে বিজয়পুরের মৃৎশিল্প নামে চিনলেও মূলত এই উপজেলা ৭টি গ্রামে মৃৎশিল্প তৈরি হয়। গ্রামগুলো হলো, উত্তর বিজয়পুর, দক্ষিণ বিজয়পুর, নোয়াপাড়া, গাঙকুল, টেগুরিয়াপাড়া, দুর্গাপুর ও বরোপাড়া। বৈশাখ উপলক্ষে ব্যস্ত হয়ে পড়েন গ্রামের মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িতরা।

মৃৎশিল্পের কারিগররা বলছেন, প্রায় ৬৪ বছর ধরে কুমিল্লার ঐতিহ্য টিকিয়ে রেখেছে বিজয়পুরের মৃৎশিল্প। ১৯৬১ সালের ২৭ এপ্রিল কুমার ও পাল বংশের ১৫ জনের আমানতের মোট ১৫৭ টাকা ৫০ পয়সা মূলধন দিয়ে যাত্রা শুরু করে বিজয়পুর মৃৎশিল্প। পরে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) প্রতিষ্ঠাতা আখতার হামিদ খানের পরামর্শে ওই ১৫ জন নিয়ে ‘বিজয়পুর মৃৎশিল্প সমবায় সমিতি’ নামে একটি সমবায় সমিতি গড়ে ওঠে। এই সমিতির মূল লক্ষ্যই হচ্ছে গ্রামের বেকার নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান করা।

গতকাল শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে গাঙকুল গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, বৈশাখী মেলার তৈজসপত্রের চাহিদা মেটাতে গ্রামের নারী-পুরুষ মিলেমিশে মাটির হাঁড়ি-পাতিল, রবিঠাকুর, কাজী নজরুল, গণেশসহ বিভিন্নজনের প্রতিকৃতি। পুতুল, হাতি, ঘোড়া, নৌকা, টিয়া, সিংহ, দোয়েল, কচ্ছপ, মাছ, হাঁস, প্লেট, মগ, গ্লাস, চায়ের কাপ তৈরি হচ্ছে সমানতালে। গ্রামের এক অংশ নারী তা আবার রোদে শুকাচ্ছেন। কেউ আবার ফুলদানীতে রঙ তুলিতে আঁকছেন।

গাঙকুল গ্রামের রেখা রানী পাল ও শিখা রানী পাল কালের কণ্ঠকে বলেন, এই গ্রামের মাটির বানানো জিনিসপত্র দেশের বাহিরেও নেওয়া হয়।

বৈশাখের মেলা উপলক্ষে সারা দেশ থেকে বিক্রেতরা এখানে তৈজসপত্রের মালামাল নিয়ে যান। আমরা সবাই অপেক্ষা থাকি বাংলা নতুন বছরের জন্য। এত চাপ থাকে যে অনেক সময় বিক্রেতাদের অর্ডার ফিরিয়ে দেই।

বিজয়পুরের শংকর মৃৎশিল্পের মালিক শংকর পাল কালের কণ্ঠকে বলেন, অন্যান্য বৈশাখের তুলনায় এবার বিক্রি ভালো হচ্ছে। বৈশাখ উপলক্ষে আগেই ডিজাইন দেওয়া থাকে। ওই ডিজাইন বানানোর পর দোকানে নিয়ে আসি। আমার কাছ থেকে খুচরা বিক্রেতারা বিভিন্ন আইটেমের মাল মেলায় নিয়ে যান।

মাটির তৈজসপত্র কিনতে আসা সদর দক্ষিণ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. পারুল আক্তার মজুমদার কালের কণ্ঠকে বলেন, আমি সব সময় মাটির জিনিসপত্র ব্যবহার করি। এটি ব্যবহার করতে ভালো লাগে। কুমিল্লা ঐতিহ্য হচ্ছে মাটি, এই মাটিই হচ্ছে খাঁটি। আমার ঘরের অধিকাংশ আসবাবপত্র মাটির তৈরি। এমনকি পানির জগও মাটির তৈরি কারণ মাটির তৈরি জিনিসপত্রে পানি রাখলে পানি ঠাণ্ডা থাকে। আমার দেখায় অনেকেই মাটির জিনিস ব্যবহার করছে। আগের সময় দেখেছি দাদা নানারা মাটির প্লেটে খেতেন এখন আবার সে ঐতিহ্য ফিরে আসছে।

‘বিজয়পুর রুদ্রপাল মৃৎশিল্প সমবায় সমিতি’ চন্দন পাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ঘরের আসবাবপত্র বানিয়ে অন্তত ৫০টি পরিবারের কর্মসংস্থান হয়েছে। মাঝখানে আমার গ্যাস থাকায় আমরা সিরামিকের পণ্য তৈরি করছিলাম। ২০১৬ সালে আমাদের গ্যাস বন্ধ করে দেওয়ার পর এখন আর সিরামিকের কিছু বানানো হয় না।

তিনি আরো বলেন, বিগত সময়ে বৈশাখী মেলায় না হওয়ায় আমরা লোকসান দিয়েছি। কারণ মেলা উপলক্ষে যে মাল বানানো হয় এই মাল অন্য সময়ে কম চলে। আগে গ্যাস থাকায় অনেক মাল বিদেশে রপ্তানি হয়েছে। এখন রপ্তানি কমে গেছে। এই কারখানায় মাসে ৫ লক্ষ টাকা খরচ আছে কিন্তু আমরা খুব বেশি লাভবান হচ্ছি না । সমিতির মূল লক্ষ্য হচ্ছে কর্মসংস্থান। বর্তমানে কারখানায় ৫০ জন কাজ করছে গ্যাস থাকলে আরো ৫০ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যেত।

বিজয়পুর রুদ্রপাল মৃৎশিল্প সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক অরুন চন্দ্র পাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ১৯৬১ সাল থেকে বিজয়পুরের মৃৎশিল্পের কাজ শুরু হয়। প্রথমে গ্রামের ঘরে ঘরে হাতে এই শিল্পের কাজ করা হলেও এখন সময়ের পরিবর্তে মেশিনের সাহায্যে তৈজসপত্র বানানো হয়। এই তৈজসপত্রের মালামাল পুড়াতে আমাদের অনেক ব্যয় হয়। লাকড়ি ও খরের দাম দিন দিন বাড়ছে। তাছাড়া শ্রমিকদের মজুরি দিয়ে এখন পোষায় না। গ্যাসের ব্যবস্থা করা হলে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের আরো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হত। এখন এ কারখানায় ৫০ জন কাজ করে তখন ১০০ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হত।

কুমিল্লার গাঙকুল গ্রামে বৈশাখী মেলা উপলক্ষে মাটির তৈজসপত্রে রঙ তুলিতে আঁকছেন নারীরা। ছবি : কালের কণ্ঠ

মন্তব্য
আনন্দ শোভাযাত্রা

সপ্তাহব্যাপী মারমাদের প্রাণের উৎসব 'সাংগ্রাই' শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান
নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান
শেয়ার
সপ্তাহব্যাপী মারমাদের প্রাণের উৎসব 'সাংগ্রাই' শুরু
ছবি: কালের কণ্ঠ

বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে বান্দরবানে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী পাহাড়ি সম্প্রদায় মারমাদের প্রাণের উৎসব সাংগ্রাই। রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৮টায় উৎসব উদযাপন পরিষদের আয়োজনে পৌর শহরের রাজার মাঠ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়। জেলা প্রশাসক মিজ শামীম আরা রিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কেএসমং মারমা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিরামনী, উৎসব কমিটির আহবায়ক চুনু মং মারমাসহ বিভিন্ন দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তরা।

আরো পড়ুন
বাটার শোরুমে ইটপাটকেল ছুড়ে আটক ৪

বাটার শোরুমে ইটপাটকেল ছুড়ে আটক ৪

 

র‌্যালীতে মারমা, চাকমা-তঞ্চঙ্গ্যা, ম্রো, বম, ত্রিপুরাসহ বান্দরবানে বসবাসরত ১১টি পাহাড়ি সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষরা নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন পোশাক ও পরিচ্ছদ পরে অংশ নেয়। র‌্যালীটি শহরের প্রধান সড়ক পদক্ষীণ করে ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে বয়স্ক পুজার আয়োজন করা হয়।

এ অনুষ্ঠানে বয়োজ্যেষ্ঠ্য ব্যক্তিদের মোমবাতি, নগদ অর্থ ও নতুন পোশাক উপহার দেওয়া হয়।

পা ধুয়ে বয়স্ক পূজা করা হয়।

নতুন বছরকে বরণ এবং পুরাতন বছর বিদায়কে ঘিরে পার্বত্য এলাকার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতি স্বত্বা সমুহ নিজস্ব সামাজিক ঐতিহ্য নিয়ে সমন্বিতভাবে বিভিন্ন উৎসব পালন করছে। মারমা সম্প্রদায় সাংগ্রাইং, ম্রো সম্প্রদায় চাংক্রান, খেয়াং সম্প্রদায় সাংগ্রান, চাকমা সম্প্রদায় বিজু, তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায় বিষু,ও ত্রিপুরা সম্প্রদায় বৈসু, এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের এই উৎসবকে সমষ্টিগত ভাবে বৈসাবি বলা হয়।

আরো পড়ুন
মায়ের ওড়না পেঁচিয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রের আত্মহত্যা

মায়ের ওড়না পেঁচিয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রের আত্মহত্যা

 

বান্দরবানে মারমাদের সাংগ্রাই-এর মূল আকর্ষণ জলকেলি উৎসব।

সকল পাপাচার ও গ্লানী ধুয়ে মুছে নিতে প্রতিবছর মারমা তরুণ-তরুণীরা একে অপরের গায়ে পানি ছিটানো উৎসবে মেতে উঠে। পুরাতন বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে বরণের জন্য মূলত এই উৎসব।

পাহাড়ীদের এই ঐতিহ্যবাহি উৎসব দেখতে ও অংশ নিতে বাঙ্গালীরাও ভীড় জমায়। এবার মারমাদের সাংগ্রাই উৎসব দেখতে বান্দরবানে বহু পর্যটকের আগমন ঘটেছে।

মন্তব্য

ভ্যানে বাসের ধাক্কা, প্রাণ গেল চালকের

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঝিনাইদহ
নিজস্ব প্রতিবেদক,ঝিনাইদহ
শেয়ার
ভ্যানে বাসের ধাক্কা, প্রাণ গেল চালকের
প্রতীকী ছবি

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ভ্যানে বাসের ধাক্কায় ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। রবিবার সকাল সাড়ে আটটার উপজেলার এলাঙ্গী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত চৈতন্য পাল ওই উপজেলার ফাজিলপুর গ্রামের কার্তিক পালের ছেলে।

আরো পড়ুন
রাত পোহালেই বর্ষবরণ, ব্যস্ত সময় পার করছেন কেন্দুয়ার মৃৎশিল্পীরা

রাত পোহালেই বর্ষবরণ, ব্যস্ত সময় পার করছেন কেন্দুয়ার মৃৎশিল্পীরা

 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে উপজেলার ফাজিলপুর এলাকা থেকে নিজের ভ্যানে কলা নিয়ে কোটচাঁদপুরে যাচ্ছিলেন চৈতন্য পাল।

পথিমধ্যে এলাঙ্গী গ্রামের মাঠের মধ্যে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাস ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এ সময় ভ্যান থেকে চালক চৈতন্যপাল ছিটকে পড়লে বাসটি তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। 

কোটচাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর দুর্ঘটনায় নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


 

মন্তব্য
পাবনা

বাটার শোরুমে ইটপাটকেল ছুড়ে আটক ৪

পবানা প্রতিনিধি
পবানা প্রতিনিধি
শেয়ার
বাটার শোরুমে ইটপাটকেল ছুড়ে আটক ৪
সংগৃহীত ছবি

পাবনায় মিছিল থেকে বাটার শোরুমে ইটপাটকেল ছুড়ে গ্লাস ভাঙচুরের ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে শহরের স্বাধীনতা চত্বর থেকে তাদের আটক করা হয়।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে ছাত্র-জনতার ব্যানারে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি দুপুর পৌনে ১টার দিকে শহরের স্বাধীনতা চত্বরে আসার সময় সড়কের পাশের বাটার শোরুমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।

 

এ সময় শোরুমের কয়েকটি গ্লাস ভেঙে যায়। পরে পুলিশ মিছিল থেকে চারজনকে আটক করে।

এর আগে, গত ৭ এপ্রিল সকাল ১১টার দিকে প্রথম ফিলিস্তিনের পক্ষে বড় একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন পাবনার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

ওই দিনও লতিফ টাওয়ারের বাটা শোরুমে জুতা ও ঢিল নিক্ষেপ করেন বিক্ষোভকারীরা।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ